
ছবি: সংগৃহীত
ম্যানচেস্টার সিটির তারকা স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ড ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে জুভেন্টাসের বিপক্ষে গোল করে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক স্পর্শ করেছেন, যেখানে তিনি আধুনিক ফুটবলের দুই কিংবদন্তি লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে পেছনে ফেলেছেন। ক্লাব বিশ্বকাপে জুভেন্টাসের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির ৫-২ গোলের জয়ে হালান্ড তার পেশাদার ক্যারিয়ারের ৩০০তম গোলটি করেন।
২৪ বছর বয়সী এই নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকারের এই অর্জন অবিশ্বাস্য, কারণ তিনি এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন মেসি, রোনালদো এবং এমনকি কিলিয়ান এমবাপ্পেরও চেয়ে কম ম্যাচ খেলে।
তুলনা: হালান্ড বনাম মেসি-রোনালদো-এমবাপ্পে
ইএসপিএন রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, হালান্ডের ৩০০ গোল করতে লেগেছে মাত্র ৩৭০টি ম্যাচ। যেখানে:
-
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর লেগেছিল ৫৫৪টি ম্যাচ।
-
লিওনেল মেসির লেগেছিল ৪১৮টি ম্যাচ।
-
কিলিয়ান এমবাপ্পের লেগেছিল ৪০৯টি ম্যাচ।
এই পরিসংখ্যানই বলে দেয়, গোল করার ক্ষেত্রে হালান্ডের দক্ষতা এবং ধারাবাহিকতা কতটা অসাধারণ।
হালান্ডের এই ৩০০ গোলের মধ্যে রয়েছে:
-
ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ১২৩ গোল (১৪৫ ম্যাচে)।
-
বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে ৮৬ গোল (৮৯ ম্যাচে)।
-
নরওয়ে জাতীয় দলের হয়ে ৪২ গোল (৪৩ ম্যাচে)।
-
আরবি সলজবার্গের হয়ে ২৯ গোল (২৭ ম্যাচে)।
-
মলদে’র হয়ে ২০ গোল (৫০ ম্যাচে)।
হালান্ড তার ক্লাব ক্যারিয়ারের ২৫৮টি গোল করেছেন, আর জাতীয় দলের হয়ে করেছেন ৪২টি।
চলতি ক্লাব বিশ্বকাপে জুভেন্টাসের বিপক্ষে গোলটি হালান্ডের দ্বিতীয় গোল। এর আগে তিনি গ্রুপ পর্বের অন্য ম্যাচে আল আইন-এর বিপক্ষেও গোল করেছিলেন। এই গোল তাকে প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ গোলদাতাদের থেকে মাত্র এক গোল দূরে রেখেছে। যদি ম্যানচেস্টার সিটি টুর্নামেন্টে আরও গভীরে যায়, তবে হালান্ডের গোল্ডেন বুট জেতার ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।
হালান্ড তার ফুটবল ক্যারিয়ারে দ্রুত গতিতে গোল করে চলেছেন এবং তার এই অর্জন তাকে বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল। তথ্যসূত্র: এসআই ডটকম
সাব্বির