ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বহিষ্কারই কি যথেষ্ট? সরাসরি বার্তা দিলেন সাইয়েদ আবদুল্লাহ

প্রকাশিত: ১২:৪৯, ১২ জুন ২০২৫; আপডেট: ১২:৫০, ১২ জুন ২০২৫

বহিষ্কারই কি যথেষ্ট? সরাসরি বার্তা দিলেন সাইয়েদ আবদুল্লাহ

ছবি:সংগৃহীত

সম্প্রতি ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়াতে গিয়ে সংঘর্ষে যুবদল নেতার ভাই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন, এমন একটি খবর নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত ব্যক্তি সাইয়েদ আবদুল্লাহ ফেসবুকে একটি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

 

 

তিনি একটি জাতীয় দৈনিকের রিপোর্ট “ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়াতে সংঘর্ষ : যুবদল নেতার গুলিবিদ্ধ ভাইয়ের মৃত্যু” শেয়ার করে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেন, “এইধরনের ঘটনা ডিল করার ক্ষেত্রে সবদিক থেকে সর্ব্বোচ্চ এফোর্ট দরকার।”

সাইয়েদ আবদুল্লাহর মতে, এই ধরনের ঘটনায় দল থেকে কেবল বহিষ্কার করাকে ‘ঠুনকো পদক্ষেপ’ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, বহিষ্কারের পরও অভিযুক্তরা অন্য কোনো স্থানীয় নেতার ছত্রচ্ছায়ায় থেকে আগের মতোই অপকর্ম চালিয়ে যেতে পারে।

 

 

তার মতে, এমন ইস্যুতে বিএনপিরও উচিত বাদীপক্ষকে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করা, বিশেষ করে মামলা পরিচালনায় ও অভিযুক্তদের শনাক্ত ও ধরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে।

 

তিনি আরও বলেন, শুধু অপরাধীর বিরুদ্ধেই নয়, যদি কোনো দলীয় নেতা পরবর্তীতে অভিযুক্তদের আশ্রয় বা প্রশ্রয় দেয়, তাহলে তার বিরুদ্ধেও সমানভাবে শক্ত প্রতিবাদ গড়ে তোলা উচিত। এ প্রসঙ্গে তিনি সরাসরি মন্তব্য করেন, 

 “এইটাইপ ইস্যুগুলোতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়ার মানসিকতা রাখার মানে হলো দেশের মানুষের প্রতি কমিটমেন্টের ক্ষেত্রে সিরিয়াস লেভেলের ঘাটতি দেখানো।”

 

 

সাইয়েদ আবদুল্লাহর এই বক্তব্যের মূল বার্তা হলো, রাজনীতির নামে হানাহানি, মারামারি, প্রাণহানি, দখলবাজি কিংবা মাসল পাওয়ার নির্ভর বেপরোয়া আচরণ বন্ধ করতেই হবে। তার কথায়:

 

তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূল পর্যায়ে এমন বেপরোয়া কাজ এখন একাধিক জায়গায় নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার পেছনে রয়েছে দলীয় পরিচয়ের অপব্যবহার এবং নেতাদের নীরব প্রশ্রয়। এসব বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে দলীয় শৃঙ্খলা ও নৈতিকতার মেরুদণ্ড চূড়ান্তভাবে ভেঙে পড়বে বলে সতর্ক করেন তিনি।
 

ছামিয়া

×