১৩৯ টেস্টে মাত্র ১৯টি জয় পেয়েছে বাংলাদেশ
টেস্টে বাংলাদেশের জয় খুবই কম। ১৩৯ টেস্টে মাত্র ১৯টি জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে দুটি জয় এসেছে টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম শক্তিধর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। দুই জয়েই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। গত বছর মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে অবিস্মরণীয় জয়ে প্রথম ইনিংসে ৬৪ রানের ইনিংস উপহার দেন এ বাঁহাতি। এবার সিলেটে একই দলের বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রথম জয়ে দুই ইনিংসে ৩৭ ও ১০৫ রানই শুধু করেননি দুর্দান্ত নেতৃত্ব দিয়ে নজর কেড়েছেন। সিরিজ শুরুর আগেই নতুন অধিনায়ক শান্ত সংবাদ সম্মেলনে সিরিজ জয়ের কথা বলেছেন।
যদিও অধিনায়করা দলকে উজ্জীবিত রাখতে এটা বড় ভূমিকা রাখে। এজন্য শান্ত ম্যাচ জয়ের পর বলেছেন, ‘আমি খুবই পরিষ্কার ছিলাম। আমি কাউকে অনুপ্রাণিত করার জন্য কথাটা বলিনি। আমি আসলেই বোঝাতে চেয়েছিলাম যে আমরা এই সিরিজটা জিততে পারি এবং জেতার জন্যই খেলব।’ প্রথম জয়টা এসেছে। সিলেটে নিউজিল্যান্ডকে পরাভূত করেছে বাংলাদেশ। এবার দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট নিয়ে শান্ত বলেছেন, ‘একটা ম্যাচ বাকি। অর্ধেক কাজ হয়েছে। এমন নয় যে পরের ম্যাচে যাব আর জিতে যাব, এরকম হবে না। আবারও পাঁচ দিন কষ্ট করা লাগবে। চেষ্টা করব পরের ম্যাচে কীভাবে আরও উন্নতি করে জিততে পারি।’ মিরপুর টেস্টে ড্র করতে পারলেই আরেকটি ইতিহাস হবে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ। শান্ত বলেছেন, ‘বিশ্বাসটা শুধু আমার মধ্যে ছিল, তা নয়। দলের প্রতিটা খেলোয়াড়ের মধ্যে ছিল। আমি যখন দেখেছি প্রত্যেক খেলোয়াড় ওভাবে চিন্তা করছে, তখনই আমার মধ্যে বিশ্বাসটা আসে। এখান থেকে জেতা যে সম্ভব, এই বিশ্বাসটা আমরা তখনই করেছি। ‘আমাদের কন্ডিশনে খেলা হচ্ছে। আমাদের যে বোলিং আক্রমণ, ব্যাটিংয়ে যে শক্তি আছে; ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই আলাদা আলাদা করে যেমন শক্তিমত্তা ছিল, আমার কাছে মনে হয়েছে, সিরিজটা জেতা সম্ভব।’
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে জিতেছেন কিউইদের বিপক্ষে দলের সদস্য হিসেবে। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলের ঐতিহাসিক জয়ের সময় টেস্টে যাত্রাই শুরু হয়নি শান্তর। এবার সিলেটে অধিনায়ক হিসেবে জয় পেয়েছেন।
শান্ত এ বিষয়ে বলেছেন, ‘ভালো লাগছে। খুবই খুশি। যে রকম চিন্তা করে এসেছিলাম, যে রকম পরিকল্পনা করেছি, সব মিলিয়ে যদি চিন্তা করি, তাহলে আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, আমরা খুব ভালো একটা ম্যাচ খেলেছি। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচে এ রকম জয়ে খুবই আনন্দিত। টেস্ট যে কোনো দলের বিপক্ষে যে কোনো সময় জিততেই ভালো লাগে। এমন দলকে হারালে খেলোয়াড়দের মধ্যে আত্মবিশ্বাসটা বাড়ে। টেস্ট ক্রিকেটে আমরা এখন যে অবস্থায় আছি, তার চেয়ে ভালো অবস্থায় যেতে পারি, এই বিশ্বাস কিন্তু আরও ভালোভাবে বেড়ে ওঠে।’