নিহতের বাড়িতে এলাকাবাসীর ভিড়
ভোলায় রাতের আধাঁরে ৫ সন্তানের জননী বিবি কুলসুম (৪০) নামের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৫ মে) সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের সাজিকান্দি গ্রামের বসত ঘর থেকে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত কুলসুম মো. তছির মাঝির স্ত্রী ও ভোলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের আলী মাঝির কন্যা।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রতিপক্ষের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত মামলার ভয়ে তাঁর স্বামী বেশ কয়েকদিন ধরে অন্যত্রে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাই কুলসুম তাঁর সন্তান নিয়ে রাতে নিজ বসত ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাতের আধাঁরে দুর্বৃত্তরা এ হত্যাকা- ঘটিয়েছে। নিহতের স্বজনরা সাংবাদিকদের জানান, প্রতিপক্ষের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিরোধের মামলার ভয়ে কুলসুমের স্বামী অন্যত্রে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ঘটনার দিন রাতে কুলসুম সন্তান নিয়ে ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। রাতে কে বা কারা কুলসুমকে হত্যা করেছে তা কেউ টের পায়নি। স্বামী তছির রবিবার দিবাগত রাতে কুলসুমের ফোনে একাধিকবার কল দিয়েছে। কল রিসিভ না করায় তছির তাঁর বড় ছেলে হানিফকে সোমবার সকালে ফোন করে বাড়িতে যেতে বলে। বড় ছেলে বিয়ে করে একই গ্রামে থাকে। বড় ছেলে বাড়িতে গিয়ে এ হত্যাক- দেখতে পান। খবর পেয়ে স্বামী তছিরও বাড়িতে ছুটে আসেন।
নিহতের সাথে একই চৌকিতে ঘুমানো তার ১০/১২ বছরের ছেলে রাহাত বলেন, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম কিছুই দেখিনি । সকালে আমার চাচাত ভাই ফরিদ এসে আমাকে ঘুম থেকে ঢেকে জাগালে মশারির ভিতর থেকে উঠে আমি দরজা খুলে এসে মাকে ডাকলে দেখি মায়ের মাথার কাছে ভেজা। আমি ভাবছি মা বমি করছে। পরে দেখি রক্তে ভিজা মা মরে আছে।
নিহতের দেবর ইউনুস (২৬) জানান, গত কিছু দিন আগে তাদের সাথে প্রতিবেশী কাওছার, বিল্লাল, আকতার, কামাল, জামাল ও ছিদ্দিক গংদের সাথে বন্ধকি জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় উভয় পক্ষের ভোলা সদর থানায় মামলা চলমান রয়েছে। তারা সকল ভাই প্রতিপক্ষের মামলায় অভিযুক্ত আসামি থাকায় পুলিশের ভয়ে পালিয়ে ছিলেন। তাদের প্রতিপক্ষরা এ সুযোগে এ হত্যাকা- ঘটিয়েছে বলে দাবি করেন ইউনুস।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মো. শাহীন ফকির জানান, লাশের ময়না তদন্ত শেষে নিহত নারীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ওই নারী অন্তসত্ত্বা ছিলেন বলে শুনেছেন। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে এখনো কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
টিএস
