![শ্যালিকাকে ধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক দুলাভাই গ্রেপ্তার শ্যালিকাকে ধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক দুলাভাই গ্রেপ্তার](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2023May/rape-04-2306010450.jpg)
গ্রেপ্তার পলাতক আসামি।
শ্যালিকাকে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজা এড়াতে ২০ বছর ধরে আত্মগোপনে থেকেও শেষ রক্ষা করতে পারলেন না আসামি আব্দুল হামিদ। তিনি পূর্বধলা থানার গোহালাকান্দা ইউনিয়নের হাটবারেঙ্গা গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে।
গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব ও পূর্বধলা থানা পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালে আগস্ট মাসে আব্দুল হামিদ স্কুল পড়ুয়া শ্যালিকাকে (১৩) নিজ গ্রামের স্কুল থেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে একটি গাড়ীতে উঠিয়ে ব্রাক্ষণবাড়ীয়া জেলায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে তিনদিন আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। শ্যালিকাকে অসুস্থ অবস্থায় রেখে সে নিজ বাড়ি পূর্বধলায় চলে আসে। পরে ওই স্কুল ছাত্রী স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তার নিজ বাড়ি পূর্বধলায় ফিরে আসে। বাড়ি ফিরে পরিবারের লোকজনের কাছে সে ঘটনা খুলে বললে মেয়ের মা বাদী হয়ে নেত্রকোনা সদর থানায় একটি ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা দায়ের করে।
পরবর্তীতে এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি আব্দুল হামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপরাধ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামী আব্দুল হামিদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অপহরণে দায়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় অতিরিক্ত আরো ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
রায়ের পর থেকে দীর্ঘ বিশ বছর ধরে আসামি তার নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে এবং জাতীয় পরিচয় পত্রে ছদ্মনাম ধারণ করে ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানা এলাকায় পালিয়ে ছিল। গ্রেপ্তারের পর গতকাল বুধবার সকালে তাকে পূর্বধলা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পূর্বধলা থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, রায়ের পর থেকে সে আত্মগোপনে চলে যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গতকাল ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানার এলাকা থেকে র্যাব-১৪ এর সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতের মাধমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এমএইচ