ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পেস ও স্পিনে সেরা বোলিং ইউনিট গড়ার লক্ষ্য

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:১৮, ৩১ মে ২০২৩

পেস ও স্পিনে সেরা বোলিং ইউনিট গড়ার লক্ষ্য

বাংলাদেশ দল সবসময়ই বোলিং বিভাগে স্পিনের ওপর নির্ভরশীল থেকেছে

বাংলাদেশ দল সবসময়ই বোলিং বিভাগে স্পিনের ওপর নির্ভরশীল থেকেছে। অতীতে স্পিনারদের ওপরই আস্থা রাখতে হয়েছে কোনো ম্যাচে ভালো করার জন্য। তবে গত কয়েক বছরে সেই পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। এখন শুধু স্পিন নির্ভরতা নেই, পেসাররা নিয়মিত ভালো করে আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। আর সে কারণেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ মনে করছেন, পেস ও স্পিনে এখন সেরা বোলিং ইউনিট গড়ার সুযোগ রয়েছে। দলগতভাবেই বোলিং বিভাগ থেকে সেরাটা বের করে আনতে কাজ করে যাচ্ছেন জাতীয় দলের কোচেরা এমনটাই দাবি তার। স্পিনারদের নিয়ে বিশেষ ‘ভেরিয়েশন’ ক্যাম্প পরিচালনা করছেন তিনি মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন হেরাথ।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করার জন্য নিয়মিতই ব্যাটিং-বোলিং ও ফিল্ডিং-এ তিন বিভাগে ভালো করাটা জরুরি। আর সেজন্য বোলিং বিভাগে পেস কিংবা স্পিন দুই ক্ষেত্রেই উন্নতি করা প্রয়োজন। আর সেজন্যই বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ হেরাথ পেসার-স্পিনার ব্যাপারটাই আলাদা করে দেখতে চাইছেন না। তিনি দাবি করেছেন দলের বোলিং বিভাগের সেরাটা বের করে আনার উদ্দেশ্যেই কাজ করে যাচ্ছেন কোচরা। সবাই চাইছেন দল হিসেবে উন্নতি করতে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজ উপলক্ষে মিরপুরে চলছে ক্রিকেটারদের প্রস্তুতি ক্যাম্প। আর স্পিনারদের নিয়ে ‘ভেরিয়েশন’ ক্যাম্প করছেন হেরাথ।

জাতীয় দলের স্পিনাররা ছাড়াও সেই ক্যাম্পে বিসিবির হাই পারফর্ম্যান্স স্কোয়াডের ৭ স্পিনার আছেন তার ক্যাম্পে। বর্তমানে স্পিন নির্ভরতা কাটিয়ে উঠেছে বাংলাদেশ দল, পেসাররাও সমান তালে পারফর্ম করছেন। এতে করে শুধু স্পিনারদের ওপরে চাপটা কমেছে। এ বিষয়ে হেরাথ বলেছেন, ‘এটা কাজ সহজ করে দেওয়া বা এমন কোনো ব্যাপার নয়। দলকে ঘিরেই সব। কেউ যদি ভালো করে, আমাদের তার প্রশংসা করতে হবে। কেউ ভালো না করলে খুঁজে দেখতে হবে কোথায় উন্নতি করতে পারি। আমরা দল হিসেবে উন্নতির চেষ্টা করছি। যখন দলে জুতসই একটা বোলিং বিভাগ থাকবে, আপনার হাতে ফাস্ট বোলারও থাকবে, স্পিনারও থাকবে। এ নিয়েই কাজ করতে হবে আমাদের। বোলিং বিভাগের সেরাটা বের করে আনার চেষ্টা করছি আমরা।’ 
হেরাথের কথাতেই স্পষ্ট একটি দুর্দান্ত বোলিং ‘ইউনিট’ গড়াই মূল উদ্দেশ্যে। নিয়মিত বোলারদের পাশাপাশি মাঝে মাঝে যারা বোলিং করেন তাদেরও এখন বিকল্প হিসেবে তৈরি করার দিকে মনোযোগ কোচদের। বিশেষ করে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে যেহেতু বাঁহাতি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান খেলতে পারবেন না, তাই বাড়তি স্পিনার লাগবে। সেক্ষেত্রে অনিয়মিত স্পিনাররা যদি ভালো করতে পারেন, সেক্ষেত্রে ভালো কম্বিনেশন গড়ার মধ্যে তেমন খুঁত থাকবে না। হেরাথ বলেছেন, ‘এটা গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে নাজমুলের (হোসেন) মতো কেউ যদি কয়েক ওভার বোলিং করতে পারে, তাহলে বোলিংয়ে বিকল্প তৈরি হয়। হাতে যখন বিকল্প বেশি থাকবে, সঠিক কম্বিনেশনটাও আপনি তখন খুঁজে পাবেন। আমি সব সময়ই চাই (তাওহিদ) হৃদয়, শান্তরা (নাজমুল) বোলিংয়ে সম্পৃক্ত হোক।’ আসন্ন বিশ্বকাপে ভারতে খেলতে হবে।

বিশ্বকাপ বলেই উইকেট থাকবে ‘স্পোর্টিং’-যেখানে ব্যাটিং, বোলিং সব ক্ষেত্রেই সুবিধা থাকবে। এ বিষয়ে হেরাথ বলেছেন, ‘আমি সব সময় মনে করি, কন্ডিশন কঠিন হলে সেটা স্পিনারদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করে। এ কারণেই বিশ্বকাপের জন্য আমরা প্রস্তুত হয়েই যাব। এই ক্যাম্প সেই প্রস্তুতিরই অংশ। আমরা বৈচিত্র্য ও কৌশল নিয়ে কাজ করেছি। পিচ থেকে সহায়তা না পেলে এসবই কাজে লাগাতে হবে।’

×