ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১২ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

শাহজালালের মাজারে ‘হাফ প্যান্ট’ পরে ঢোকা নিষেধ করল কর্তৃপক্ষ

প্রকাশিত: ১৭:৪৯, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

শাহজালালের মাজারে ‘হাফ প্যান্ট’ পরে ঢোকা নিষেধ করল কর্তৃপক্ষ

হযরত শাহজালালের (রহ.) মাজার 

প্রথমবারের মতো হযরত শাহজালালের (রহ.) মাজার দরগাহ গেট এলাকায় সাইনবোর্ড লাগানো হয়। সিলেটে হযরত শাহজালালের (রহ.) মাজার দরগাহ গেটের ভেতরে হাফ প্যান্ট পরে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মাজার কর্তৃপক্ষ। 

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) মাজারের প্রবেশের মূল ফটক ও পেছনের প্রবেশমুখে কয়েকটি সাইনবোর্ড টানানো। এতে লেখা—‘হাফ প্যান্ট পরে মাজারের গেটের ভেতরে প্রবেশ নিষেধ। আদেশক্রমে কর্তৃপক্ষ।’

এ বিষয়ে দরগাহে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজারের মোতাওয়াল্লি সরেকওম ফতেহ উল্লাহ আল আমান বলেন, সারাবছরই শাহজালালের মাজার জিয়ারতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ আসেন। দেশি-বিদেশি পর্যটকরা সিলেটে এলে একবার হলেও ঘুরে যান শাহজালালের মাজার। ইদানীং অনেক পর্যটক হাফ প্যান্ট পরে মাজারে আসছেন। এতে মাজারের আদব ও পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে। তাই মাজার এলাকায় হাফ প্যান্ট পরে না ঢুকতে নিষেধাজ্ঞামূলক সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে।

 তবে মাজার কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করছেন অনেকে। তারা বলছেন, এমন সাইনবোর্ড টানানো ঠিক হয়নি। এ স্থানকে শুধু মাজার হিসেবে দেখলে হবে না। এটি সিলেটের একটি দর্শনীয় ও ঐতিহ্যবাহী স্থান। অনেক মত ও আদর্শের মানুষ এখানে ঘুরতে আসেন। এমনকি মুসলিম ছাড়া ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষও আসেন ঘুরতে। এ অবস্থায় এমন সাইনবোর্ড টানানো পর্যটকদের আনাগোনা কমিয়ে দিতে পারে।

সুলতান শামসুদ্দিন ফিরোজ শাহের শাসনকাল ১৩০৩ সালে হযরত শাহজালালের হাতে বিজিত হয় সিলেট অঞ্চল। ১৩৪০ সালে হযরত শাহজালাল মৃত্যুবরণ করলে তাকে সিলেট শহরের দরগাহ এলাকায় সমাহিত করা হয়। বর্তমানে মাজার এলাকায় শত শত জালালি কবুতর, পুকুরভর্তি গজার মাছ ছাড়াও শাহজালালের ব্যবহৃত তলোয়ার রক্ষিত আছে।

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত এসব পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ হযরত শাহজালালের (রহ.) দরগাহ দর্শন ও জিয়ারত। প্রতি শুক্রবার লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে দরগাহ এলাকা। বিশেষ করে জুমার নামাজের সময় মুসল্লিদের এতটাই ভিড় হয় যে, মসজিদ আঙিনা ছাড়িয়ে নামাজের কাতার বসে মূল সড়ক পর্যন্ত। নামাজ শেষে মুসল্লিরা মাজার জিয়ারত করেন।

 

এস

×