ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২

দেওয়ানি মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে প্রয়োজন সংশোধন

বাবুল রবিদাস

প্রকাশিত: ২০:৫৮, ১৫ মে ২০২৩

দেওয়ানি মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে প্রয়োজন সংশোধন

দেওয়ানি মামলা শুরু হয় এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে বাদী পক্ষের আরজি গ্রহণের মাধ্যমে

বিভিন্ন আদালতের বিচার ব্যবস্থা প্রসঙ্গে বিজ্ঞ আইনজীবী বলেন- আমরা ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক প্রণীত সিভিল প্রসিডিউর কোড ১৮০৮ এখনো মেনে চলি ও বিচার করি। বিভিন্ন দেশে সময়োপযোগী এ আইনকে সংশোধন করা হয়োছে। যেমনÑ ভারতে বাদীর আরজি এবং বিবাদীর জবাবকে সাক্ষ্যের অংশ বলে মনে করা হয়। আমাদের সরকার একবার সি.পি.সি আইন সংশোধন করে দ্রুত বিচার ব্যবস্থা নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু দেশের আইনজীবীগণ এ সংশোধনের বিরোধিতা করায় তা আর আলোর মুখ দেখেনি। তিনি বলেন- গ্রামের অশিক্ষিত নিরক্ষর, গরিব মানুষের পক্ষে চার পাতা আরজি মুখস্থ করে কাঠগড়ায় বিচারকের নিকট বলা কি সম্ভব?

দেওয়ানি মামলা শুরু হয় এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে বাদী পক্ষের আরজি গ্রহণের মাধ্যমে। আরজির সঙ্গে দাখিল করতে হয় নির্দিষ্ট কোর্ট ফি, ফিরিস্তিযোগে মূল কাগজপত্র, তলবানা ফি, মূল সমন নোটিস, রেজিস্ট্রি চিঠি, এডিসহ ওকালতনামা।
দাখিলকৃত এগুলো আদালতের সেরেস্তাদার পর্যবেক্ষণ করার পর সঠিক হলে অর্ডার শিটে প্রাথমিকভাবে গ্রহণ করে আদালতের বিচারকের স্বাক্ষরে নম্বরপত্র দেওয়া হয়। মামলার নম্বরপত্র প্রাপ্ত হলে বিজ্ঞ আদালত সমন ফেরতের জন্য দিন ধার্য রাখেন।
সমন দু’ভাবে জারি হয়Ñ আদালতের জারিকারকদের মাধ্যমে এবং আদালতের সেরেস্তা কর্তৃক প্রেরিত হয় ডাকযোগে। আদালত কর্তৃক প্রেরিত জারিকারক সরেজমিন বিবাদীগণের ঠিকানায় উপস্থিত হন এবং জ্ঞাত করে সহি-স্বাক্ষর গ্রহণ অন্তে মূল সমনের অপর পৃষ্ঠায় প্রতিবেদন আকারে জমা প্রদান করেন। এছাড়াও ডাকযোগে প্রেরিত রেজিস্ট্রি পি.সি.আর মামলায় দাখিল ও সমন প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিজ্ঞ আদালত জবাবের জন্য আগামী দিন তারিখ ধার্য করেন।
বিবাদী বা বিবাদীপক্ষ বিজ্ঞ আদালতে ধার্য তারিখে বিজ্ঞ অ্যাডভোকেটের দ্বারা উপস্থিত হয়ে সময় প্রার্থনা করেন। অতঃপর বিবাদীপক্ষ কাগজপত্র জোগাড় করে জবাব প্রস্তুত করে এক কপি বাদীপক্ষের অ্যাডভোকেট মহোদয়ের কাছে প্রদান ও স্বাক্ষর গ্রহণপূর্বক বিজ্ঞ আদালতে জমা দেন। আরজি ও জবাব পর্যালোচনাপূর্বক বিজ্ঞ আদালত এডিআর বা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য দিন ধার্য রাখেন। এখানে বাদী ও বিবাদী উভয়ের মধ্যে আপোস-মীমাংসা না হলে বিজ্ঞ আদালত ইস্যু গঠনের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন। পরবর্তী ধার্য তারিখে ত্রিশ ধারা মতে উভয়ের ইচ্ছা উদ্্ঘাটন ও পরিদর্শন বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক এসডি বা প্রাথমিক শুনানির জন্য দিন ধার্য রাখেন। অতঃপর চূড়ান্ত শুনানি (পি এইচ) অর্থাৎ বাদীর সাক্ষী ও জেরা গ্রহণের পর বিবাদীর সাক্ষী ও জেরা গ্রহণ করেন।

বাদী ও বিবাদীর জবানবন্দি, জেরা, কাগজপত্রের আলোকে বিজ্ঞ আদালত উভয়পক্ষের শুনানি গ্রহণ করেন, আইনজীবীর নিকট থেকে যুক্তিতর্ক শুনবেন। যুক্তিতর্ক শেষে বিজ্ঞ আদালত রায় ডিক্রি প্রদান করবেন। রায় ও ডিক্রি অন্তে নির্দিষ্ট সময়ের পর আদালতে আবেদনের ভিত্তিতে ডিক্রি জারির মাধ্যমে মামলার কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করবেন। এই হলো অতি সংক্ষিপ্ত দেওয়ানি মামলার কার্যক্রম। 
সম্প্রতি ২৯/০৩/২০২৩ তারিখের ‘দৈনিক জনকণ্ঠ’ পত্রিকার শিরোনাম ছিল ‘দেওয়ানি মামলার শুরু আছে, শেষ নেই।’ এজন্য আমাদের দেশের আদালতকে ঢেলে সাজাতে হবে। বিচারক সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। যুগোপযোগী আইন তৈরি করতে হবে। এ প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন- বিচারপতির সংখ্যা কম থাকায় এবং করোনাভাইরাসের কারণে মামলার জট বৃদ্ধি পেয়েছিল। এখন আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা বেড়েছে। একাধিক বেঞ্চে বিচারকার্য সুষ্ঠুভাবে চলছে।’ 
এর পাশাপাশি এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দেওয়ানি আইনের কিছুটা পরিবর্তন আনতে হবে। বাদীপক্ষ এফিডেভিট (হলফনামা) দেওয়ার পরে তাকে সঙ্গে সঙ্গে যদি জেরা করা হয় তাহলে অনেকটা সময় বেঁচে যায়। এছাড়া সমন দিতে এবং তা কার্যকর করতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছা যত দ্রুত সম্ভব মামলার জট কমিয়ে আনা। মানুষ যাতে ন্যায্য বিচার পায় এবং ন্যায্য বিচারটি যেন অতি দ্রুত পায় সেই ব্যবস্থা চাই। আদালত হচ্ছে মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। সেই আশ্রয়স্থল যেন নিশ্চিত থাকে তেমনভাবে বিচারকদের কাজ করে যেতে হবে। 
আইনে বলা হয়, বিলম্বে বিচার হওয়ার অর্থই হলো- ন্যায়বিচার প্রাপ্তিকে অস্বীকার করা। Justice delayed, Justice Denied. খবরের শিরোনাম শুনলেই বিচারপ্রার্থী চমকে উঠবে। ৬২ বছরেও শেষ হয়নি দেওয়ানি মামলা। আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা যে, মামলাটি ছিল সিলেটের গোয়াইনঘাট এলাকার জমির মালিকানা নিয়ে। মামলা নং- ৩৯৭/৫৮ বণ্টন। এ বিষয় নিয়ে জয়পুরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির সর্বজ্যেষ্ঠ আইনজীবী খাজা জহুরুল হকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন যে, সমাজে যারা সবল, ক্ষমতাধর তারা আইন-কানুনকে তোয়াক্কা না করেই জমি, জল, জঙ্গল জোরপূর্বক দখল করে। তারা কোর্টের আশ্রয় কমই নেয়।

পক্ষান্তরে যারা দুস্থ, অসহায়, গরিব, দলিত, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষ তারা নিরুপায় হয়ে কোর্টের আশ্রয় গ্রহণ করে। যারা প্রথমত শক্তি ও ক্ষমতাহীন তাদের শেষ ভরসা কোর্ট-কাছারি। এ সকল দরিদ্র মানুষের পাশে বিজ্ঞ বিচারকবৃন্দকে মানবিকতার সঙ্গে বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করে দিতে হবে। অন্যথায় দরিদ্র মানুষ দরিদ্র থেকে আরও দরিদ্র শ্রেণিতে পরিণত হবে।

সিভিল মামলা কিভাবে দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায়
বিভিন্ন আদালতের বিচার ব্যবস্থা প্রসঙ্গে বিজ্ঞ আইনজীবী বলেন- আমরা ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক প্রণীত সিভিল প্রসিডিউর কোড ১৮০৮ এখনো মেনে চলি ও বিচার করি। বিভিন্ন দেশে সময়োপযোগী এ আইনকে সংশোধন করা হয়োছে। যেমনÑ ভারতে বাদীর আরজি এবং বিবাদীর জবাবকে সাক্ষ্যের অংশ বলে মনে করা হয়। আমাদের সরকার একবার সি.পি.সি আইন সংশোধন করে দ্রুত বিচার ব্যবস্থা নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু দেশের আইনজীবীগণ এ সংশোধনের বিরোধিতা করায় তা আর আলোর মুখ দেখেনি। তিনি বলেন- গ্রামের অশিক্ষিত নিরক্ষর, গরিব মানুষের পক্ষে চার পাতা আরজি মুখস্থ করে কাঠগড়ায় বিচারকের নিকট বলা কি সম্ভব?

এ কারণে কোনো কোনো আইনজীবী আরজিমতে বাদীর সাক্ষ্য সামান্য গ্রহণ করে কোর্টের সামনে উপস্থাপন করেন। বাদীর সাক্ষ্য শেষ হলে বিবাদীর পক্ষের জেরা শুরু হয়। বিবাদী পক্ষ কয়েক তারিখ ধরে জেরা করেন। অর্থাৎ, অনর্থক প্রচুর সময় বাদীর সাক্ষ্যে ও জেরায় চলে যায়। উন্নত বিচার ব্যবস্থা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে চাইলে বাদীর আরজি এবং বিবাদীর জবাবকে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। বাদীর কাগজপত্র পর্যালোচনার দ্রুত প্রতিকার দিতে হবে। প্রচলিত সি.পি.সি সংশোধন করতে হবে।
অনেক সময় একতরফা মামলায় ঘটনার তারিখ ও বর্ণনা ঠিকমতো বাদীপক্ষ বলতে না পারায় মামলা খারিজ হয়। বিচারক যখন আদালতের চেয়ারে বসবেন তখন তাকে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করতে হবে। কজ অব একশন বা ঘটনার তারিখ বলতে না পারলে তিনি সুযোগ দিয়ে পরবর্তী তারিখে পুনরায় আসতে বলবেন। তাতে গরিব-দুঃখী, অজ্ঞ জনগণ খুশি হবে, বিচার পাবে। কিন্তু মামলাটি খারিজ হলে বাদীর অপূরণীয় ক্ষতি ও ক্ষতির কারণ ঘটবে। ধনীরা কোর্টে না এসেও জিতে যাবে। এভাবে ধনীদের জমি দখল করে নেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। অর্থাৎ, শিষ্টের দমন আর দুষ্টের পালন করা হবে।
যেহেতু গরিব-দুঃখী অসহায় ক্ষমতাহীন ব্যক্তিরা মামলা করেন বেশি, সেক্ষেত্রে তিন মাসের মধ্যে প্রতিকার দিলে ভালো হয়। আপিল বা রিভিশন বা যে কোনো মামলা হলে ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা জমি চাষাবাদ করবে আর ফসল খাবে ও বিক্রি করে দীর্ঘদিন মামলা চালাবে তা হয় না। দ্রুত শুনানি শেষ করে অসহায়দের পাশে থাকতে হবে।

আদিবাসীদের (ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী) 
৯৭ ধারা 
১৯৫৬ সালে ভূমি রক্ষার আন্দোলন করেছিলেন সিধু, কানু চাঁদ, ভৈরব। ইতিহাস এটাকে বলে সাঁওতাল বিদ্রোহ। এটা শুধু যে সাঁওতাল জনগণ করেছিল তা নয়, সকল জাতির অংশগ্রহণ ছিল। পরবর্তীতে সিধু কানুকে ধরে ব্রিটিশ সরকার প্রহসনের বিচার করে ফাঁসি দেয়। এরপর ব্রিটিশ সরকার ১৮৮৫ সালে ভূমি রেকর্ড প্রণয়নের জন্য আইন পাস করে। সে আইনটি হচ্ছে বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন (ইঞ অপঃ ১৮৮৫)। এ আইন প্রণয়নকালে ব্রিটিশরা সিধু কানুকে হত্যার জন্য অনুতপ্ত ছিল। তাই বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইনের ৪৯ ধারায় আদিবাসীদের সুরক্ষা বিষয়ে উল্লেখ অন্তে আদিবাসীদের পক্ষে  আইন পাস করে।
এদেশের জমিদারি প্রথা বিলুপ্তির জন্য অবিভক্ত ভারতে শুরু হয় আন্দোলন। ব্রিটিশ সরকার জমিদারি প্রথা বাতিলের জন্য তদন্ত শুরু করে। কিন্তু ১৯৪৭ সালে বিষয়টি তদন্ত অবস্থায় রেখে দেশ বিভক্ত হয়। অতঃপর পূর্ব পাকিস্তান সরকার ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক তৈরিকৃত রেখে যাওয়া তদন্ত প্রতিবেদনটি দেখে তা আইনে রূপান্তরিত করে। উক্ত আইনের নাম রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০। উক্ত আইনের ৯৭ ধারায় আদিবাসীদের ভূমি সুরক্ষা বিষয়ক কতিপয় উপধারা রয়েছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। অথচ আমরা ১৯৫০ সালের আইনকে এখনো সগৌরবে পালন করছি।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন ও ১৯৫০ সালের ৯৭ ধারার আইন মোটেও এক নয়। সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন কোনো জাতির সংস্কৃতিকে রক্ষার জন্য প্রণয়ন করা হয়। পক্ষান্তরে ভূমি আইন রক্ষার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় পাস করে থাকে। নিঃসন্দেহে বলা যায় সাংস্কৃতিক আইন ও ভূমি আইন পৃথক।
দেশের আদালতগুলোতে তীব্র বিচারক সংকট দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান। দ্রুত ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে এটা একটা বড় বাধা এবং অর্থনৈতিক সংকট থাকলেও সরকার দ্রুত অধিক সংখ্যক বিচারক নিয়োগ দিয়ে এ সমস্যার সমাধান করতে পারে।
শেক্সপিয়ার বলেছেন আইন হচ্ছে মাকড়সার জাল। এই জালে শুধু মাছিরাই ধরা পড়ে, কিন্তু ভিমরুল ধরা পড়ে না। এ কথাটি বাস্তবসম্মত কি না? বাস্তবে আদালতে বা থানায় যারা আসে তারা দুর্বল। ধনীরা সাধারণত আইনের আশ্রয় নেয় না। কারণ, সবলেরা জমিজমা জোরপূর্বক দখল করে নেয়, গরিব বা দুর্বলের প্রতি জুলুম, অত্যাচার করে। আর অসহায় গরিব বেচারা বিচারের আশায় থানা এবং আদালত প্রাঙ্গণে ঘুরে দীর্ঘদিন ধরে। এর অর্থ হলো শেক্সপিয়ার যে কথাটি বলেছেন তা বাস্তব সত্য।
সম্প্রতি এক তথ্যে জানা যায় যে, দেশের আদালতগুলোতে প্রায় ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। মামলার জন্য বিচারকের সংখ্যা মাত্র ২ হাজার। বিজ্ঞ আদালত সরকার কর্তৃক সিডিউল্ড টাইমে কোর্ট পরিচালনা করবেন। 
সিভিল মামলাগুলোর বাদী বা বিবাদীগণের অনুপস্থিতিতে ঝউ, অউজ, যুক্তিতর্ক (অৎমঁসবহঃ), রায় (ঔঁফমবসবহঃ) ও ডিক্রি প্রদান করবেন। পরবর্তীতে হাজিরা, সময় পিটিশন, সংশোধন বাদী ও বিবাদীগণের উপস্থিতিতে প্রয়োজনীয় বিষয়ে শুনানি গ্রহণ করবেন। এভাবে বিজ্ঞ আদালত বিকাল ০৪:০০ পর্যন্ত এজলাসে বসে থেকে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ নিষেধাজ্ঞা, ডিক্রিকৃত অর্থ আদায়, ভায়োলেশন মামলার শুনানি গ্রহণ করবেন। অর্থাৎ, সিডিউল্ড টাইম পর্যন্ত যে কোনো সময় বাদী ও বিবাদীর প্রয়োজনে এজলাশ করবেন। বাদী ও বিবাদীর প্রতি প্রতিকার দেওয়ার জন্য মানবিক মনমানসিকতা বিচারকদের অর্জন করতেই হবে।
লেখক : আইনজীবী

×