ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আবেগে কাঁদলেন সানিয়া!

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০১:৩০, ২৮ জানুয়ারি ২০২৩

আবেগে কাঁদলেন সানিয়া!

.

শেষটা কাব্যিক হলো না ভারতীয় টেনিস কুইন সানিয়া মির্জার। জেতা হলো না সপ্তম গ্র্যান্ডস্লাম শিরোপা। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মিশ্র দ্বৈতের ফাইনালে ব্রাজিলের স্টেফানি-মাতোস জুটির কাছে সানিয়া-বোপান্না জুটি হারলেন ৬-৭ (২-৭), ২-৬ গেমে। সানিয়া এর আগে ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে দ্বৈতে (ডাবলস) চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। গ্র্যান্ডস্লাম ক্যারিয়ারে সমান তিনটি করে দ্বৈত ও মিশ্র দ্বৈতের শিরোপা রয়েছে আধুনিক ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় এ টেনিস-কন্যার ঝুলিতে।
আর রোহন বোপান্না জিতেছিলেন ২০১৭ সালের ফ্রেঞ্চ ওপেন। বয়স ৩৭-এর ঘরে, সেরা সময় পার করে আসা সানিয়া আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন এটিই তার ক্যারিয়ারের শেষ গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্ট। ১৮ বছর আগে এই মেলবোর্ন পার্কেই পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু  করেছিলেন, সেদিনও তার প্লেয়িং পার্টনার ছিলেন বোপান্না! সন্তান সঙ্গী করে কোর্টে আসা সানিয়া এদিন তাই অশ্রু সংবরণ করতে পারেননি।
‘এটা কষ্টের নয়, আনন্দের কান্না। এই মুহূর্তটা আমি ব্রাজিলের জুটির থেকে কেড়ে নিতে চাই না। তোমরা দারুণ খেলেছ।’ প্রায় দেড় যুগ আগে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকেই পেশাদার টেনিসে যাত্রা শুরু হয়েছিল সানিয়ার। সে সময়ের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমার পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল এই মেলবোর্নে। যখন ২০০৫ সালে সেরেনা উইলিয়ামসের বিপক্ষে তৃতীয় রাউন্ডে খেলতে নেমেছিলাম। বারবার এই কোর্টে খেলার সুযোগ পাওয়া, কিছু টুর্নামেন্ট জিততে পারা আমার জন্য সম্মানের। রড লেভার অ্যারেনা আমার জীবনের বিশেষ কিছু। কখনো ভাবিনি সন্তনের সামনে গ্র্যান্ডস্লাম ফাইনাল খেলব, এ রকম বিশেষ জায়গায় দাঁড়িয়ে ক্যারিয়ারকে বিদায় জানাতে পারব। মনে হয়েছে, আমি বাড়িতে আছি। এমন অনুভূতি উপহার দেওয়ায় সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’ শুক্রবারের ফাইনালে শুরুতে অবশ্য ছন্দে ছিলেন সানিায়-বোপান্না জুটি। প্রথম সেটের অষ্টম গেমে প্রতিপক্ষের সার্ভিস ভেঙে সানিয়াই এগিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু পরের রেগমেই তাদের সার্ভিস ভেঙে যায়। টাইব্রেকারে গড়ানো সেটে ২-৭ গেমে হেরে যায় তারা। এরপর আর ছন্দ খুঁজে পায়নি ভারতীয় ইতিহাসের সেরা জুটি। দ্বিতীয় সেটেও লড়াই করতে পারেনি, হার ২-৬ গেমে। সেকেন্ড সার্ভিস পার্থক্য গড়ে দেয়। বিশেষ করে লুইসা স্টেফানির দ্বিতীয় সার্ভিস ছিল অসারধরণ। এরপর ব্রাজিলিয়ান জুটি এগিয়ে যায় ৪-১ গেমে। সানিয়ারা আর ফিরতে পারেননি।
সানিয়ার পেশাদার ক্যারিয়ারে ৪৪ খেতাবের ছয়টি গ্র্যান্ডস্লাম। ২০০৯ সালে মহেশ ভূপতির সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ২০১২ সালে মহেশের ফরাসি ওপেনের মিশ্র দ্বৈত, ২০১৪ সালে ব্রুনো সর্সের সঙ্গে ইউএস ওপেনের মিশ্র দ্বৈত, ২০১৫-এ উইম্বলডনের দ্বৈত, একই বছর ইউএস ওপেনের দ্বৈত এবং ২০১৬ সালে মার্টিনা হিঙ্গিসকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের খেতাব জেতেন সানিয়া। ভারতীয় ইতিহাসের একমাত্র প্রমীলা একক টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে সর্বোচ্চ র‌্যাঙ্কিংয়ের ৩০ নম্বরে ছিলেন তিনি। গ্ল্যামার কুইন সানিয়া গ্ল্যান্ডস্লাম ছাড়লেও অন্য সব টুর্নামেন্টে খেলা চালিয়ে যাবেন।

 

×