
ছবিঃ সংগৃহীত।
তখন ফজরের আগে আযান হতো দু’টি। একটি দিতেন হযরত বিলাল (রাঃ), অন্যটি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রাঃ)। বিলাল (রাঃ) সাহরির সময় কিছুটা বাকি থাকতেই আযান দিতেন। আর তাঁর এই আযানের সম্পর্কেই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “বিলালের আযান শুনতেই তোমরা সাহরী খাওয়া বন্ধ করে দিও না। কেননা সে কিছুটা রাত থাকতেই আযান দিয়ে থাকে। সুতরাং তোমরা বিলালের আযান শোনার পরেও খেতে পারো। যে পর্যন্ত না ইবনে উম্মে মাকতুমের আযান শুরু হয়। কেননা সে ঠিক সুবহে সাদিক হওয়ার পরেই আযান দেয়।”
এই হাদীসটির পুরো বক্তব্য এবং প্রেক্ষাপট বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ঐ খণ্ডিত অংশ প্রচার করা হলে তা বিপদ ডেকে আনতে পারে। কারণ অজ্ঞতাবশতও যদি কেউ সুবহে সাদিকের পর সাহরি করতে থাকে, তাহলে তার সেই রোজাটা হবে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, না জেনে বা অসাবধানতাবশত সময় হওয়ার আগেই ইফতার করে ফেললেও সেই রোজা হবে না।
সুতরাং ঘড়ির দিকে খেয়াল রাখুন, সময় শেষ হওয়ার আগেই যতটুকু খাওয়া হয় তা দিয়েই সাহরি সারুন।
সূত্র- তাফসীরে মা’রিফুল ক্বুরআন, সূরা বাকারাহ, আয়াত ১৮৭।
মুহাম্মদ ওমর ফারুক