
ছবি: জনকন্ঠ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নাশকতার মামলায় উপজেলা যুবলীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও কুমারখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এস এম রফিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় ভিন্ন মত পোষণ করেছেন তার পরিবার ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি, রফিককে বৃহস্পতিবার রাতে কিছু দুর্বৃত্ত অপহরণ করে হত্যার চেষ্টা করেছিল।
বৃহস্পতিবার (১ মে) রাত ১০টার দিকে শহরের শহীদ গোলাম কিবরিয়া সেতু এলাকা থেকে ৮-১০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি এস এম রফিককে জোরপূর্বক একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় বলে স্বজনরা জানান। প্রায় দেড় ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর তাকে কুমারখালী থানায় পাওয়া যায়।
এস এম রফিকের স্ত্রী আছমা খাতুন বলেন, রফিককে হত্যার উদ্দেশ্যে দুর্বৃত্তরা অপহরণ করেছিল। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে। কিন্তু পরে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রভাবে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
অন্যদিকে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, এস এম রফিক চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি পদ্মপুকুর ঘাট এলাকায় সংঘটিত নাশকতার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে সেতু এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (২ মে) সকাল ১০টার দিকে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এস এম রফিক সম্প্রতি আত্মগোপনে ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তিনি এলাকায় সক্রিয় না থাকলেও গত কয়েকদিন ধরে নিজ বাসায় অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে।
রবিউল হাসান