
ছবি: সংগৃহীত
আজ ২৮ জুন, বাংলা ভাষা ইতিহাসে অবিস্মরণীয় এক ব্যক্তিত্বের জন্মদিন। প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম। তিনি ছিলেন বাংলা ভাষা আন্দোলনের স্থপতি, তমদ্দুন মজলিস ও সরকারি বাঙলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। পাশাপাশি একজন প্রথিতযশা বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, লেখক, সমাজসেবক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং সর্বোপরি বাংলার জন্য নিবেদিতপ্রাণ এক দেশপ্রেমিক।
শিক্ষা ও কর্মজীবন:
প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম ১৯২০ সালের ২৮শে জুন চট্টগ্রামের ছেবন্দী গ্রামের এক ধর্মীও আবহে ও লোকজ ঐতিহ্যে গঠিত নিুমধ্যবিত্ত সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। গ্রামের স্থানীয় মহিলা ওস্তাদের কাছে বাংলা, আরবী, ফারসী ও সামান্য উর্দূ শিক্ষার মধ্য দিয়ে শৈশবে শিক্ষা জীবন শুরু। সুন্দর, ফরসা চেহারার অধিকারী পিতা মতিউর রহমানকে তার শান্ত, ভদ্র, অমায়িক ব্যবহারের ও প্রতিভার গুনে গ্রমের সবাই মান্য করতো এবং ভালবাসতো। গ্রামের সালিশী বিচারক হিসাবেও তিনি ছিলেন সবার শ্রদ্ধার পাত্র। প্রায় রাতেই তিনি মিষ্টি কন্ঠে সুর করে পুথি পাঠ করতেন। মাতা সালেহা খাতুনও ছিলেন পরহেজগার ও মেধাবী মহিলা। তিনি মিষ্টি কন্ঠে কোরআন তেলায়ত করতেন। তার মেধা এত প্রখর ছিল যে, শুনে শুনে তিনি পাঠ্য বইয়ের বহু কবিতা ও পুথির বহু অংশ ও শ্লোক মুখস্ত বলতে পারতেন। প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম জন্মসূত্রেই মাতা পিতার মেধা ও চারিত্রিক গুনাবলী লাভ করেছিলেন। তিনি ১৯৩০ সালে বরমা “ত্রাহি-মেনকা উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয়” এ ভর্তি হন।
১৯৩৯ সালে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাশ করেন এবং সরকারী জেলা বৃত্তি লাভ করেন। এই বৃত্তি লাভে তার উচ্চ শিক্ষার পথ সুগম হয়। ১৯৪১ সালে “চট্টগ্রাম সরকারী কলেজ” থেকে প্রথম বিভাগে আই.এস-সি পাশ করেন এবং চট্টগ্রাম বিভাগে মুসলিম ছাত্রদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন।
১৯৪৪ সালে “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়” থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে বি.এস-সি অনার্স পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে মুসলিম ছাত্রদের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে বৃত্তি লাভ করেন। তার সাবসিডিয়ারী বিষয় ছিল গনিত ও রষায়ন। তখন তিনি গনিত পরীক্ষায় প্রথম স্থান করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পান। ১৯৪৫ সালে তিনি “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়” থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে এম.এ-সি. পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন এবং থিসিসে প্রথম স্থান অধিকার করেন। বিশ্ববিদ্যায়ে থাকা কালিন সময়ে তিনি প্রখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী ডঃ সত্যেন বোস এবং ডঃ খাস্থগীরের কাছে শিক্ষা গ্রহণ করেন। ডঃ সত্যেন বোসের অধিনে তিনি তার থিসিস সম্পাদন করেন। তার থিসিসের নাম ছিল ‘থেলিমাইডের গঠন’ । তিনি এই থিসিসে সর্বাধিক নাম্বার পেয়ে মুসলমানদের মধ্যে প্রথম স্থাণ অধিকার করেন। এর জন্য পরিক্ষকদেরও অকুন্ঠ প্রশংসা লাভ করেন তিনি। তার এই থিসিসটির সংক্ষিপ্ত সার ইংলেন্ডের বিজ্ঞান জার্নালেও প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯৪৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানের প্রভাষক পদে যোগ দেন। ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।
ভাষা আন্দোলনের দর্শনের জন্ম এবং তমুদ্দিন মজলিস প্রতিষ্ঠতা:
অসাধারণ সাংগাঠনিক প্রতিভা ও বুদ্ধিমত্তার অধিকারী এই মহান বুদ্ধিজীবী ছিলেন বাঙালী জাতির এক কালজয়ী সম্পদ। তাঁর সব পরিচয়ের পাশাপাশি আন্দোলন পরিচালনা করে তিনি যে বিষয়টিতে মহিমান্বিত হয়েছেন তা হচ্ছে সর্বপ্রথম ভাষা আন্দোলনের সূচনা করা। পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পরপরই শুরু হয় ভাষাগত বৈষম্য। পশ্চিম পাকিস্তানের নেতৃত্ব চাচ্ছিল উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে, যা ছিল পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষাগত অধিকার হরণের শামিল। এই প্রেক্ষাপটে প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম ভাষার প্রশ্নে প্রথম সাংগঠনিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
১৯৪৭ সালের ১লা সেপ্টেম্বর তিনি প্রতিষ্ঠা করেন একটি সাহিত্য-সংস্কৃতি সংগঠন—তামদ্দুন মজলিস। এই সংগঠনই পরবর্তীতে ভাষা আন্দোলনের অন্যতম ভিত্তি হয়ে ওঠে। আবুল কাসেমের নেতৃত্বে সংগঠনটি শুরু থেকেই বাংলা ভাষার পক্ষে সোচ্চার হয়ে ওঠে এবং জাতিকে এক নতুন চেতনার আলোয় উদ্ভাসিত করে।।
বিভিন্ন ধারাবাহিক সংগ্রামী কর্মসূচির মাধ্যমে গণমানুষের মধ্যে ব্যাপক জাগরণ সৃষ্টি করে ১১ মার্চ ১৯৪৮ দেশব্যাপী হরতাল, প্রতিবাদ, সভা-বিক্ষোভ প্রদর্শনসহ সকল কর্মসূচি সারাদেশে ছড়িয়ে দিয়ে প্রথম বিজয় ছিনিয়ে আনেন এবং পূর্ব বাংলার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিম উদ্দিনকে তাদের সাথে ৮ দফা চুক্তি করতে বাধ্য করেন ১৫ মার্চ ১৯৪৮ সালে এই জন্য তমদ্দুন মজলিশকে ভাষা আন্দোলনের জনক সংগঠন এবং প্রিন্সিপাল আবুল কাশেমকে ভাষা আন্দোলনের জনক ও স্থপতি বলা হয়।
ঐতিহাসিক রচনা: ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা: বাংলা না উর্দু?’
ভাষা আন্দোলনের বুদ্ধিবৃত্তিক ভিত স্থাপন করেন তিনি তাঁর যুগান্তকারী রচনার মাধ্যমে। ১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয় ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা: বাংলা না উর্দু?’ নামক ক্ষুদ্র এক পুস্তিকা, যা পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষিত সমাজে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, “রাষ্ট্রভাষা হবে সেই ভাষা, যা দেশের অধিকাংশ মানুষের মাতৃভাষা।” এই পুস্তিকাটি ছিল ভাষা আন্দোলনের প্রথম সুসংহত ও তথ্যনির্ভর প্রকাশনা।
সংগ্রাম পরিষদের জন্ম ও Weekly Sainik:
তামদ্দুন মজলিস-এর তৎপরতা ও কাসেমের তীব্র লেখনী থেকেই জন্ম নেয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। ১৯৪৮ সালের শুরুর দিকে গঠিত এ পরিষদের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন আবুল কাসেম। তাঁর দিকনির্দেশনায় পরিষদ একটি পূর্ণাঙ্গ দাবি দাখিল করে সরকারের কাছে, যেখানে বাংলা ভাষার সরকারি স্বীকৃতি চাওয়া হয়। একই সময়ে প্রকাশিত হতে থাকে ‘সাপ্তাহিক সৈনিক’ (Weekly Sainik) পত্রিকা, যা ভাষা আন্দোলনের মুখপত্রে রূপান্তরিত হয়। এই পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ভাষা আন্দোলনের প্রয়াস, বৈষম্য এবং সাংস্কৃতিক অধিকার নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যান তিনি।
বাঙলা কলেজ: মাতৃভাষায় উচ্চশিক্ষার দিগন্ত
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ইংরেজি আর উর্দু মাধ্যমে পরিচালিত হতো। তখন প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম দেখলেন, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি মেনে নেয়া হলেও তখনো দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে এর বাস্তবায়ন শুরু হয়নি। এ সময় তমদ্দুন মজলিসসহ অন্যান্য বাংলা ভাষাসৈনিক ও বেশকিছু শিক্ষাবিদ প্রচলিত উচ্চশিক্ষায় বাংলা ভাষায় শিক্ষাদান চালুর দাবি জানালে উর্দুপ্রেমী ও বাংলা ভাষা আন্দোলনের বিরোধীরা এ দাবিকে নানাভাবে ব্যঙ্গ করেন। এমনকি বাংলা মাধ্যমে পড়ালেখা চালু হলে চাকরি হবে না শুধু ‘বাঙলা মৌলবি’ জন্ম হবে বলেও ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করেন তারা।
সকল বাধা উপেক্ষা করে তিনি ১৯৬২ সালের ১লা অক্টোবর বাঙালির জাতীয় জীবনে সর্বস্তরে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং বাংলাকে উচ্চতর শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে চালু করার লক্ষ্যে পূর্ব বাংলায় একটি বাঙলা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তার অনুভবে প্রাথমিকভাবে হিসেবে বাঙলা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার প্রথম দিকে, কলেজের কার্যক্রম নবকুমার ইনস্টিটিউটে রাতের শিফটে চলত। পরবর্তীতে, ১৯৬৪ সালে কলেজটি মিরপুরে স্থানান্তরিত হয়। বাঙলা কলেজ, বাংলাদেশের প্রথম বাংলা মাধ্যম কলেজ হিসেবে পরিচিত। কলেজটি প্রতিষ্ঠার পেছনে বাংলা ভাষা আন্দোলন ও ভাষা শহীদদের অবদান অনস্বীকার্য।
লেখকের কলমে ভাষা, বিজ্ঞান ও দর্শন:
প্রিন্সিপাল কাসেম ছিলেন বহুমাত্রিক লেখক। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১০০টিরও বেশি। বিজ্ঞান, সমাজনীতি, ধর্ম, ভাষা, অর্থনীতি, শিক্ষানীতি, দর্শন—সবক্ষেত্রেই তিনি লিখেছেন বিশ্লেষণধর্মী ও চিন্তামূলক গ্রন্থ। তাঁর উল্লেখযোগ্য কিছু রচনা হলো:
ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস
বিজ্ঞান, সমাজ ও ধর্ম (বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত)
আধুনিক চিন্তাধারা
মুক্তি কোন পথে
ইসলাম কি দিয়েছে ও কি দিতে পার
বিবর্তনবাদ, সৃষ্টিতত্ত্ব ও আল্লাহর অস্তিত্ব
কোরানিক অর্থনীতি
উচ্চ মাধ্যমিক পদার্থিকা (পাকিস্তান রাইটার্স গিল্ড পুরস্কারপ্রাপ্ত)
সহজ বাংলার স্বপ্ন ও শেষ জীবন:
প্রিন্সিপাল কাসেম বিশ্বাস করতেন, বিজ্ঞান বা প্রশাসন—সবকিছুতেই বাংলা ভাষার প্রয়োগ সম্ভব। তাই তিনি গঠন করেন সহজ বাংলা বাস্তবায়ন পরিষদ। তিনি চেয়েছিলেন এমন এক বাংলা ভাষা, যা হবে প্রযুক্তিগতভাবে সক্ষম, পাঠযোগ্য, এবং সকল স্তরের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য। তাঁর শেষ জীবন কেটেছে এই লক্ষ্য নিয়েই।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশন তাঁর স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে মিরপুর বাঙলা কলেজ সংলগ্ন একটি রাস্তার নামকরণ করেছে ‘প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম রোড’। বাঙলা কলেজের ছাত্রাবাস তাঁর নামে নামাঙ্কিত করা হয়েছে।
সম্মাননা ও স্বীকৃতি:
তাঁর অবদানকে রাষ্ট্র ও সমাজ দুইই স্বীকৃতি দিয়েছে। তিনি পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮২), একুশে পদক (১৯৮৭), স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৯৩ – মরণোত্তর), ইসলামী ফাউন্ডেশন পুরস্কার (১৯৮৮), পাকিস্তান রাইটার্স গিল্ড পুরস্কার (১৯৬৪)।
এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন তাঁকে স্বর্ণপদক, সংবর্ধনা ও সম্মাননায় ভূষিত করে।
১৯৯১ সালের ১১ মার্চ, তিনি ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কিন্তু রেখে যান এক গভীর চেতনাবোধ, এক ভাষাপ্রেমিক উত্তরাধিকার। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে আবুল কাসেম ছিলেন সেতুবন্ধনের মতো—একদিকে রাজনৈতিক আন্দোলন, অন্যদিকে একাডেমিক সংগ্রামকে একত্র করে ভাষা ও জাতিসত্তার ভিত্তি নির্মাণ করেছিলেন।
প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম ছিলেন এক বিস্ময়কর মানবপ্রতিভা, যিনি জ্ঞানের আলো, ভাষার মর্যাদা ও জাতীয় চেতনার সোপানে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন নিরলসভাবে। তিনি শুধু ভাষা আন্দোলনের পথিকৃতই নন, ছিলেন একাধারে শিক্ষক, চিন্তাবিদ, সাহিত্যিক ও সংগঠক—যাঁর প্রত্যেকটি পরিচয়ে ছিল দেশপ্রেমের দীপ্ত প্রতিফলন। যাঁর কলমের জোরে ভাষা আন্দোলনের বুদ্ধিবৃত্তিক ভিত গড়ে ওঠে, যাঁর নেতৃত্বে জাতি প্রথম দাবি করে বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় মর্যাদা, যিনি উচ্চশিক্ষায় মাতৃভাষার দিগন্ত খুলে দেন বাঙলা কলেজের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে—তাঁর জন্মদিনে কৃতজ্ঞ জাতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করে।
আজ যখন ভাষা ও সংস্কৃতির আধুনিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি আমরা, তখন তাঁর চিন্তা ও কীর্তি নতুনভাবে পথ দেখাতে পারে জাতিকে। তরুণ প্রজন্মের উচিত তাঁর জীবনী থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখা। তাঁর নীরব সংগ্রাম, নির্ভীক উচ্চারণ, এবং দীপ্ত জীবনাদর্শ আমাদের প্রেরণার বাতিঘর হয়ে থাকবে চিরকাল। তিনি শুধু ইতিহাসের একটি নাম নন -তিনি বাংলা ভাষার অস্তিত্ব ও আত্মমর্যাদার এক জীবন্ত প্রতীক।
লেখক: শিক্ষার্থী, গণিত বিভাগ, সরকারি বাঙলা কলেজ।
শিহাব