ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২

বাংলাদেশে রাজনীতি এবং ক্রিকেটের মধ্যে কোনটা বেশি নাটকীয়? জবাবে যা বললেন আবদুন নূর তুষার

প্রকাশিত: ১৫:৫৯, ২৭ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৬:০০, ২৭ জুন ২০২৫

বাংলাদেশে রাজনীতি এবং ক্রিকেটের মধ্যে কোনটা বেশি নাটকীয়? জবাবে যা বললেন আবদুন নূর তুষার

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের এক টকশো অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় উপস্থাপক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আব্দুন নূর তুষার। সেখানে এক দর্শক তাকে প্রশ্ন করেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি এবং ক্রিকেট, কোনটা বেশি নাটকীয়? যদি রাজনীতি নাটকীয় হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে জনগণের ভূমিকা কী? দর্শক নাকি অভিনেতা?’

জবাবে আবদুন নূর তুষার বলেন, ‘ক্রিকেট কোনোভাবেই নাটকীয় নয় কেননা ক্রিকেট খেলার রেজাল্ট আছে। আমরা দেখতে পাই কে ভালো খেলছে, কে খারাপ খেলছে। ক্রিকেটে তো এটা সম্ভব না যে, আপনি আউট হবেন কিন্তু মানুষ দেখতে পাবে না।’

‘ক্রিকেটে আরো মজার ব্যাপার আছে, থার্ড আম্পায়ার আছে। ক্রিকেটে এখন যন্ত্রপাতি যুক্ত হয়েছে, বল লাইনে পিচ করছে কিনা, এলবিডব্লিউ এখন আর আম্পায়ার শুধু দেয় না, সিস্টেম এলবিডব্লিউ ডিটেক্ট করে, স্লো মোশন দেখতে পাই আমরা। ক্রিকেট কোনোভাবে এখন আর নাটকীয় নাই।’

আবদুন নূর তুষার আরও বলেন, ‘কিন্তু রাজনীতির জায়গাতে যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি হচ্ছে যে রাজনীতিতে মানুষকে প্রতাারিত করার যে প্রবণতা, এই প্রবণতাটি বহুদিন ধরে বাংলাদেশে না শুধু, এই উপমহাদেশে বিদ্যমান। আপনি যদি ভারতে যান, দেখবেন সেখানকার নেতারাও এক ধরনের প্রতারক, হয়তো একটু কম-বেশি। পাকিস্তানে যান, সেখানেও দেখবেন প্রতারণা চলছে এবং রাজনীতির সঙ্গে প্রতারণাকে যুক্ত করে ফেলার যে চর্চা, এটা কিন্তু এখনকার না, এটা কিন্তু বহু আগের এবং এই প্রতারক রাজনীতি যেটি করেছে, সেটি হচ্ছে রাজনীতিতে আরও অতিমাত্রায় প্রতারকদেরকে আনতে সাহায্য করেছে।’

‘ফলে আমরা দেখেছি, একসময় আমরা যখন এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতাম, সকালবেলা যে নেতা বক্তৃতা দিচ্ছেন এরশাদের বিরুদ্ধে, সন্ধ্যায় তিনি এরশাদের মন্ত্রিসভায় শপথ নিতেন এবং আমরা খুব আহত হতাম যে, এটা কী করে করলেন। এই যে চক্র, এই চক্র থেকে আমরা এখনো বের হতে পারি নাই’, যোগ করেন তিনি।

‘মজার ব্যাপার দেখেন, যখন মন্তব্য করা হয় কেউ বলে না যে। রাজনীতিবিদরা বিক্রি হয়, বলে জনগণ বিক্রি হয়। জনগণ পয়সা নিয়ে ভোট দিয়ে দেয়। জনগণের দারিদ্র আছে, অসহায়ত্ব আছে, দুর্বলতা আছে। এই অসহায়ত্ব, এই দারিদ্র এবং দুর্বলতার কারণ কী? সবসময় জনগণ নিজে তা নয়। কিন্তু জনগণ যাতে দুর্বল থাকে, খানিকটা অশিক্ষিত থাকে, খানিকটা বঞ্চনার মধ্যে থাকে যাতে তাকে হাত পাততে হয়। এরকম একটা অবস্থা তৈরি করে রাখার চেষ্টা কিন্তু এই পুরো যন্ত্রের মধ্যে আছে।’

 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=yPmaWb3JBh4

রাকিব

আরো পড়ুন  

×