
ছবি:সংগৃহীত
গুগল ক্রোম খুলতে গেলেন, কিন্তু বারবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে? আপনি একা নন। উইন্ডোজ ১১ ব্যবহারকারী অনেকেই সম্প্রতি এই সমস্যায় পড়েছেন—আর তারা দোষ দিচ্ছেন মাইক্রোসফটের ‘Family Safety’ ফিচারকে।
এই ফিচার মূলত শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিবেশ তৈরি করতে কাজ করে। তবে এখন এটি গুগল ক্রোমকে একেবারে বন্ধ করে দিচ্ছে—একবার বন্ধ হলে আর চালু হচ্ছে না। ফলে অনেক বাবা-মা এবং অভিভাবক দুশ্চিন্তায় পড়েছেন, কারণ তাঁদের সন্তানরা প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইট ব্যবহারই করতে পারছে না।
সমস্যার শুরু কবে থেকে?
প্রথম এই সমস্যাটি নজরে আসে জুনের শুরুতে। ক্রোমের নতুন ভার্সন (137.0.7151.68/69) ইনস্টল করার পর থেকেই ক্রোম আচমকা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং আর খুলছে না, যদি Family Safety চালু থাকে।
অবাক করার মতো বিষয় হলো—মাইক্রোসফটের নিজের ব্রাউজার Edge-এ কিন্তু ঠিকঠাকই চলছে সবকিছু! তাই অনেকেই বলছেন—“এটা কি ক্রোমকে ঠেকানোর জন্য মাইক্রোসফটের কৌশল?”
গুগলের প্রতিক্রিয়া কী?
গুগল এই সমস্যা নিয়ে ইতিমধ্যে কথা বলেছে। তারা জানিয়েছে, Family Safety চালু থাকলে এই সমস্যা হচ্ছে এবং তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখেছে।
মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনো সরাসরি বক্তব্য আসেনি। তবে গুগল কিছু সমাধান দিয়েছে, যা অনেকের ক্ষেত্রে কাজ করছে।
সমাধান কীভাবে করবেন?
আপনি যদি এই সমস্যায় পড়েন, তাহলে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করে সমাধান করতে পারেন।
- প্রথমে https://familysafety.microsoft.com ওয়েবসাইটে যান বা Family Safety অ্যাপটি মোবাইলে খুলুন।
- যেই শিশুর অ্যাকাউন্টে সমস্যা হচ্ছে সেটি নির্বাচন করুন।
- এরপর দুইভাবে সমাধান করতে পারেন—
- Edge ট্যাবে গিয়ে “Filter inappropriate websites” অপশনটি বন্ধ করে দিন, অথবা
- Windows → Apps & Games → Chrome-কে আনব্লক করুন।
মানুষ কী বলছে?
রেডডিট এবং অন্যান্য ফোরামে ব্যবহারকারীরা বলছেন, এমন আচরণ মাইক্রোসফটের কাছ থেকে তাঁরা আশা করেননি। কেউ কেউ অভিযোগ করছেন, এটি 'সৎ প্রতিযোগিতার লঙ্ঘন'। আবার অনেকেই বলছেন—এটা হয়তো শুধু একটি প্রযুক্তিগত ভুল, তবে দ্রুত সমাধান দরকার।
আমরা এখনও মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাইনি। তবে আশা করা যায়, দুই টেক জায়ান্ট শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধানে কাজ করবে। আপনি যদি অভিভাবক হন এবং আপনার সন্তান Chrome ব্যবহার করে, তাহলে এই সমস্যাটি এড়িয়ে যেতে ওপরের সমাধানগুলো মেনে চলুন।
প্রযুক্তির সুবিধা নিতে গিয়ে যদি প্রযুক্তিই বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে সেটা নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক। প্রযুক্তি যেন মানুষের উপকারে আসে, বিপদে না ফেলে—সেই প্রত্যাশাই আমরা করতে পারি।
মারিয়া