ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১

স্বর্ণ জিতে মার্কিন মেয়েদের উচ্ছ্বাস

শাকিল আহমেদ মিরাজ

প্রকাশিত: ০১:২২, ১১ আগস্ট ২০২৪

স্বর্ণ জিতে মার্কিন মেয়েদের উচ্ছ্বাস

মেয়েদের ৪ গুণীতক ১০০ মিটার রিলেতে স্বর্ণ জয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের মেয়েদের বাঁধাভাঙা উচ্ছ্বাস

প্যারিস অলিম্পিকের অন্তিম মুহূর্তেও চলছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার পদকের লড়াই। শনিবার বিকেল পর্যন্ত সমান ৩৩ স্বর্ণ পরাশক্তি দুই দেশের। রৌপ্য ও ব্রোঞ্জসহ মোট ১১১ পদক নিয়ে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। আর মার্কিনিদের এ অগ্রযাত্রায় বড় ভূমিকা দেশটির স্প্রিন্টারদের। দৌড়ে তাদের ধরের কাছেও নেই আর কেউ। অ্যাথলেটিকসের বিভিন্ন ইভেন্ট মিলিয়ে স্বর্ণ ১১টি। সঙ্গে ১০ রৌপ্য ও ৮ ব্রোঞ্জে স্প্রিন্টে দেশটির পদক ২৯টি। ৩ স্বর্ণসহ ৪ পদকে দুইয়ে কানাডা। ৪ গুণিতক ১০০ মিটারের ভিন্ন দুটি ইভেন্টেও বাজিমাত করেছে প্রতিবেশী এই দুই দেশ। 
মেয়েদের দলীয় এই ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছে যুক্তরাষ্ট্র, রৌপ্য গ্রেট ব্রিটেন আর ব্রোঞ্জ জার্মানি। আর ছেলেদের ৪ গুণিতক ১০০ মিটারে বাজিমাত করেছে কানাডা। রৌপ্য গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরে, ব্রোঞ্জ গ্রেট ব্রিটেনের। স্তাদে দে ফ্রান্সের ট্রাকে ৪ গুণিতক ১০০ মিটার রিলেতে মার্কিন মেয়েরা স্বর্ণ জিততে সময় নিয়েছে ৪১.৭৮ সেকেন্ড। তাদের হয়ে দৌড়েছেন জেফারসন মেসিয়া, টেরি টিওয়ানিসা, গ্যাব্রিয়েলে টমাস ও শা’ ক্যারি রিচার্ডসন।

মৌসুম সেরা টাইমিং করলেও যুক্তরাষ্ট্র ভাঙতে পারেনি নিজেদের গড়া অলিম্পিক ও বিশ্বরেকর্ড। ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকে ৪০. ৮২ সেকেন্ড সময় নিয়ে দুটি রেকর্ডই গড়েছিল তারা। ৪১.৮৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে গ্রেট ব্রিটেন রৌপ্য ও ৪১.৯৭ সেকেন্ড টাইমিং করে জার্মানি পেয়েছে ব্রোঞ্জ। ‘রেকর্ড গড়তে না পারলেও আমরা মৌসুমের সেরা টাইমিং গড়েছি। তার চেয়ে বড় বিষয় এটা অলিম্পিক, যেখানে আমরা দেশকে স্বর্ণ পদক উপহার দিতে পেরেছি।’ বলছিলেন দেশটির তারকা অ্যাথলেট শা’ক্যারি।

এদিন অবশ্য ব্রিটিশদের কাছ থেকে বড় চ্যালেঞ্জই পেতে হয় তাদের। টাইমিংই সেটি প্রমাণ করে। ওদিকে ছেলেদের বিভাগে কানাডা স্বর্ণ জিতেছে ৩৭.৫০ সেকেন্ড সময় নিয়ে। মৌসুম সেরা টাইমিং করা (৩৭.৫৭) দক্ষিণ আফ্রিকা রৌপ্য ও গ্রেট ব্রিটেন ৩৭.৬১ সেকেন্ড সময় নিয়ে পেয়েছে ব্রোঞ্জ। বোঝাই যাচ্ছে ছেলেদের ৪ গুণিতক ১০০ মিটারে তিন দেশের মধ্যেই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। স্বর্ণজয়ী কানাডার হয়ে দৌড়েছেন আন্দ্রে দে গ্রাস, অ্যারন ব্রাউন, জেরোমে বেক ও ব্রেন্ডন রডনি। 
এ ইভেন্টেও জ্যামাইকার গড়া দুটি রেকর্ডই অক্ষত থেকে গেছে। ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকে ৩৬.৮৪ সেকেন্ড টাইমিং করে সেবার অলিম্পিকসের সঙ্গে বিশ্বরেকর্ডও গড়েছিল আফ্রিকান অঞ্চলের দেশটি। প্যারিস অলিম্পিকে সবচেয়ে আকর্ষণীয় পুরুষদের ব্যক্তিগত ১০০ মিটারে স্বর্ণ জেতেন নোয়াহ লাইলস, দুর্ভাগ্য করোনার কারণে ২০০ মিটারে ব্রোঞ্জ জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল এই তারকাকে। এরপর তো ৪ গুণিতক ১০০ মিটারে অংশই নিতে পারেননি। মেয়েদের ২০০ মিটারে অবশ্য মার্কিনিদের আনন্দে ভাসিয়েছিলেন গ্যব্রিয়েলি থমাস। 
ছেলেদের ৪০০ মিটারে দেশটিকে স্বর্ণ এনে দেন কুইন্সি হল। ১৫০০ মিটারে মার্কিনিদের নায়ক ছিলেন কোলি হকার। এই ইভেন্টে ব্রোঞ্জও জেতেন দেশটির আরেক স্প্রিন্টার। এ ছাড়া ১০ হাজার মিটারে ব্রোঞ্জ জেতেন গ্রান্ট ফিশার। সর্বোপরি প্যারিস অলিম্পিকে স্বর্ণ এবং মোট পদক সংখ্যায় মার্কিনিদের যে দাপট, তাতে বড় অবদান দেশটির স্প্রিন্টারদের।

×