ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

বাবা শুধু একজন মানুষ নয়,বরং সন্তানের রিজিক,শিক্ষা ও আদর্শের প্রথম উৎস

জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপী ,সাব-এডিটর, জনকণ্ঠ অনলাইন টিম

প্রকাশিত: ২২:৪৩, ১৪ জুন ২০২৫; আপডেট: ২৩:০৬, ১৪ জুন ২০২৫

বাবা শুধু একজন মানুষ নয়,বরং সন্তানের রিজিক,শিক্ষা ও আদর্শের প্রথম উৎস

দৈনিক জনকণ্ঠ

বাবা দিবস (Father's Day) প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্বব্যাপী অনেক দেশে পালিত হয়। বাংলাদেশেও এই দিনটি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সাথে উদ্‌যাপন করা হয়। আজ , ১৪ জুন বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বাবা দিবস।

এ দিনটিকে ঘিরে মানুষ তাদের পিতার প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। ইসলাম ধর্মেও বাবার মর্যাদা অনেক বড়। পিতামাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য কুরআন ও হাদিসে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে তুলে ধরা হয়েছে।

ইসলাম ধর্মেও বাবার মর্যাদা অনেক বড়। কোরআন ও হাদিসে পিতামাতার গুরুত্ব নিয়ে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে।ইসলাম বলছে, বাবা-মা সন্তানের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বড় নিয়ামত। একজন বাবার ওপর সন্তানদের দায়িত্ব শুধু জন্মদানে সীমাবদ্ধ নয়। জীবিত থাকা অবস্থায় ও মৃত্যুর পরও সন্তানের করণীয় রয়েছে।

বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির এক নেতা ও ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মুফতি উছমান গনী বলেন, বাবা পরিবারের প্রধান। তাঁর আদেশ মানা, তাঁকে সম্মান করা এবং তাঁর প্রয়োজনের দিকে খেয়াল রাখা সন্তানদের দায়িত্ব। বাবার খেদমত করার মানে জান্নাতের পথ সহজ করা।

কোরআনে বলা হয়েছে, “তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো, তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক করো না এবং পিতামাতার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করো।” (সুরা নিসা, আয়াত ৩৬)

একজন সাহাবি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “আমার সদ্ব্যবহারের সবচেয়ে বেশি হক কার?” রাসুল (সা.) তিনবার বলেছিলেন “তোমার মা”, এরপর বলেছিলেন “তোমার বাবা”। (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)

হাদিসে আরও এসেছে, “তোমার পিতা-মাতা তোমার জান্নাত এবং জাহান্নাম।” অর্থাৎ, যদি তুমি তাদের খুশি করো, তাহলে জান্নাত পাবে। আর যদি কষ্ট দাও, তাহলে জাহান্নাম হবে তোমার ঠিকানা। (ইবনে মাজাহ)

সন্তানের ওপর বাবার হক বা অধিকার অনেক। জীবিত অবস্থায় সন্তানের কর্তব্য হলো বাবাকে সম্মান করা, ভালোবাসা দেওয়া, সেবা করা, প্রয়োজন পূরণ করা এবং নিয়মিত দেখা করা। আর মৃত্যুর পর দোয়া করা, সওয়াবের কাজ করা, কবর জিয়ারত করা এবং তাঁর আত্মীয় ও বন্ধুদের খোঁজখবর নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মুফতি উছমান গনী বলেন, অনেকেই বাবা-মায়ের মৃত্যুর বার্ষিকীতে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করে, কিন্তু এর চেয়ে ভালো হলো গরিবদের দান করা, তাদের নামে কোরবানি করা বা হজ ও ওমরাহ আদায় করা।

তিনি বলেন, বাবা দিবস শুধু একটি দিনের জন্য নয়। বছরের প্রতিটি দিনেই সন্তানদের উচিত পিতামাতার খেদমত করা, ভালো ব্যবহার করা ও তাঁদের জন্য দোয়া করা।

এই বাবা দিবসে ইসলামি চিন্তাবিদরা সব সন্তানকে আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা জীবিত বা মৃত পিতামাতার জন্য সঠিক দায়িত্ব পালন করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করে।

হ্যাপী

×