ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

জুলাই অভ্যুত্থানে দৃষ্টিশক্তি হারানো আজিজুলের চিকিৎসা বন্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঞ্ছারামপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

প্রকাশিত: ২১:২২, ৫ মার্চ ২০২৫

জুলাই অভ্যুত্থানে দৃষ্টিশক্তি হারানো আজিজুলের চিকিৎসা বন্ধ

চোখের ভেতর ৭টি ও মাথায় আরও ৪১টি  গুলির স্পিøন্টার নিয়ে পরগাছার মতো বেঁচে আছে আজিজুল। দৃষ্টিশক্তি হারানো আজিজুলের খোঁজ আর কেউ নেয়নি। অনেকটা বিনা চিকিৎসায় বাড়িতেই এখন দিন কাটছে আজিজুলের।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নরসিংদীর মাধবদী এলাকায় গত ১৮ জুলাই আরও অনেকের মতো রাজপথে প্রতিবাদে নেমেছিলেন বাঞ্ছারামপুরের তেজখালী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের আজিজুল হক। হঠাৎ দুই চোখে ছররা গুলির স্পিøন্টার এসে লাগে। সেই যে মাধবদী এলাকার পৌলানপুর ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আজিজুল দৃষ্টিশক্তি হারায়, তা আর ফেরত আসেনি। ওই ঘটনার পর দেশে বহু ঘটনা ঘটে গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনসহ হয়েছে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন। দৃষ্টিশক্তি হারানো আজিজুলের খোঁজ আর কেউ নেয়নি। অনেকটা বিনা চিকিৎসায় বাড়িতেই এখন দিন কাটছে আজিজুলের।
জানা গেছে, মাদ্রাসায় পড়ার পাশাপাশি মাধবদীতে একটি টেক্সটাইল কারখানায় চাকরি করত আজিজুল। তার আয়েই চলত সংসার, বাবার চিকিৎসা ও ছোট বোনের লেখাপড়া। ফলে আজিজুলের অসুস্থতার কারণে পরিবারেও নেমে এসেছে চরম অন্ধকার। সরকারের কাছে পরিবারের আবেদন, বিদেশে নিয়ে আজিজুলের চিকিৎসা করানোর। অন্তত একটি চোখও যদি ভালো হয়, তাহলে আজিজুল আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারব।
আজিজুলের বাবা কামাল মিয়া বলেন, আমার এই ছেলে পরিবারের একমাত্র অবলম্বন ছিল। কিন্তু বর্তমানে সে ঘরে অন্ধ হয়ে বসে আছে। কোনো লোক আসে না তাকে দেখতে।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুরের ইউএনও ফেরদৌস আরা জানান, জুলাই অভ্যুত্থানে আহতের তালিকায় আজিজুলের নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তাকে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। আজিজুলের উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। তার চিকিৎসায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

×