ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১২ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

চাঁদপুর জেলা ॥ বিএনপি মরিয়া পুনরুদ্ধারে

কোন্দল থাকলেও সব আসন ধরে রাখতে সচেষ্ট আওয়ামী লীগ

জালাল চৌধুরী, চাঁদপুর

প্রকাশিত: ০০:৩৫, ৩ নভেম্বর ২০২৩

কোন্দল থাকলেও সব আসন ধরে রাখতে সচেষ্ট আওয়ামী লীগ

ইলিশের জেলা হিসেবে খ্যাত চাঁদপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসনই রয়েছে আওয়ামী লীগের দখলে

ইলিশের জেলা হিসেবে খ্যাত চাঁদপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসনই রয়েছে আওয়ামী লীগের দখলে। দলীয় কোন্দলের মধ্যেও আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সব আসন ধরে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। অপরদিকে বিএনপি চায় জয়ের ধারায় ফিরতে। তবে উভয় দলেই রয়েছে তীব্র কোন্দল। নির্বাচন সামনে রেখে মাঠ গোছাতে ব্যস্ত আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ জোট-মহাজোটের নেতাকর্মীরা। কেউ গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে ঘন ঘন নিজ নিজ এলাকা সফর করছেন। একই সঙ্গে দলীয় মনোনয়ন পেতে বহু নেতা দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে লবিং শুরু করে দিয়েছেন।

এ সরকারের আমলে অনেক উন্নয়ন কর্মকা- দৃশ্যমান হলেও স্থানীয় রাজনীতিতে পক্ষ-বিপক্ষ গ্রুপ হওয়ায় আগামী নির্বাচনী নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় রাজনীতি সচেতন ব্যক্তিরা। তবে সরকারি দলের নেতারা এসব অপপ্রচারে কান না দিতে নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়েছেন। অপরদিকে ক্ষমতাসীন দলের এমন কোন্দল-বিবাদ পুঁজি করে হারানো আসন পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় কাজ করে যাচ্ছে বিএনপি। তারা একদিকে আন্দোলনের নামে মাঠ গুছিয়ে নিচ্ছেন, অপরদিকে ক্ষমতাসীন দলের ত্যাগী ও জনপ্রিয় নেতাদের নামে অপপ্রচার চালিয়ে নৌকার প্রার্থীদের সুনাম নষ্ট করছেন।

বিএনপির মধ্যে গ্রুপিং থাকলেও ঐক্যবদ্ধভাবে দলীয় যে কোনো সভা-সমাবেশ এবং আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছেন দলটির নেতাকর্মীরা। জাতীয় পার্টি (জাপা) ও জামায়াতের তৎপরতাও দেখা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আর বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে নির্বাচনে অংশ নেবে বলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। 
চাঁদপুর-১ (কচুয়া ও মতলবের একাংশ) ॥ জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা কচুয়া। স্বাধীনতাপূর্ব থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ পর্যন্ত এ আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে রদবদল হয়েছে। এ আসনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে যেমন অন্তর্দ্বন্দ্ব, কোন্দল ও গ্রুপিং রয়েছে, তেমনি বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝেও রয়েছে চরম গ্রুপিং। তবে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে যাকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে তার পক্ষেই কাজ করা হবে বলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা জানান।

এই আসনে রয়েছেন টানা তিনবারের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের সভাপতি ম-লীর সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর। তিনি আগামী নির্বাচনেও মনোনয়ন চাইবেন বলে নেতাকর্মীরা জানান। আওয়ামী লীগের মনোয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে আরও রয়েছেন এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেন ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. সেলিম মাহমুদ। নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশায় মো. গোলাম হোসেন দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত সাক্ষাৎ, সভা-সমাবেশ ও কর্মিসভা করে সমর্থন চাচ্ছেন।
কচুয়ায় তারুণ্যের একটা অংশ নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অধ্যাপক ড. সেলিম মাহমুদ। ইতোমধ্যে দলীয় সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে নেতাকর্মী, যুবকদের নিজ বলয়ে ভিড়িয়েছেন। আসনটিতে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি, জাপা বা অন্য কোনো দলের সাংগঠনিক কোনো কার্যক্রম দৃশ্যমান নেই। স্থানীয় বিএনপি নেতারা বলছেন, আগামী নির্বাচনে দল অংশ নিলে কচুয়া-১ আসনে তাদের প্রার্থী থাকবে এবং সে লক্ষ্যে অনেকেই কাজ করছেন। সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন বিদেশে অবস্থান করায় দুর্দিনে দলীয় নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর রাখায় তৃণমূলের সমর্থন পান। দলীয় মনোনয়ন পেলে তিনি এ আসন থেকে নির্বাচন করবেন বলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবির জানান।

এদিকে জাপার মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও চাঁদপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কে এম শহীদুল ইসলাম এবং কেন্দ্রীয় যুবনেতা ও উপজেলা জাপার সদস্য সচিব মাইনউদ্দিন মাইনু। ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা জোবায়ের আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে। 
চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) ॥ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মতে, এ আসনের জনপ্রিয় ব্যক্তি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম। উন্নয়ন কর্মকা- বিবেচনায় অন্যদের চেয়ে তিনি এগিয়ে আছেন বলে অনেকেই মনে করছেন। বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের রুহুল আমিন রুহুল এবারও মনোনয়ন চাইবেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়নের দৌড়ে আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান টেকনোক্র্যাট অর্থ প্রতিমন্ত্রী ও একুশে পদক পাওয়া বরেণ্য অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. শামছুল আলম।
অপরদিকে এ আসনে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা খুবই দুর্বল। দলীয় কর্মসূচি অত্যন্ত শিথিল। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন ড. জালাল ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস শুক্কুর পাটোয়ারী এবং সাবেক সংস্থাপন প্রতিমন্ত্রী ও তিনবারের সাবেক এমপি মরহুম নুরুল হুদার পুত্র তানভীর হুদা। জাপার সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা জাপার দীর্ঘদিনের সভাপতি এমরান হোসেন মিয়া রয়েছেন। 
চাঁদপুর-৩ (সদর ও হাইমচর) ॥ আসনটিতে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে ব্যাপক মতপার্থক্য রয়েছে। নেতায় নেতায় দ্বন্দ্ব এখনো মেটেনি। এতে হতাশ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দলীয় দ্বন্দ্ব নিরসন করে প্রার্থী মনোনয়ন দিলে বিজয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যথায় এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিজয় ছিনিয়ে নিতে পারে ভোটব্যাংক হিসেবে খ্যাত বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট। 
চাঁদপুর-৩ আসনটি জেলার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই আসনটি বিএনপির ঘাঁটি বলেই চিহ্নিত ছিল। দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর পর আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আসনটি পুনরুদ্ধার করেন। এ আসন থেকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি টানা তিনবার সংসদ সদস্য হন। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোয়ন চাইবেন এবং জনগণের ভোটের সমর্থন পাবেন বলে দলীয় নেতাকর্মীরা জানান। ডা. দীপু মনির বিপরীতে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। নির্বাচনী এলাকায় তার রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি অত্যন্ত জননন্দিত।
এছাড়া ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে পরিচিত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চাঁদপুর পৌরসভার দুইবারের জনপ্রিয় মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম আব্দুল করিম পাটোয়ারীর বড় ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নাঈম পাটোয়ারী দুলাল মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে। এই আসনে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মাঝে অভ্যন্তরীণ বিভেদ থাকলেও বিএনপির ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত এ আসনে দলীয় কোন্দল মিটিয়ে নেতৃত্বের আসনে রয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক।

বিএনপি নির্বাচনে এলে শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন। এদিকে জাপা থেকে এবার প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জেলা জাপার সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোহসিন খান, গণফোরাম থেকে প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা সভাপতি সেলিম আকবর, ইসলামী আন্দোলনের জেলা সভাপতি জয়নাল আবেদীন শেখ।
চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) ॥ আসনটিতে আওয়ামী লীগের মধ্যে তীব্র গ্রুপিং রয়েছে। বিএনপির মধ্যেও গ্রুপিং রয়েছে। দুই দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মাঠপর্যায়ে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। আগামী নির্বাচনে আসনটি ধরে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ আর বিএনপির টার্গেট আসনটি পুনরুদ্ধার। আসনটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবেই বেশি পরিচিত। আগামী নির্বাচনে আসনটি ধরে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। আর বিএনপি চায় হাতছাড়া হয়ে থাকা এই আসনটি দখলে নিতে। বর্তমানে নেতৃত্বে থাকা আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে রয়েছে চরম বিরোধ। আগামী নির্বাচনে দুই দলের মনোনীত প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতার ওপরই নির্ভর করবে কে জয়লাভ করতে পারে।

দীর্ঘ বছর আওয়ামী লীগের হাতছাড়া এ আসনটিতে ২০১৪ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. শামছুল হক ভূইয়া এবং ২০১৮ সালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ শফিকুর রহমান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে আসনটি আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে দাবি করা হলেও নেতাকর্মীরা বলছেন, আগামী নির্বাচনে দলের মধ্যে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়ন না দিলে আসনটি আবারও বিএনপির দখলে চলে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে বর্তমান সংসদ সদস্য মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য ড. শামছুল হক ভূইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. হারুনুর রশিদ সাগর, ফরিদগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান।
অপরদিকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি লায়ন হারুনুর রশিদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সিআইপি মোতাহার হোসেন পাটওয়ারী, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ হান্নান। জাপা থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী হলেন জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মনিরুল ইসলাম।
চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) ॥ এ আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে রয়েছে চরম গ্রুপিং। উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এ আসনে রয়েছেন পাঁচবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য মুক্তিযুদ্ধকালীন ১নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর (অব) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে আরও রয়েছেন সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর, ওয়ান ইলেভেনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য আবু জাফর মো. মঈনুদ্দিনের কন্যা আইনজীবী নুরজাহান বেগম মুক্তা। এ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসাইন।

আসনটি দীর্ঘদিন বিএনপির হাতে ছিল। এখন পুনরায় আসনটি উদ্ধার করতে বিএনপি মরিয়া হয়ে উঠেছে। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির বিএনপির সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক রাজনৈতিক মাঠ ধরে রেখেছেন। জোটগত বা দলীয়ভাবে বিএনপি নির্বাচনে এলে তিনি দল থেকে মনোনয়ন চাইবেন বলে নেতাকর্মীরা জানান। এ আসনে ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। অপরদিকে হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক, হাজীগঞ্জ মডেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবির পাটওয়ারীও মনোনয়নপ্রত্যাশী। দলের দুর্দিনে হাল ধরে হাজীগঞ্জে বিএনপির একটি শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছেন। এছাড়া এ আসনে জাপা থেকে কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক খোরশেদ আলম খুশু মনোনয়নপ্রত্যাশী।

×