ওভালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে হারিয়ে মাঠ ছাড়ছেন দুই লঙ্কান ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও পাথুম নিশাঙ্কা
ব্রেন্ডন ম্যাকুলাম কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর বদলে গেছে ইংল্যান্ডের টেস্টের ধরন। ওয়ানডে স্টাইলের ব্যাটিংয়ে প্রতিনিয়ত প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করছে তারা। যেটার নাম হয়ে গেছে ‘বাজবল’। উল্টো আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে এবার তাদেরই ধরাশায়ী করল শ্রীলঙ্কা! আগেই সিরিজ খোয়ানো ধনঞ্জয়া ডি সিলভার দল ওভালে তুলে নিল ৮ উইকেটের দারুণ এক জয়।
২-১ এ ব্যবধান কমিয়ে শেষ করল সিরিজ। সোমবার চতুর্থ দিনে মাত্র ৪০.৩ ওভারেই ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২১৯ রান তুলে নেয় তারা। প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল ২৬৩। ইংল্যান্ড ৩২৫ ও ১৫৬। ৬৪ ও অপরাজিত ১২৭ রানের দারুণ দুটি ইনিংসে ম্যাচসেরা ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা। টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ বছর পর জয়ের স্বাদ পেল শ্রীলঙ্কা। সর্বশেষ ২০১৪ সালের লিডস টেস্টে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল তারা। মাঝের এক দশকে ১০ টেস্টের ৯টি জেতে ইংল্যান্ড। ড্র হয় অন্যটি।
ইংল্যান্ডের মাটিতে এশিয়ার কোনো দেশের এটিই সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড। ২০১০ সালে হেডিংলি টেস্টে ১৮০ রান তাড়া করে জিতেছিল পাকিস্তান। সান্ত¡নার জয়ের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার নায়ক নিসাঙ্কা। প্রথম ইনিংসে ঝড়ো ৬৭ রানের পর এবার তার ব্যাট থেকে এলো ১২৪ বলে ১২৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস।
১৩ চারের সঙ্গে দুই ছক্কায় ইনিংস সাজান ২৬ বছর বয়সী ওপেনার। জয়ের সুবাস গায়ে মেখেই তৃতীয় দিন শেষ করেছিল শ্রীলঙ্কা। চতুর্থ দিন বাকি থাকা ১২৫ রান করতে তাদের লেগেছে ২৫.৩ ওভার। দিনের শুরুতে দারুণ এক বাউন্সারে ৩৭ বলে ৩৯ রান করা কুসাল মেন্ডিসকে ফেরান গাস অ্যাটকিনসন। কিন্তু ওয়ানডের মতো করে ওভারপ্রতি পাঁচের বেশি রান তুললেও কখনো তেমন ঝুঁকি নেননি পরের দুই ব্যাটসম্যান। তাদের ১১১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্যাচ জিতে যায় শ্রীলঙ্কা। ১০৭ বলে ১১ চারে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন নিসাঙ্কা।