ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২

শেরপুর-১

শক্ত অবস্থানে আওয়ামী লীগ চ্যালেঞ্জ বিএনপির

রফিকুল ইসলাম আধার, শেরপুর

প্রকাশিত: ২২:৫৫, ১১ জানুয়ারি ২০২৩

শক্ত অবস্থানে আওয়ামী লীগ চ্যালেঞ্জ বিএনপির

সীমান্ত জেলা শেরপুরে তীব্র শীতের মাঝেও যেন কিছুটা উষ্ণতা ছড়াচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের

সীমান্ত জেলা শেরপুরে তীব্র শীতের মাঝেও যেন কিছুটা উষ্ণতা ছড়াচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগাম হাওয়া। এ নির্বাচনের প্রায় এক বছর বাকি থাকলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ রাজপথে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীরা নড়েচড়ে বসছেন। কেন্দ্রে যাতায়াত বাড়িয়ে লবিং-তৎপরতার পাশাপাশি এলাকায় উঁকিঝুঁকি বাড়িয়ে কৌশলে শুরু করছেন আগাম নির্বাচনী তৎপরতা।

হাজির হচ্ছেন নানা সামাজিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনুদান এবং অনুষ্ঠান আয়োজনের খরচাপাতিও বহন করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ফলে রাজনীতির অন্দর মহল থেকে শুরু করে মাঠেময়দানেও উঠে আসছে আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ও আলোচনা।
অনেক প্রগতিশীল আন্দোলন-সংগ্রামের তিনটি পাদপীঠ এবং পাহাড়, নদী, ধানেসমৃদ্ধ ও প্রাকৃতিক শোভাম-িত অঞ্চল শেরপুর। এ জেলায় সংসদীয় আসন রয়েছে তিনটি। এর মধ্যে সদর উপজেলা নিয়ে শেরপুর-১ আসন, নকলা ও নালিতাবাড়ী উপজেলা নিয়ে শেরপুর-২ আসন এবং শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা নিয়ে শেরপুর-৩ আসন গঠিত।

জেলার সংসদীয় আসনগুলোর মধ্যে শেরপুর-১ (সদর) আসনে সাংগঠনিকভাবে আওয়ামী লীগের অবস্থান অনেক শক্তিশালী। ১৯৯৬ সাল থেকেই  আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। এ আসনে টানা ৫বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন দলের সদ্যসমাপ্ত কাউন্সিলে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ মো. আতিউর রহমান আতিক। তিনি এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। কৃষক পরিবার থেকে উঠে আসা ‘নিরহংকার’ আতিক সাধারণ জীবনযাপনের কারণে এলাকায় রাজনীতিক হিসেবে তার আলাদা একটি ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে।

পরিচিতি পেয়েছেন ‘মাটি ও মানুষের নেতা’ হিসেবে। কিন্তু এবার তার পথের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছানুয়ার হোসেন ছানু। গতবারের মতোই তিনি এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। এছাড়া সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা যুব মহিলা লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফাতেমাতুজ্জহুরা শ্যামলী এবং প্রজন্ম ’৭১ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মৃদু আলোচনায় রয়েছেন।

তবে সেই আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন আতিক ও ছানুই। জনপ্রিয়তায় এখনো অনেক এগিয়ে আতিক। সাংগঠনিক দিক দিয়েও আওয়ামী লীগের ভিত অতীতের চেয়ে অনেক শক্তিশালী।
অন্যদিকে, জোটের রাজনীতির স্বার্থে ১৯৯১ থেকে ২০০৮ এ ৪টি জাতীয় নির্বাচনে শেরপুর-১ আসনটি জামায়াতকে ছেড়ে দেয় বিএনপি। যে কারণে বিএনপির ‘ধানের শীষ’ প্রতীক না পেয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে এক ধরনের হতাশা নেমে আসে। কিন্তু জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি কার্যকরের পর নতুন স্বপ্ন ডানা মেলে বিএনপি নেতাদের মনে। ফলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ মো. হযরত আলী গত নির্বাচনে বাগিয়ে নেন দলীয় মনোনয়ন।

কিন্তু ঋণখেলাপির কারণে তার মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় বিকল্প হিসেবে প্রার্থী করা হয় তারই মেয়ে তরুণ চিকিৎসক সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কাকে। এবারও হযরত আলীর ঋণখেলাপির দায় থেকে মুক্তি না পাওয়ায় ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কাই প্রার্থী হচ্ছেন, এমনটাই শোনা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী ভিত ভাঙতে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছে বিএনপি। তবে জেলা যুবদলের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদে গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. শফিকুল ইসলাম মাসুদও প্রার্থী হতে তৎপর রয়েছেন।

আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায় বিএনপি। তাদের আশা, এবারও বিএনপি প্রার্থীকেই শেরপুর-১ আসন থেকে জোটের মনোনয়ন দেওয়া হবে। তবে মাঠে না থাকলেও গুঞ্জন রয়েছে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসি হওয়া কামারুজ্জামানের পুত্র হাসান ইমাম ওয়াফি জোটগত নির্বাচনের প্রশ্নে শেষটায় প্রার্থী হতে পারেন। 
মহাজাটের শরিক হলেও জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি ও জাসদের সঙ্গে শেরপুরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কোনো সমন্বয় নেই এমন অভিযোগ রয়েছে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে। যে কারণে তারা নির্বাচনের মাঠে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে ছাড় দিতে নারাজ।  এক্ষেত্রে জাপা থেকে জেলা জাপার সভাপতি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মো. ইলিয়াছ উদ্দিন, জাকের পার্টি থেকে দলের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান পীরজাদা মোস্তফা আমির ফয়সাল এবং জাসদ থেকে জেলা জাসদের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন, এমন গুঞ্জন মাঠে রয়েছে। মহাজোটের প্রার্থী হতেও তাদের রয়েছে অভ্যন্তরীণ তৎপরতা।
আওয়ামী লীগ ॥ ছাত্রজীবনে শেরপুর সরকারি কলেজের ভিপি, একবার উপজেলা চেয়ারম্যান এবং টানা ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার সুবাদে এলাকায় সরকারের নজরকাড়া উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং ব্যাপক জনসম্পৃক্ততার কারণে সাধারণ মানুষের মাঝে হুইপ আতিউর রহমান আতিকের আলাদা একটি ইমেজ রয়েছে। তিনি ২০০১ এর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়কাল ব্যতীত ৪ দফাতেই ভোগ করে আসছেন ক্ষমতার স্বাদ।

ফলে এই দীর্ঘ সময়ে সদর উপজেলার একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নে  বেশ কিছু স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা স্থাপনসহ অনেক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা এমপিওভুক্তি, সরকারি- বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন,  জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন অফিস প্রতিষ্ঠা, গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা স্বীকৃত। সদ্যসমাপ্ত জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন সফল করতে গিয়ে তিনি শেরপুর শহরসহ ১৪টি ইউনিয়নেই যেভাবে কর্মী সমাবেশ করেছেন, সেটাই তার আগাম নির্বাচনী তৎপরতার অংশ বলে ভাবা হচ্ছে।

সর্বোপরি পৌর এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ভোটের দিক দিয়ে প্রায় সমান্তরাল অবস্থানে থাকলেও ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে পূর্বাঞ্চলের ৮টি ইউনিয়নই আওয়ামী লীগের বিশাল ভোটব্যাংক হিসেবে খ্যাত। আর পূর্বাঞ্চলের অধিবাসী হওয়ার পাশাপাশি ওই বিশাল ভোটব্যাংকের জনক ও নিয়ন্ত্রক আতিক নিজেই। যে কারণে আগামী নির্বাচনেও তিনি মনোনয়ন পাবেন এবং বরাবরের মতো এবারও ক্রমবর্ধমান ভোটসংখ্যার ব্যবধানে জয়ী হবেন, এমনটাই প্রত্যাশা দলের মূল ধারার নেতা-কর্মীদের। 
তবে একবার উপজেলা চেয়ারম্যান ও ৫বার এমপি হওয়াসহ ৩ দফায় দলের জেলা শাখার সভাপতি হওয়ার কারণে বিগত পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে রাগ-ক্ষোভ, বিভিন্ন কমিটি গঠন নিয়ে অসন্তোষ এবং বিশেষ করে জেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র দলের ভেতর আতিকবিরোধী একটি বলয় তৈরি হয়েছে। তারা এবার ‘আতিক ছাড়া নৌকার দাবি নিয়ে মাঠে নামবেন, এমন দাবি ওই বলয়ের।

আর ওই বলয়ের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নের প্রত্যাশায় মাঠে নামছেন  জেলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ছানুয়ার হোসেন ছানু। তার সঙ্গে রয়েছেন দুদফায় দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারমান হুমায়ুন কবীর রুমান ও  জেলা যুবলীগ সভাপতি, ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিবসহ একটি বলয়।

কিন্তু তিনি পশ্চিমাঞ্চলের অধিবাসী এবং পশ্চিমাঞ্চলটি স্বাধীনতার পর থেকেই আওয়ামী বিরোধী অঞ্চল বলেই বিবেচিত। তার পরও ওই বলয়ের কিছু নেতাকর্মীর ধারণা, দলের সাধারণ সম্পাদকের মতো বিশেষ আশীর্বাদে দলীয় মনোনয়নও বাগিয়ে নিতে পারেন ছানুয়ার হোসেন ছানু। 
বিএনপি ॥ স্বাধীনতার পর ১৯৭৯ সালে শেরপুর সদর আসন থেকে প্রয়াত মন্ত্রী খন্দকার আব্দুল হামিদ এবং ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে সাবেক সচিব মরহুম নজরুল ইসলাম বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। এর পর জোটগতভাবে নির্বাচনের কারণে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা কামারুজ্জামানকে আসনটি ছেড়ে  দেয় বিএনপি। কিন্তু পর পর ৪ বার জোটগতভাবে এবং একবার দলীয়ভাবে নির্বাচন করেও জামায়াত নেতা কামারুজ্জামান জয়ের মুখ দেখেননি।

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দ- কার্যকর হওয়ার পর এ আসনে বিএনপির প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য নেতা-কর্মীদের দাবি জোরালো হয়। কেন্দ্রীয় নেতারাও সেই দাবির প্রতি একাত্মতা পোষণ করে  জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শিল্পপতি মো. হযরত আলীকে ধানের শীষের মনোনয়ন  দেন। 
কিন্তু ঋণখেলাপির জন্য মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় বিকল্প হিসেবে প্রার্থী হন তার মেয়ে ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা। ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে বারবার বাধার সম্মুখীন হয়েও নির্বাচনের মাঠ ছাড়েননি প্রিয়াঙ্কা। ফলে শুরু থেকেই দেশের সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় ছিলেন প্রিয়াঙ্কা। অবশেষে নির্বাচনের দিন দুপুরে নানা অভিযোগ তুলে সেই নির্বাচন বয়কট করেন তিনি।

তবে দলীয় নেতা-কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, গত নির্বাচনের পর থেকে নানা দুর্যোগপূর্ণ সময়ে এলাকায় পাওয়া যায়নি প্রিয়াঙ্কাকে। মামলা-হামলার শিকার হয়েও অনেকেই পাশে পায়নি তাকে। আর এ ক্ষোভ নিয়েই প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন  জেলা যুবদলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মাসুদ। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সম্মানজনক  ভোট পাওয়ায় পরিস্থিতি বিবেচনায় তিনি মনোনয়ন পেতে পারেন, এমন আশা দলের একটি অংশের। এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহও গতবারের মতো এবারও দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন।
জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য ॥ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ মো. ইলিয়াছ উদ্দিনের দাবি, শেরপুরের চরাঞ্চল জাতীয় পার্টি তথা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ঘাঁটি। এ আসনে ৩ বার জাতীয় পার্টির প্রার্থী এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। গত ৩বার মহাজোটের স্বার্থে আওয়ামী লীগকে আসনটি ছেড়ে দিলেও শরিক হিসেবে তাদের কোনো মূল্যায়ন করা হয়নি।

তাই আসনটি পুনরুদ্ধার করতে মহাজোটের মনোনয়ন চাচ্ছেন। অন্যদিকে জাকের পার্টির দাবি, এ আসনটি পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা আমির ফয়সলের পৈত্রিক পুণ্যভূমির। এ আসনের বিস্তৃত অঞ্চলে রয়েছে আটরশি পীরের ভক্ত-মুরিদগণ। পার্টির চেয়ারম্যান মহাজোটে নেতৃত্ব দেন। তাই তারা এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হতে চাইছেন। এজন্য ফরিদপুর ও রাজধানী ঢাকার একটি করে আসনের পাশাপাশি শেরপুর সদর আসনটিও জোরালোভাবেই তারা দাবি করবেন।

মহাজোট থেকে মনোনয়ন পেলে তিনি বিজয়ী হবেন বলে তারা আশাবাদী। মহাজোটের আরেক শরিক জাসদও (ইনু) এ আসনটি চায়। তাই এ আসন থেকে প্রার্থী হতে চান জেলা জাসদ সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন। তিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আলোচনায় ছিলেন। 
তবে ভোটারদের প্রত্যাশা, এ আসনে একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ তথা জোট ও মহাজোটের প্রার্থীর মধ্যে তুমুল লড়াই হবে। তবে প্রার্থী নির্বাচনে ‘অঘটন’ না ঘটলে এবারও নানা সমীকরণে আওয়ামী লীগই এগিয়ে থাকবে। 

×

শীর্ষ সংবাদ:

যেই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে: আমীর খসরু
জামায়াত নেতারা রাজাকার হলে পাকিস্তানে গাড়ি বাড়ি থাকতো : শামীম সাঈদী
এনসিপির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা নেই- উমামা ফাতেমা
‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটকদের অধিকাংশই ভারতীয় মুসলমান
ইয়েমেনে হামলা চালিয়েই সাগরে ডুবে গেল মার্কিন সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান
জামিন পেলেননা তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিন
লন্ডনে আজ আর্সেনাল পিএসজি মহারণ
১৭ অভিনয়শিল্পীর নামে মামলা, তালিকায় আছেন নুসরাত ফারিয়া-অপু বিশ্বাস-ভাবনাসহ অনেকেই
১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ড্র অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল
স্বর্ণের দাম, রেকর্ড উচ্চতা থেকে পতনের পথে
কুমিল্লায় পুলিশ-সেনাবাহিনীর চাকরির নামে প্রতারণা: দালালসহ ১৩ জন গ্রেফতার
১২ বছর বয়সী ছেলে শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে ৩ মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার