ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

যৌবনকাল কেন ইবাদতের শ্রেষ্ঠ সময়?

প্রকাশিত: ০৮:২২, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

যৌবনকাল কেন ইবাদতের শ্রেষ্ঠ সময়?

ছবি সংগৃহীত

মানব জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পর্যায় হলো যৌবনকাল। এই সময় প্রায়শই বন্ধু, আড্ডা, গান ও মাস্তির সঙ্গে সম্বন্ধিত হলেও এর প্রকৃত মর্যাদা বহুগুণে বেশি। মানুষের জীবনের ১৮ থেকে ৪০ বছরকে যৌবনকাল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যেখানে শারীরিক ও মানসিক শক্তির শীর্ষসীমা প্রাপ্ত হয়। এই পর্যায়ে মানুষ যে কোন বাধা, প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে তার লক্ষ্যের পথে অবিচলিতভাবে অগ্রসর হতে সক্ষম।

মহান আল্লাহ ক্ষণিকের জন্য মানুষকে বিশেষ নিয়ামত দিয়ে পরীক্ষা করেন। এই নিয়ামতের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ব্যক্তিরা ভবিষ্যতে সফলতার শিখরে পৌঁছাতে পারে। আর যারা এ সুযোগকে অবহেলা করে, তাদের জন্য ব্যর্থতার ছায়া থেকে যায়। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হলে, যৌবনকালকে ‘ইবাদত’ হিসেবে গ্রহণ করা মানে হলো এই সময়কে সৎ কর্ম, অধ্যবসায় ও নৈতিক চেতনায় রূপান্তরিত করা।

ধর্ম বিশ্লেষকরা মনে করেন, যৌবন বয়সে মন ও শরীরের উদ্যম সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে। যা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্যের মাপকাঠি হিসেবে কাজ করে। এই সময় সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে, পরবর্তীতে যে ফল পাওয়া যাবে তা হতাশাজনক হতে পারে। তরুণ সমাজকে প্রেরণা দিয়ে বলা হয়, “এই অমূল্য সময়কে যথাযথভাবে কাজে লাগাও, কারণ এটি ঈশ্বরের অনুগ্রহে ভরা এক বিশেষ নিয়ামত।”

শিক্ষক, ধর্মগুরু ও সমাজসেবী নানা জায়গায় তরুণদের উদ্দেশ্যে বার্তা প্রদান করে যাচ্ছেন।যৌবনকালের প্রতিটি মুহূর্তকে নৈতিক, শারীরিক ও মানসিক উন্নয়নে নিবেদিত করলে, তা ভবিষ্যতের সফলতার মজবুত ভিত্তি স্থাপন করবে।

এক ধর্মীয় বক্তা বলেছিলেন, “যৌবনকালেই মানুষের জীবনের ইবাদতের মূল রূপ প্রকাশ পায়। যদি এই সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়, তাহলে জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপই সৃষ্টিকর্তার নিকট এক নিবেদিত প্রার্থনা হয়ে ওঠে।” যৌবনকাল শুধুমাত্র বিনোদনের সময় নয় বরং এটি সৃষ্টিকর্তার প্রদত্ত এক অনন্য নিয়ামত। যেখানে আমাদের কর্তব্য হলো সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করে নিজের লক্ষ্য অর্জন করা।

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=2dC1ZWJeGP8

আশিক

সম্পর্কিত বিষয়:

×