
মির্জাপুর হাটের ভাঙ্গা শেড ও পলিথিনের নিচে অস্থায়ী দোকানে চলছে বেচা-কেনা
পাবনার চাটমোহর উপজেলার পুরাতন ও ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ হাট মির্জাপুর হাট। কর্তৃপক্ষের নিকট ঠিক যেন সতিনের ছেলে এ হাটটি। প্রায় তিন চার বছর আগে হাটের শেড গুলো ভেঙ্গে পড়লেও আজ পর্যন্ত সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে ব্যবসায়ীরা কেউ খোলা আকাশের নিচে আবার কেউ পলিথিনের অস্থায়ী ছাউনির নিচে প্রতিকূল পরিবেশে জীবনের তাগিদে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা ও জানাজায়, উপজেলার মির্জাপুর হাট সপ্তাহের দুই দিন (রোববার ও বৃহস্পতিবার) বসে। এই হাটটি আশে-পাশের উপজেলার মধ্যে সব চেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী হাঁট হওয়ায় হাটটিতে চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, আটঘরিয়া, তাড়াশ, উল্লাপাড়া, সিংড়াসহ বিভিন্ন উপজেলার হাজারো মানুষ এখানে বেচাকেনা করার জন্য আসেন।
কিন্তু হাটের ভেঙ্গে যাওয়া শেডের দিকে তাকালেই এই হাটটি কতটা মূল্যহীন, ঠিক যেন সতিনের ছেলে কর্তৃপক্ষের কাছে তা বোঝা যায়। দীর্ঘদিন ধরে ছাউনি না থাকায় ব্যবসায়ী ও ক্রেতা উভয় পক্ষকেই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে থেকে বারবার কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ী আব্দুস ছালাম ও আমজাদ বলেন, অনেক বার অভিযোগ দিয়েও ভাঙ্গা শেড ভালো হলো না। শেড ভাঙার পর থেকে আমরা অনেক কষ্টে পলিথিন টাঙ্গিয়ে দোকান চালাচ্ছি। বৃষ্টি হলে বেচাকেনা অসম্ভব হয়ে পড়ে। মালামাল ভিজে নষ্ট হয়।
মির্জাপুর হাটে আসা ক্রেতাদের সাথে কথা হয়, তারা বলেন, চাটমোহর বাসীদের কাছে হাটটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। উপজেলার অন্যান্য হাটের চেয়ে এই হাটটি অনেক বড় হওয়ার কারণে এলাকাবাসীরা সপ্তাহের দুই দিন এই হাট থেকে প্রয়োজনীয় বাজার করে থাকেন। বৃহত্তর চলনবিলের বিভিন্ন এলাকা থেকে ফসল বেচা কেনা করতে আসেন। হাট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় হলেও নেই যথাযথ হাট উন্নয়নের ব্যবস্থা। অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিকে কর্তৃপক্ষের নেই কোনো সুদৃষ্টি।
হাটের ক্রেতা বিক্রেতাদের দাবি, এলাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই হাটের অবকাঠামো অবহেলিত থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ব্যবসা-বাণিজ্য। সরকার হারাবে রাজস্ব। তাই দ্রুত সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চৌধুরি বলেন, মির্জাপুর হাটের শেড সংস্কারের বিষয়ে আমরা অবগত আছি। প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। খুব দ্রুতই সংস্কার কাজ শুরু হবে।
রফিকুল ইসলাম রনি/মিরাজ খান