ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি বিনিয়োগকারীদের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২১:৩৯, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি বিনিয়োগকারীদের

খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের দাবিতে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের দাবিতে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমআইএ)। এই সময় পুঁজিবাজার পতন রোধে তাৎক্ষণিক করণীয় হিসেবে বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে ১১ দফা তুলে ধরা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে ডিএসইর পুরাতন ভবনের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু হয়। এ সময় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হক নূর, ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ (সাধারণ সম্পাদক এবি পার্টি)। এ সময় সংগঠনটির সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম মানিকের সভাপতিত্বে মুখপাত্র ফরিদ আহমেদ, এস এম ইকবাল হোসেনসহ অন্যান্য বিনিয়োগকারীরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে পুঁজি রক্ষার্থে এবং আগামীর বাংলাদেশে স্বচ্ছ ও একটি সুন্দর পুঁজিবাজার গঠনে মাকসুদের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। সমাবেশে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা বলেন, রাশেদ মাকসুদ অযোগ্য। তার শেয়ারবাজার নিয়ে জ্ঞান নাই। তারপক্ষে শেয়ারবাজার পরিচালনা করা সম্ভব না। তাই শেয়ারবাজারের স্বার্থে তার দ্রুত পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে।

প্রতিবাদ সমাবেশে পুঁজিবাজার পতন রোধে তাৎক্ষণিক করণীয় হিসেবে দাবি-বিএসইসির চেয়ারম্যান ও আইসিবির চেয়ারম্যানকে দ্রুত অপসারণ করে নতুন যোগ্য চেয়ারম্যান নিয়োগ করে পুঁজিবাজারকে বাঁচাতে হবে। বর্তমান মার্কেট পরিস্থিতির কারণে গেইন-ট্যাক্স সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে। বর্তমান মার্কেট পরিস্থিতির কারণে অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে (তদন্ত ও অসময়ে জেড গ্রুপে প্রেরণ বিষয়ে)।
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে পাঠানোর বিধান সংস্কার করা প্রয়োজন। কারণ কোম্পানির জেড ক্যাটাগরিতে গেলে সর্বোপরি বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোম্পানিগুলোকে আয়ের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদান করতে হবে। ব্যাংক, ফাইন্যান্স, ইন্স্যুরেন্স, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও আইসিবিসহ পুঁজিবাজারে তাদের যতটুকু বিনিয়োগ করার কথা তা শতভাগ কার্যকর করতে হবে।

টাস্কফোর্সের সংস্কারগুলো মিডিয়ার মাধ্যমে বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের দ্রুত জানাতে হবে। সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ করে বিনিয়োগকারীকে ক্ষতিগ্রস্ত বা সর্বস্বান্ত করা হচ্ছে। কোম্পানিগুলোকে ন্যূনতম শেয়ার ধারণ ৩০ শতাংশ অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে। বিএসইসির দায়িত্ব অন্তত ১০টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড দ্রুত সময়ের মধ্যে বাজার বিনিয়োগ নিয়ে আসা। পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি পরপর দুই বছর লভ্যাংশ প্রদানে ব্যর্থহলে তার বোর্ড পুনর্গঠন করতে হবে। ফোর্স সেল বন্ধ করতে হবে।

×