ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

সংস্কৃতি সংবাদ

শিল্পাঙ্গনে সাত শিল্পীর চিত্রকর্ম প্রদর্শনী ‘নৈমিত্তিক’

সংস্কৃতি প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:১২, ৩১ আগস্ট ২০২৩

শিল্পাঙ্গনে সাত শিল্পীর চিত্রকর্ম প্রদর্শনী ‘নৈমিত্তিক’

লালমাটিয়ার শিল্পাঙ্গন গ্যালারিতে নৈমিত্তিক শীর্ষক চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর ছবি দেখছেন দর্শনার্থীরা

নানা মাধ্যমে চিত্রিত চিত্রকর্মগুলো ঝুলছে লালমাটিয়ার শিল্পাঙ্গন গ্যালারিতে। ছবিগুলো এঁকেছেন নানা বয়সী প্রতিশ্রুতিশীল সাত চিত্রশিল্পী। নিয়মিত চিত্রকলাচর্চায় নিবেদিত এই শিল্পীদের প্রত্যেকের কাজে রয়েছে স্বতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য। তাই রংতুলির আঁচড়ে বিচিত্র বিষয় উদ্ভাসিত হয়েছে তাদের ক্যানভাসে। নিসর্গের নান্দনিকতার সমান্তরালে চিত্রপটে ধরা দিয়েছে যাপিত জীবনের নানা দৃশ্যকল্প থেকে চারপাশের চেনা জগতের নানা অনুষঙ্গ। কেউ বা আবার উদ্ভিদ থেকে প্রাণীজগতকে বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করেছেন ক্যানভাসে। মূর্ত রীতির পাশাপাশি বিমূর্ত রীতির কাজেরও দেখা মিলেছে বৈচিত্র্যের সন্ধানী চিত্রকর্মগুলোয়। সেসব ছবি নিয়ে চলছে নৈমিত্তিক শিরোনামের যৌথ প্রদর্শনী। 
প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী সাত শিল্পী হলেনÑ সুলেখা চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান দীপন, এ এইচ ঢালি তমাল, ফারজানা রহমান ববি, তরুণ ঘোষ, অনুকূল মজুমদার ও ইমরান হোসেন পিপলু। 
বির্মূত রীতির আশ্রয়ে ভরা পূর্ণিমার ছবি এঁকেছেন মাহমুদুর রহমান দীপন। মায়াবি এক আবহ সৃষ্টি হয়েছে সে ক্যানভাসে। উল্টোদিক থেকে আসা চাঁদের হলদে আভায় ঝলমল করছে ঘরের এক পাশের দেয়াল। আলোর বিভাময় দেয়ালটির একাংশে কালো রেখার টানে ভেসে উঠেছে মনুষ্য মুখাবয়ব। প্রহেলিকাময় ছবিটির জমিনে দৃশ্যমান হয়েছে নীলাভ জলধারা। টলমলে সেই জলে ভাসছে কাগজের সাদা নৌকাখানি। সব মিলিয়ে দীপনের ছয়টি চিত্রকর্ম ঠাঁই পেয়েছে এই প্রদর্শনীতে। গতিশীল রেখার সঙ্গে আলো-ছ্য়াার খেলায় সেজেছে এই চিত্রকরের চিত্রপটসমূহ। অ্যাক্রেলিক ও চারকোল মাধ্যমে ছবি এঁকেছেন এই শিল্পী। 
চিত্রকর্ম সৃজনে প্রকৃতির পানে ফিরে চেয়েছেন ফারজানা রহমান ববি। লতা-পাতায় আবৃত বৃক্ষরাজি থেকে গাছের ডালে পাতার ভাঁজে ঝুলে থাকা ফুলের সৌন্দর্য্যময়তা ধরা দিয়েছে তার ক্যানভাসে। শুধু কি তাই! প্রাচীন বৃক্ষের জট পাকানো শেকড়ের মাঝে অবয়ব মেলে ধরে সেজেছে তার চিত্রপট। নিজের কাজ প্রসঙ্গে এই শিল্পী বলেন, আসলে এই শেকড়গুলো আপন আত্মার সঙ্গে মানুষের সংযোগরেখার প্রতীকী উপস্থাপন। আমি আমার চিত্রকর্মে গাছের শিকড়কে মানুষের শিরা হিসেবে কল্পনা করি। কারণ, শেকড় যেমন একদিকে গাছকে মাটিতে ধরে রাখে অন্যদিকে মানুষের মূলের সঙ্গে মৃত্তিকার সম্পর্ক গড়ে তোলে। সব মিলিয়ে ৪৭টি চিত্রকর্মের সম্মিলনে সেজেছে এই শিল্পায়োজন। পক্ষকালব্যাপী চলমান এই প্রদর্শনীর শেষ দিন আগামী ২ সেপ্টেম্বর। প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

×