সাকিব
টেস্ট ফরমেটে কতখানি নাজুক অবস্থায় তারা প্রমাণ করল আরেকবার। সেজন্যই অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দাবি করলেন, টেস্টে ভালো করার জন্য সব বিভাগেই উন্নতি করতে হবে বাংলাদেশকে। সেই সঙ্গে তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন আগে ঘরের মাটিতে টেস্ট হার ঠেকানোর ওপরে। কারণ দেশের বাইরে গিয়ে অনেক বড় দলও খারাপভাবে হেরে যায়।
দেশে কিংবা দেশের বাইরে কোথাও টেস্ট ক্রিকেটে ভাল করতে পারছে না বাংলাদেশ দল। ২২ বছরে বদলায়নি পরিস্থিতি, দুয়েকটি আচমকা দুর্দান্ত পারফর্মেন্স ব্যতীত আহামরি কোন কিছু নেই। এ বিষয়ে সাকিব বলেন, ‘সবাই মিলে বসে চিন্তাভাবনা করে আমরা যদি এগোই, তো আমার ধারণা এক-দেড় বছর সময় পেলে নিয়মিত ভাল ফলাফল করা সম্ভব। আমি বলব না যে টেস্ট ম্যাচ জিততেই হবে। কারণ, যখন কোন দেশ বাইরে সফর করে, সফরকারী সবাই আন্ডারডগ থাকে। এখন নিউজিল্যান্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়ন, ওরাও যখন বাইরে সিরিজগুলো খেলতে আসে হেরে যায়। ইংল্যান্ডে যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসছে হেরে যাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়া যখন অন্য দেশে যাচ্ছে হেরে যাচ্ছে। ভারত যখন অন্য দেশে যায় তখন তারাও, আবার ভারতে যখন কেউ আসে তারাও হেরে যায়।’ আর সেজন্য সাকিব ঘরের মাটিতে দলের পারফর্মেন্সে উন্নতি দেখতে চান। তিনি এড়াতে চান দেশের মাটিতে টেস্ট পরাজয়। তিনি বলেন, ‘একটা জিনিস নিশ্চিত করতে হবে, আমরা যেন ঘরের মাঠে না হারি। হয় আমরাও ড্র করব না হলে জিতব। এই উন্নতিটা যদি হয়, আমাদের হয়তো অনেক দূরে নিয়ে যাবে বাইরের পারফর্মেন্সগুলো। না-ও যেতে পারি! কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেটটা খেলব, এটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য। সেজন্য আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ যে দেশের সিরিজগুলোতে খুব ভাল করে খেলা যেন আমরা নিশ্চিত করি।’
দেশের মাটিতেই জেতার সংস্কৃতিতে নিয়মিত হওয়া জরুরি বলে মনে করেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘হারব না বলাটা নেতিবাচক শোনায়। কিন্তু, আমরা যেন জিতি, না জিতলেও সিরিজটা যেন ড্র ছাড়া অন্য কোন ফলাফল না হয়। আমরা ভাল খেলি টেস্ট ম্যাচ ধারাবাহিকভাবে। আপনাকে আগে ঘরে ভাল খেলা নিশ্চিত করতে হবে, তখন আপনি যখন দুইটা এ্যাওয়ে সিরিজ খেলে একটাতে খারাপ করবেন সেটা আসলে চোখে ধরবে না। তো এই কারণে আসলে আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা ঘরের মাঠে ভাল খেলি।’ তিনি মনে করেন টেস্ট জেতার জন্য কিংবা ভাল পারফর্মেন্স দেখাতে হলে এখন সব বিভাগেই উন্নতি করতে হবে বাংলাদেশকে। সেন্ট লুসিয়া টেস্ট শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় অনুভব করছি যে টেস্ট ফরমেট সবসময়ই কঠিন।