ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাঁচ বছরেও মেরামত হয়নি সেতু

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২২:১৩, ৩০ মে ২০২৩

পাঁচ বছরেও মেরামত হয়নি সেতু

বাসাইল উপজেলার নিরাইল এলাকায় হেলেপড়া সেতু

টাঙ্গাইলের বাসাইলে উদ্বোধনের আগেই হেলে পড়া সেতুটি দীর্ঘ পাঁচ বছরে পরেও মেরামত হয়নি। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সেতুটি না থাকায় পাশর্^বর্তী ১০ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। উদ্বোধনের পূর্বেই হেলে পড়া সেতুটি উপজেলার নিরাইল এলাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিজ খরচে পুনরায় নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় প্রকল্প পরিচালক। কিন্তু তা আর আলোর মুখ দেখেনি। অভিযোগ রয়েছে বাসাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার যোগসাজশে পার পেয়ে গেছেন ওই ঠিকাদার।

সরেজমিনে দেখা যায়, টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ফুলকি-ফুলবাড়ি সড়কের নিরাইল এলাকায় অযতœ-অবহেলায় পড়ে রয়েছে উদ্বোধনের আগে হেলে পড়া সেই সেতুটি। দেখে মনে হয় এক অভিশপ্ত নগরীর ধ্বংসাবশেষ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বারবার জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও সেতুটির বিষয়ে কোনো প্রকার সুরাহা হয়নি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন সাত লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রতিবেদন দেন। এতে করে ওই প্রতিষ্ঠান পুনরায় কাজ শেষ না করেই সেতুটি ভেঙে ব্যবহৃত রড ও কংক্রিট নিয়ে যায়। এতে করে সড়ক ব্যবহারকারীদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে।
এ বিষয়ে ফুলকি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সামছুল আলম বিজু বলেন, যখন ওই সেতুটি নির্মাণ করা হয়, তখন আমি চেয়ারম্যান ছিলাম না। তবে আমি চাই, আমার এলাকার জনগণের সুবিধার জন্য ওই স্থানে একটি সেতু পুনরায় নির্মাণ করা হোক। এ জন্য আমি খুব শীঘ্রই জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করব। এ বিষয়ে বাসাইল উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পিআইও) সাখাওয়াত হোসেন ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি অস্বীকার করেন বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের ক্ষতি হবে জেনে সেতুটি পুনরায় নির্মাণ করে দেয়নি। এ ছাড়া ওই স্থানে সেতু নির্মাণের কোনো প্রকার প্রকল্প পুনরায় হাতে নেয়নি বলেও তিনি জানান। এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার বলেন, দুর্নীতির বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনগণের সুবিধার জন্য সেতুটি পুনরায় নির্মাণ করার জন্য খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বগুড়ায় সেতু নির্মাণের চেয়ে ভূমি অধিগ্রহণের ব্যয় বেশি
স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস থেকে জানান, বগুড়ায় শহরের পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগের অন্যতম সংযোগরক্ষাকারী ফতেহ আলী ব্রিজ দৃষ্টিনন্দনভাবে নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণেই বেশি টাকা ব্যয় হচ্ছে। করতোয়া নদীর ওপর এই ব্রিজ নির্মাণে ব্যয় প্রায় ১৯ কোটি ৮৩ কোটি ধরা হলেও ভূমি অধিগ্রহণে ব্যয় হবে আরও প্রায় ২০ কোটি টাকা। ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রিজটির পুনর্নির্মাণে ভাঙার কাজ চলতি মাসে শুরু হলেও চলাচলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জানান, বর্তমানে ব্রিজটির দৈর্ঘ্য ৬৫ মিটার এবং প্রস্ত প্রায় ১৮ ফুট। নতুন ব্রিজটির দৈর্ঘ্য হবে ৬৯ মিটার এবং প্রস্ত প্রায় ৪০ ফুট। এ কারণে এ্যাপ্রোচ সড়কসহ ব্রিজের জন্য দু’পাশে ১৬ শতক ভূমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ জন্য প্রায় ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে এবং অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। 

গোবিন্দগঞ্জে সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কে হাঁটুপানি
নিজস্ব সংবাদদাতা, গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা থেকে জানান, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার প্রধান শিল্প ও বাণিজ্য কেন্দ্র  মহিমাগঞ্জ এবং হোসিয়ারি শিল্পখ্যাত কোচাশহরে  যাতায়াতের প্রধান সড়কটিতে সারাবছরই খানাখন্দে পূর্ণ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন এই সড়ক ব্যবহারকারীরা। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে কোচাশহর বাজার এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটুপানিতে ডুবে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে। মাঝেমধ্যে মেরামতের উদ্যোগ নিলেও পরিকল্পিত মেরামত না হওয়ায় জনগণের কল্যাণে এই মেরামত কোনো কাজেই আসছে না। এলজিইডির গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আতিকুর রহমান তালুকদার বলেন, এই সড়কের সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে।  ঈদের কারণে বন্ধ ছিল এখন কাজ আবারো শুরু হবে।

×