ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ও সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করতে হবে: লতিফ সিদ্দিকী

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল 

প্রকাশিত: ২০:২৬, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ও সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করতে হবে: লতিফ সিদ্দিকী

সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী।

টাঙ্গাইলে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর গাড়ি বহরে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তারই ছোট ভাই মুরাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে। এ সময় দুই ভাইয়ের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি এবং একটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
 
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল-সিলিমপুর সড়কের দশকিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে জেলা জুড়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। 

লতিফ সিদ্দিকী ও মুরাদ সিদ্দিকীর অনুসারীদের সূত্রে জানা যায়, আজ মঙ্গলবার সকালে ১৯টি গাড়ির বহর নিয়ে আটিয়া মাজার জিয়ারত করতে যাচ্ছিলেন লতিফ সিদ্দিকী। তার গাড়ি বহরটি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মুরাদ সিদ্দিকী বাঁধা দেন। এ সময় লতিফ সিদ্দিকীর সমর্থকদের মারধর করেন মুরাদ সিদ্দিকী। ঘটনাস্থলে লতিফ সিদ্দিকী পৌঁছালে মুরাদ সিদ্দিকী চলে যাওয়ার সময় তাদের দুই ভাইয়ের সমর্থকদের মধ্যে ধস্তাধস্তিও হয়। একপর্যায়ে মুরাদ সিদ্দিকীর বহরে থাকা পাঁচটি গাড়ির মধ্যে একটি মাইক্রোবাসের সামনের গ্লাস ভাঙা হয়। পরে মুরাদ সিদ্দিকী অনুসারীদের নিয়ে টাঙ্গাইল শহরের তার বাসায় চলে যান। পরবর্তীতে লতিফ সিদ্দিকী আতিয়া মাজার জিয়ারত করে কালিহাতীর এলেঙ্গাতে চলে যান।
 
দুপুরে কালিহাতী উপজেলার জোকারচর ও গোহালিয়াবাড়ি এলাকা পরিদর্শনকালে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘোষণা দিয়েছেন অক্টোবর মাসে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উৎখাত করবে। আমার বিবেক থাকতে এটা প্রতিহত করতে হবে। আমি তো সন্ত্রাস কোনো কালেই করি নাই। এটা প্রতিহত করতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে। সেজন্য কালিহাতীর জোকারচর ও গোহালিয়াবাড়ি এলাকায় এসেছি। কোনো সভা-সমাবেশ না করে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে এসেছি। নেতাকর্মীদের বলছি, নিজেরা ঐক্যবদ্ধ হও। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ও সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করতে হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত ১৪ দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিবেন।’
 
মুরাদ সিদ্দিকীর বিষয়ে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে আমার ৪-৫ জন কর্মীকে সে মারধর করছে বলে তারা (অনুসারীরা) এ বিষয়ে নালিশ করেছে। মুরাদ্দ সিদ্দিকী বিভিন্নজনকে মোবাইলে হুমকি দিচ্ছে, সেটি আমি জানি। এলেঙ্গার মেয়রকে সে ভয় দেখাচ্ছে। আমি তাকে কখনও রাজনৈতিক নেতা মনে করি নাই। সে ঠিকাদার ও সন্ত্রাসী। এর বাইরে তাকে নিয়ে আমি কোনো চিন্তা করি নাই। ছাত্র রাজনীতি ও আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিল আজাদ সিদ্দিকী। আমার জানা মতে মুরাদ সিদ্দিকী কোনো দিন আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগও করে নাই। তাই তাকে নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নাই।’

এমন অভিযোগ অস্বীকার করে মুরাদ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি, কাদের সিদ্দিকী ভাই ও লতিফ সিদ্দিকী ভাই মাজার জিয়ারত শেষে বাসায় চলে এসেছি। ওখানে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’
 
এ বিষয়ে দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিন মৃধা জানান, আতিয়ার মাজারের ঘটনাস্থলে নিজে উপস্থিত ছিলাম। হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। তবে দুইপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।

 

এম হাসান

×