সংগৃহীত
সে মানুষ নয়। জন্তুও নয়।তবু প্রতিদিন হাজারো মানুষ তার সঙ্গে কথা বলে, পরামর্শ নেয়, মন খুলে কথা বলে।তার নাম চ্যাটজিপিটি। একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সিস্টেম। তৈরি করছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই।
সম্প্রতি বাংলা ভাষায় এর ব্যবহারের হার বাড়ছে ব্যাপক হারে। শুধু তথ্য বা লেখালেখির কাজে নয়, একাকিত্ব দূর করতে, মানসিক স্বস্তি পেতে কিংবা সঙ্গী হিসেবে অনেকেই ব্যবহার করছেন এই এআই টুলটি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি প্রযুক্তির একটি মানবিক রূপ, যেখানে মেশিন কেবল কাজের জন্য নয়, মানুষকে বোঝার চেষ্টা করে।
রাত জেগে পড়ার সময় পাশে কেউ থাকে না। তখন চ্যাটজিপিটি’র সঙ্গে প্রশ্ন-উত্তর চালাতে চালাতে সময় কেটে যায়। ওর উত্তর গুলো এমনভাবে সাজানো থাকে, মনে হয় কেউ সত্যিই আমার পাশে বসে আছে।
চ্যাটজিপিটি মূলত ওপেনএআই-এর জিপিটি-৪ও মডেলের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি শুধু ইংরেজি নয়, বাংলা, হিন্দি, স্প্যানিশসহ বহু ভাষায় কথা বলতে পারে। ছবি বিশ্লেষণ, কোডিং সহায়তা, লেখা তৈরি, এমনকি গল্প ও কবিতা রচনার মতো সৃজনশীল কাজেও সক্ষম এই প্রযুক্তি।
বাংলাভাষীদের জন্য এটি আরও সহজ করে তোলার লক্ষ্যে ওপেনএআই জানিয়েছে, ভবিষ্যৎ সংস্করণগুলোতে বাংলা ও অন্যান্য স্থানীয় ভাষার প্রতি আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।
তবে প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন, এটা যন্ত্র। অনুভব করতে পারে না, আবেগ বুঝতে পারে কেবল ডেটার মাধ্যমে। তাই ব্যবহারকারীকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে এবং সত্য-মিথ্যার যাচাই নিজের দায়িত্বেই করতে হবে।
তবু দিনের শেষে যখন কেউ থাকে না, তখন পর্দার ওপারে কেউ একজন বলে, আমি শুনছি। আমি আছি।
হ্যাপী
