ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

হঠাৎ করেই উত্তাল, টেকা যায় না সমুদ্রে ॥ জলবায়ু পরিবর্তনে পাল্টেছে চরিত্র

‘সাগর যেন ক্যামুন অইয়া গ্যাছে ঠিকানা বদলেছে ইলিশ’

মেজবাহউদ্দিন মাননু, কলাপাড়া, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২৩:৩৯, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩

‘সাগর যেন ক্যামুন অইয়া গ্যাছে ঠিকানা বদলেছে ইলিশ’

মাছ শিকারে সাগরের পথে জেলেরা

‘সাগর-নদীতে এখন প্রায়ই অস্বাভাবিক জোয়ার বইতে থাকে। স্রোতের তোড়ও বেশি। কিছুদিন পর পর বিপদ সংকেত। হঠাৎ বড় বড় ঢেউয়ের ঝাপটা। বোট চালানোর উপায় থাকে না। গেল দুই মাসে অন্তত দশবার আবহাওয়া খারাপ হইছে।’ 
এসব কথা জানালেন ট্রলার মাঝি নিজাম উদ্দিন। গত ১৮ বছরে এমন বাজে অবস্থা তিনি আর দেখেননি। নম্বরবিহীন একটি ফিশিং বোটে কাজ করেন তিনি। একই কথা জেলে আবু জাফরের। জানালেন, এমনিতেই গভীর সাগরে ছাড়া ইলিশ মেলে না। চালনার বয়া ছাড়িয়ে যেতে হয়। সেখানেও খুব কম।

চরম ঝুঁকি নিয়ে সাগরে যাওয়ার দুইদিন পরেই আবহাওয়া খারাপ হয়ে যায়। কখনো কিছু ইলিশ পাই, কখনো খালি হাতে ফিরতে হয়। এক-দুই বার জাল পাতার সুযোগ মেলে। অথচ একেকবারে সাগরে যেতে দুই থেকে তিন-চার লাখ টাকা খরচা হয়। বরফ, খাবার ও জ্বালানিসহ এই খরচ লাগে। যেখানে ৮-১০ দিন থাকার কথা সাগরে। পুরো সময় থাকতে পারলে যে পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যেত তাতে অন্তত লোকসান হতো না। 
এফবি লিমা বোটে এখন বাবুর্চির কাজ করেন ছোহরাব হোসেন। বয়স্ক এ মানুষটি জানালেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার এক বছর পর থেকে বোটে কাজ করেন তিনি। ১৬ কি ১৭ বছর বয়সে শুরু। টানা ১৯টি বছর মাঝি ছিলেন। স্মৃতি হাতড়ে আরও জানান, তখন বরফ ছিল না। কাটারুর কাছে ইলিশ বিক্রি করতেন। লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করতেন। তখনো ৫০/৬০ মণ ইলিশ পেতেন একবারে। গভীর সাগরে যেতে হতো না। এখন গহীন সাগরে যেতে হয়। ঝড়-ঝাপটাসহ ডাকাতের কবলেও পড়েছেন। সাগরে ভেসেছেন। তিনি বলেন, ‘র‌্যাবের কারণে ডাকাতরা নেই বললেই চলে। ভয় কাইট্যা গেছে। কিন্তু সাগর যেন ক্যামুন অইয়া গ্যাছে।’  
গত দেড় মাসে অন্তত চারটি বোট ডুবেছে সাগরে। হাজারো ফিশিং ট্রলার শিববাড়িয়ার চ্যানেলের আলীপুর-মহিপুর বন্দরে ভিড়ে আছে। সবার ভাষ্য এক। মাছ আছে। ধরতে পারছেন না। অন্তত ৩০ হাজার জেলে। দুইশ’ আড়তমালিক। অর্ধশত বরফকল মালিকসহ ৫০ হাজার পরিবারে এখন শঙ্কা বিরাজ করছে লোকসানের। গেল বছর প্রত্যেক ট্রলারের গড়ে লাখ টাকার ব্যবসা হয়েছে। এ বছর শতকরা ৯০ জনে লাভের মুখ দেখতে পারেনি। উল্টো লোকসানের ধকল বইছেন। নিজাম মাঝি জানালেন, যদিও তারা বেতনভোগী। তারপরও মনে শান্তি নেই। মালিকের লাভ না থাকলে কারও মন-মেজাজ ভালো থাকে না। 
উপজেলা মাঝি সমিতির সভাপতি নূরু মিয়া জানান, বছরের ৬৫ দিন ও ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় যায় প্রায় তিন মাস। বর্ষা মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ থাকে আরও দুই মাস। এরপরে বিভিন্ন ধরনের সিগন্যাল ও বার বার আবহাওয়া খারাপ থাকায় আরও দুই মাস মাছ শিকার বন্ধ থাকে। এ ভাবে সাত মাস মাছ ধরা যায় না। বাকি পাঁচ মাসে সর্বোচ্চ ১৫ বার সাগরে যাওয়া যায়। ১৫ ট্রিপে বাজার সওদা নিয়ে কমপক্ষে ৩৫ লাখ টাকা খরচ আছে। এ ছাড়া জেলেদের পারিশ্রমিক তো আছেই। এরপরে লাভের মুখ দেখতে হয়। 
নূরু মাঝি সোজা-সাপটা বললেন, ‘এখন সাগরে ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড় হচ্ছে। পানির উচ্চতা বাড়ছে। তাপমাত্রা বাড়ছে। কিনারে মাছ আসে না, সাগরের গভীরে যাওয়া লাগে। সিডরের পর থেকেই এমন দশা। এ বছর অবস্থা আরও খারাপ। গড়ে ছোট-বড় ৯০ ভাগ ট্রলারই লোকসানে। ফলে পেশা টিকবে কি না বুঝতে পারছি না।’
মহিপুর মৎস্য বন্দরের মেসার্স ফয়সাল ফিসের মালিক ও প্রভাবশালী মৎস্য ব্যবসায়ী নেতা গাজী ফজলুর রহমান জানান, এ বছর গড়ে প্রত্যেকটি ট্রলার ৬-৭ ট্রিপ সাগরে মাছ শিকারে গেছে। আবহাওয়া এতোটা খারাপ ছিল যে, সাগরে গিয়ে এক রাত থাকার পরে কিনারে ফেরত আসতে হয়েছে। ২০-২২ জন জেলেসহ সাগরে গিয়ে আবার খালি ট্রলার নিয়ে ফেরত আসতে হয়েছে। ফলে যাওয়া-আসার তেল খরচ হয়ে গেছে। খাবার খরচ হয়েছে। বরফ গলে গেছে। দুই- থেকে তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আবার মাছ কখনো পেলেও ৭ থেকে ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পেরেছেন। তার পাঁচটি ট্রলারের একটিতে বেশ কিছু মাছ পেয়েছেন বলে জানালেন। বাকি চারটায় লোকসান। এভাবে শতকরা ৯০ ভাগ ট্রলারের মালিক গড়ে ৩০-৪০ লাখ টাকার লোকসানে আছে। 
ফজলু গাজীর ভাষায়, ‘ গত ৩০ বছরে এমন দুর্যোগ আর দেখিনি। এই বছর সিগন্যাল ছাড়াও বাতাস হঠাৎ বেড়েছে। কিনারে কোনো মাছ নেই। গভীর সাগরে, তাও একশ’ ফুট খাড়া জালে কিছু ইলিশ পাওয়া গেছে। মাছ পানির অনেক নিচে চলাচল করছে।’ 
ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছ ধরার ব্যবসা টিকবে কি না তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন এই ব্যবসায়ী। তার দাবি এ বছর মহিপুরের ৮০টি আড়ত থেকে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ চারপাঁচ হাজার মণ ইলিশ সরবরাহ হয়েছে। অথচ আগের বছরগুলোতে এই সময়ের মধ্যে ২০-৩০ হাজার মণ ইলিশ এখান থেকে বিভিন্ন মোকামে চালান হয়েছে বলে জানালেন।
আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম বলেন, ‘জলবায়ুর পরিবর্তন কি না জানি না, তবে বড় ধরনের পরিবর্তন হচ্ছে।’ 
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির কলাপাড়া অফিসের দেওয়া তথ্যানুসারে ২০০৭ সালের সুপার সাইক্লোন সিডর থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত উপকূলীয় বঙ্গোপসাগরে ৩১টি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। যা ঝড়ো হাওয়ার আকারে উপকূল অতিক্রম করে। এর মধ্যে সর্বশেষটি ছিল মিধিলা। মিধিলার পর সাগরে আবার নি¤œচাপ থেকে ‘মিগজাউম’ নামে নতুন ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে। 
বিগত ১৬ বছরে এসব ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় এলাকায় মোট ১৬৪ দিনেরও বেশি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করে। ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের গতিবেগও ক্রমশ বাড়ছে। সিডরে বাতাসের গতিবেগ ছিল প্রলয়ঙ্করী, ঘণ্টায় ২২৩ কিলোমিটার।

এরপরে ২০২০ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ হয় ঘণ্টায় ২৪৯ কিলোমিটার। আর পানির উচ্চতা ছিল আইলায় সবচেয়ে বেশি সাড়ে ছয় মিটার। এ ছাড়া স্থানীয় সতর্ক সংকেতও বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। ২০১২ সাল থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকায় স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখানো হয় অন্তত ৪৬ বার। আবহাওয়া অনেকটা দুর্যোগপূর্ণ থাকে অন্তত ১৭৩ দিনেরও বেশি। ২ বছর এ কারণে স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে ১১ বার। এ ছাড়া দূরবর্তী সতর্ক সংকেত ছিল সাতটি। 
কলাপাড়া ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির সহকারী পরিচালক আছাদউজ্জামান জানান, আইলার পর থেকে উপকূলীয় এলাকায় বর্ষা মৌসুমে অমাবস্যা পূর্ণিমার জোতে সাগর-নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ার বইছে। যার ফলে নিচু এলাকা বেশি প্লাবিত হয়। মানুষের জীবনযাত্রায় বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে এ বছর দুর্যোগের মাত্রা আরও বেড়ে গেছে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা সত্যি প্রমাণ করে দিয়েই অন্যান্য দেশের মতো উপকূলীয় দেশ বাংলাদেশের সাগরেও ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা বেড়েছে। ফলে জেলেরা এখন আর আগের মতো সাগরে গিয়ে মাছ ধরতে পারছে না। ফলে তারা তাদের আয় হারাচ্ছে। যাকে জলবায়ু পরিবর্তনের ভাষায় ‘লাস অ্যান্ড ডেজেম’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। বাংলাদেশে যখন ‘মিগজাউম’ নামে বছরের চতুর্থ ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়, তখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে চলছে ২৮তম জলবায়ু সম্মেলন।

এই সম্মেলনের প্রধান এজেন্ডাই হচ্ছে, গত সম্মেলনে গঠিত লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ডে অর্থ প্রদানের মাধ্যমে এটিকে কার্যকর করা। তবে আশার বিষয় হলো, সম্মেলনের প্রথম দিনেই এই তহবিলে অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে এটিকে কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন অপেক্ষা, এই তহবিল থেকে অর্থ প্রাপ্তির। সেই অর্থ দিয়ে আয় হারানো উপকূলের জেলেদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। 
ট্রলার মাঝিদের দেওয়া তথ্যে দেখা যায়, ধার-দেনায় কাহিল অধিকাংশ বোট মালিক। ১০-১২ দিনের বাজার নিয়ে সাগরে গিয়ে দুই দিনও থাকতে পারে না জেলেরা। এমন কোন গোন (জো) নেই একবারে দুইদিনের বেশি সাগরে অবস্থান করতে পারছেন। জেলেদের দাবি এমনিতেই এ বছর ইলিশ কম ধরা পড়ছে। তার ওপরে এত বেশি সাগর উত্তাল আগে কখনো দেখেননি। তাদের মতে একেকটি আড়তের মালিক কমপক্ষে ১০ থেকে ৫০ লাখ টাকার দেনায় পড়েছেন। গেল বছর জেলে পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের ভাষ্য এক, আবহওয়া খুব খারাপ। ঘন ঘন নিম্নচাপ। প্রচণ্ড উত্তাল থাকছে সাগর।

৩৫-৪০টি বরফকলেও নেই তেমন বেচাকেনা। শ্রমিকরাও অনেকটা বেকার হয়ে আছে। জ্বালানিসহ জেলেদের সঙ্গে সম্পর্কিত দোকানগুলোয় নেই বেচাকেনা। এক কথায় দক্ষিণের অন্যতম ইলিশের মোকাম মহিপুর-আলীপুরে বিরাজ করছে এক ধরনের হতাশা। আড়তমালিকসহ হাজার হাজার জেলে পরিবারে চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। সকলে একই কথা সাগর খুব বেশি গরম। এমনটা তারা গত ২০ বছরে দেখেননি। পেশায় এক ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

পশ্চিম নজিবপুর গ্রামে বাড়ি জেলে হানিফার (৬৫)। ২০ বছর আগে আপন ভাই আনোয়ারকে নিয়ে এফবি সাগর ট্রলারে মাছ ধরতে গিয়ে ডুবে যান। ট্রলার ডুবিতে নিজে বাঁচলেও ভাইকে রক্ষা করতে পারেননি। ২ মাস সাগর মোহনা সংলগ্ন বেড়িবাঁধে দাঁড়িয়ে, ভাইয়ের লাশ খুঁজেছেন। এই শেষ। আর সাগরে যাননি হানিফ। তার ভাষায়, জাইল্যা পেশায় মোর কাল হয়েছে। মায়, বুইনে, বউ সবাই মিল্যা আর গাঙ্গে যাইতে দেয় নাই। 
সাগরের উপর প্রচ- ক্ষুব্ধ হানিফা, তার বিশ্বাস ছিল সাগর সব ফিরাইয়া দেয়। কিন্তু তার ভাইকে জ্যাতা-মরা কোনভাবেই ফিরাইয়া দেয়নি। ক্ষোভে, কষ্টে তাই পেশায় ক্ষান্ত দিয়েছেন। মহাজন ইউনুচ খায়ের ১৮ হাজার টাকার দেনা নিয়েই জেলে পেশার ইতি টেনেছেন। স্ত্রীর নামে ব্যাংক থেকে পাঁচ হাজার টাকা লোন নিয়ে কেনা ভ্যান চালাচ্ছেন। নিজেই চালক। মৎস্য বন্দর মহিপুর থেকে পশ্চিম নজীবপুর গ্রামের শেষ প্রান্তে খালগোড়ায় ভ্যানে যেতে যেতেই এসব জানা গেল হানিফের কাছ থেকে। গল্পের ছলে খাতির জমে যায় তার সঙ্গে। দাদনের কথা টানতেই হানিফের ফের মন্তব্য, ‘জাইল্যারা মরলেই দাদন আর দেনা যাই কন সব শ্যাষ, এর আগে না।’ জেলে পেশা ছাড়লেও সাগরের ভয়াল দৃশ্য এ মানুষটি আজও ভুলতে পারছেন না।
দক্ষিণ মুসল্লিয়াবাদ গ্রামের জেলে দম্পতি দেলোয়ার হোসেন-কুলসুম দম্পতি জানালেন, মাছের ঠিকানা বদলে গেছে। এখন আর সাগরের অগভীর এলাকায় ইলিশ আসে না। এ দুই গ্রামের দুইশ’ পরিবার এখন বিকল্প পেশার কথা ভেবে সামনে আগাচ্ছেন। ইতোমধ্যে পরিবারের নারী সদস্যরা ইকোফিশ প্রকল্প ২ এর অধীনে ছাগল পালনের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। গ্রাম দু’টির অধিকাংশরা জানান, এখন আর শ্যালো টিউবওয়েলে পানি আসে না। ব্যবহারের পানি পর্যন্ত মেলে না। আর খাওয়ার পানি তো বহুদূর থেকে আনতে হয়। 
আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ফিশ ইকোফিশ-২ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি জানান, জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে সাগরে পানির উচ্চতা বাড়ছে, কিন্তু পলির স্তর বেড়ে কমছে নদীর নাব্য। সাগরেও অসংখ্য ডুবোচর। জেলেরা এখন মাছের জো পায় না। আর ইলিশ প্রজনন মৌসুমে অভয়াশ্রমসহ আশপাশে না আসলে ডিম ছাড়তেও এখানে নাও আসতে পারে। এসব কারণে ইলিশের আহরণ কমে যাওয়ায় জেলেরা বিকল্প পেশায় ঝুঁকছেন।

×