
ছবি: জনকণ্ঠ
বগুড়ার বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ প্রতিষ্ঠানটির সরকারিকরণ, হয়রানিমূলক বদলি বাতিল এবং ছয়জন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ থেকে অব্যাহতির দাবিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
শুক্রবার (২ মে) বগুড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, ২০০৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও ২০০৫ সালে তারেক রহমানের উদ্বোধনের মাধ্যমে “বগুড়া মডেল স্কুল” নামে এই প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। পরে নাম পরিবর্তন হয়ে এটি “বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজ, বগুড়া” হিসেবে পরিচিত হয়। শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৬ সালে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা ১১টি মডেল স্কুল ও কলেজের মধ্যে নয়টি সরকারিকরণ হলেও বগুড়ার এই প্রতিষ্ঠানটি বিয়াম ফাউন্ডেশনের অধীনে হস্তান্তর করা হয়, যেখানে ফাউন্ডেশনের কোনো ভূমিকা ছিল না। প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণরূপে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি নির্ভরভাবে পরিচালিত হলেও প্রতিবছর আয়ের ২৫% বিয়াম ফাউন্ডেশনকে দিতে হয়।
পাশাপাশি, খাতা, ডায়েরি ও উপকরণ কেনার নামেও ফাউন্ডেশন বছরে ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা আদায় করছে। প্রায় ১৮০ জন শিক্ষক-কর্মচারী দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে পদোন্নতি, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।
প্রতিষ্ঠানটি সরকারিকরণের দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৩ মে, শনিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সাতমাথায় মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষরতা অভিযান এবং ৪ মে, রবিবার জেলা প্রশাসক ও বিয়াম আঞ্চলিক কেন্দ্রের পরিচালকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
তারা বলেন, সরকার যদি তাদের তিনটি দাবি—সরকারিকরণ, হয়রানিমূলক বদলি বাতিল এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রত্যাহার—অবিলম্বে মেনে না নেয়, তবে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এম.কে.