ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ মসজিদ ’ফয়সাল’

প্রকাশিত: ০৭:৫৬, ৮ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ১০:৫২, ৮ মার্চ ২০২৫

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ মসজিদ ’ফয়সাল’

ছবি:সংগৃহীত

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে যেকোনো স্থান থেকে উচুঁ মিনারের যে মসজিদটি দেখা যায়, তা হলো কিং ফয়সাল মসজিদ। এটি পাকিস্তানের অন্যতম জাতীয় স্থাপনা এবং ধর্মীয় প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়। ধারণক্ষমতার দিক থেকে এটি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ মসজিদ।

 

 

ফয়সাল মসজিদটি আরবের বেদুইন তাবুর আদলে নির্মিত হয়েছে। প্রয়াত সৌদি বাদশাহ ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান সফরকালে তৎকালীন পাক সরকারের অনুরোধে এই মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দেন এবং মরুভূমির বেদুইন তাবুর আদলে মসজিদ নির্মাণের পরামর্শ দেন।

 

 

বাদশাহ ফয়সালের পরামর্শ অনুযায়ী, পাক সরকার মসজিদের ডিজাইন প্রণয়নের জন্য বিশ্বের বিখ্যাত স্থপতিদের কাছে আহ্বান জানায়। ১৯৬৯ সালে মসজিদের নকশা নির্বাচনের জন্য একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ১৭টি দেশের ৪৩ জন প্রকৌশলী অংশগ্রহণ করেন। তুরস্কের স্থপতি বেদাত ডালোকের ডিজাইন প্রথম স্থান অর্জন করে এবং তার নকশায় নির্মিত হয় কিং ফয়সাল মসজিদ।

 

 

১২০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে এবং প্রায় ১০ বছর ধরে নির্মিত এই মসজিদটি ১৯৮৬ সালে সম্পন্ন হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৭ সালে ঈদুল আজহার নামাজের মাধ্যমে মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়। 

 

 

পাঁচ হাজার বর্গমিটার জায়গাজুড়ে প্রতিষ্ঠিত এই মসজিদে একসাথে তিন লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন, যার মধ্যে এক লাখ মুসল্লি প্রধান ফ্লোর ও করিডোরে এবং বাকিরা উন্মুক্ত মাঠে নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদটির ভেতরে একটি গ্রন্থাগার, হল রুম, যাদুঘর এবং ক্যাফে রয়েছে।

 

 

 

মসজিদটিতে গম্বুজ না থাকলেও সুউচ্চ চারটি মিনার রয়েছে এবং আটটি ঢালু ছাদের ব্যবস্থা রয়েছে। মসজিদের দেয়াল থেকে ছাদ পর্যন্ত এমনভাবে সূর্যের আলো প্রবাহিত হয়, যেন সর্বত্র লাইট লাগানো হয়েছে। বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম এই মসজিদটি প্রতিদিন বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকে, এবং এর অসাধারণ সৌন্দর্য যে কোনো পর্যটককে বিস্মিত করে।

আঁখি

×