ছেলেদের ৪০০ মিটার দৌড়ে সেরা যুক্তরাষ্ট্রের কুইন্সি হল
অবিশ্বাস্যই! ২০০ মিটার দৌড়ের শেষদিকে চতুর্থ স্থানে ছিলেন কুইন্সি হল। কিন্তু সেখান থেকেই দুর্দান্ত কামব্যাকের মাধ্যমে প্রথম হয়ে স্বর্ণ জয়ের নজির গড়েন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই অ্যাথলেট। গড়েছেন ব্যক্তিগত সেরা টাইমিংয়ের রেকর্ড। সেইসঙ্গে হয়েছেন ইতিহাসের পঞ্চম দ্রুততম দৌড়বিদ। বুধবার ২০০ মিটারে মাত্র ৪৩.৪০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সমাপ্তিরেখা স্পর্শ করেন কুইন্সি হল।
অলিম্পিকের অন্যতম আকর্ষণীয় ইভেন্ট এই ২০০ মিটারে রৌপ্যপদক জিতেছেন গ্রেট ব্রিটেনের ম্যাথু হাডসন-স্মিথ। এদিন তিনি সমাপ্তিরেখা স্পর্শ করতে সময় নেন ৪৩.৪৪ সেকেন্ড। তবে তার স্বপ্ন ছিল স্বর্ণ জয়ের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা পূরণে ব্যর্থ হন ব্রিটিশ তারকা। যেখানে তৃতীয় হয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছেন জাম্বিয়ার মুজলা সামুকোঙ্গা। সেজন্য তার লাগে ৪৩.৭৪ সেকেন্ড। তবে সেরা চমকের নাম কুইন্সি হল।
২৬ বছর বয়সী এই অ্যাথলেট হাইস্কুলে পড়ার সময় থেকে ফুটবল আর রেসলিংয়ের মনোযোগী ছাত্র ছিলেন। কিন্তু বড় হয়ে আলো ছড়ালেন অ্যাথলেটিক্সের ট্র্যাকে। গত বছর বুদাপেস্টে অনুষ্ঠিত বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ৪০০ মিটারে তৃতীয় হয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। যদিওবা ৪ গুণিতক ৪০০ মিটার রিলেতে জিতেছিলেন স্বর্ণপদক। সেই কুইন্সিই এবার বাজিমাত করলেন প্যারিস অলিম্পিকে।
তাও আবার চরম নাটকীয় এক ফাইনাল উপহার দিয়ে। দৌড়ের শেষ দিকে চার নম্বরে থাকলেও শেষ পর্যন্ত বাকি তিনজনকে পেছনে ফেলে সবার আগে ফিনিশিং লাইন ছুঁয়েছেন তিনি। এমন কীর্তির পর তাই দারুণ রোমাঞ্চিত কুইন্সি।
প্রতিযোগিতার শেষে আমেরিকান অ্যাথলেট জানালেন সেই চিরাচরিত ‘কখনোই হাল না ছাড়া’র কথাটা। এ প্রসঙ্গে কুইন্সি হল বলেন, ‘আমি হাল ছেড়ে দেওয়ার মানুষ নই। প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম। যাই হোক না কেন আমাকে সেই লাইন স্পর্শ করতে হবে। ৪০০ মিটারের শেষ ৫০ মিটার অতিক্রম করতে কুইন্সির লাগে মাত্র ৫.৯৪ সেকেন্ড। এমন অবিশ্বাস্য পারফর্মেন্সের পরও অবশ্য বিস্মিত নন আমেরিকান স্প্রিন্টার। তিনি বলেন, ‘সেটা আমার জানাই ছিল। কারণ আমি জানতাম যে, আমাকে সবার আগেই শেষ করতে হবে।’