
নিষেধাজ্ঞার সময় জব্দ করা মাছ ধরার ইঞ্জিন চালিত নৌকা
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশ প্রজনন রক্ষার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে গত ২ নভেম্বর। জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্সের ৫৭৩ অভিযানে জব্দ হয় কাঠের ইঞ্জিন চালিত ৬২টি নৌকা। প্রতিটি নৌকার বর্তমান বাজার মূল্য দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। সে হিসেবে উন্মুক্ত নিলামের অপেক্ষায় খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে কোটি টাকা মূল্যমানের এসব নৌকা। একই সময়ে নৌ পুলিশের অভিযানে জব্দ হয় ১৯৪টি নৌকা।
শুক্রবার সকালে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা গেছে নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের অভিযানে জব্দ বহু নৌকা নদীর পাড়ের ওপরের অংশে পড়ে আছে। এসব নৌকাগুলোর মধ্যে ইঞ্জিন রয়েছে। কোনো নৌকায় একটি আবার অনেক নৌকায় একাধিক ইঞ্জিন রয়েছে।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান জানান, আমাদের নৌ অঞ্চলের সবগুলো ইউনিটের মা ইলিশ রক্ষায় বিগত ২২ দিনে অভিযানে ১৯৪টি মাছ ধরার নৌকা জব্দ হয়। জেলে আটকের সঙ্গে এসব নৌকা, জাল ও মাছ জব্দ হয়। নৌকাগুলো মামলার আলামত হিসেবে জব্দ দেখানো হয়। যে কারণে মামলার নিষ্পত্তি ও আদালতের নির্দেশ ছাড়া এসব নৌকা মালিকরা নিতে পারেন না। বিগত অভিযানগুলোতে মামলা নিষ্পস্তির পরে মালিকরা তাদের নৌকাগুলো নিয়েছেন। এবারও একই নিয়মে নিতে হবে। এখানে আমাদের কোনো কিছু করার নেই।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান জানান, আমাদের অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযানে যেসব নৌকা জব্দ রয়েছে, সেগুলো খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি হবে। গত মার্চ-এপ্রিল মাসে জাটকা রক্ষা অভিযানে যেসব জেলে নৌকা জব্দ করা হয়, সেগুলো উন্মুক্ত নিলামে বিক্রির পরে প্রাপ্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে। এবারও তাই হবে। নিলাম কার্যক্রমটি মৎস্য বিভাগের সহযোগিতায় সম্পন্ন করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।