
ঈদুল আজহার টানা ১০ দিনের ছুটি শেষে গত রবিবার (১৫ জুন) খুলেছে অফিস-আদালতসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ছুটির শেষে আজ সোমবার (১৬ জুন) রাজধানী ঢাকায় ফিরছেন উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের হাজারো মানুষ। ফলে মহাসড়কে বেড়েছে যাত্রীদের ভিড়। চাহিদার তুলনায় যানবাহনের সংকট দেখা দেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।
আজ সকাল থেকে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হাটিকুমরুল গোলচত্বরে ঢাকামুখী মানুষের ভিড় লক্ষ করা গেছে। উত্তর-দক্ষিণের বিভিন্ন জেলার মানুষ হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে ঢাকাগামী বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। গত দুই দিনের মতো আজও এখানে মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো।
যাত্রীরা জানান, রাজধানীতে ফিরছেন কর্মজীবী মানুষ ও তাদের পরিবার। ঈদের ছুটি শেষ হওয়ায় মহাসড়কে যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। যানবাহনের জন্য হাজারো মানুষ সড়কে অপেক্ষা করছেন। চাহিদার তুলনায় বাসের সংকট দেখা দিয়েছে।
যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বাসের দেখা পাচ্ছেন না। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যেসব যাত্রীরা বাসের টিকিট কেটেছেন, তারাও অপেক্ষায় আছেন গাড়ির জন্য। যারা সুযোগ পেয়েছেন, তারা ট্রাকের ছাদেও রওনা হয়েছেন।
হাটিকুমরুল রোডে অপেক্ষারত ঢাকার একটি গার্মেন্টসের কর্মী ছাবিনা বলেন, “১০ দিনের ছুটিতে ঈদে বাড়ি এসেছিলাম। এখন কর্মস্থলে ফিরতে হবে। সকাল সাড়ে ৮টায় এসেছি, দুপুর হয়ে যাচ্ছে, তারপরেও টিকিট পাইনি। কেউ কেউ দুই-তিনশ টাকা বেশি দিচ্ছে, তবুও গাড়িতে সিট পাচ্ছে না।”
ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী শাহ আলী বলেন, “প্রতিবারই এই সময় এমন হয়। এবার সমস্যা বেশি। আগেভাগে টিকিট কেটে না এলে এখন আর যাওয়ার উপায় নেই। অফিসে না গেলেও সমস্যা হবে।”
হাফিজুর রহমান নামে এক বাসচালক বলেন, “অনেক বাস নির্ধারিত সময়ে ঢাকায় পৌঁছাতে পারেনি। উত্তরবঙ্গের বাকি রুটের সব বাসই নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৩-৪ ঘণ্টা দেরিতে ঢাকায় পৌঁছাচ্ছে। যমুনা সেতুর দুই পারে যানজট থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।”
ঢাকা-বগুড়া রুটে পরিবহন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান শ্যামলী এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার ম্যানেজার মাহবুব বলেন, রোড থেকে গড়ে প্রতিদিন অসংখ্য বাস ঢাকায় চলাচল করছে। এবারের ঈদে যাত্রী সংখ্যা অনেক বেশি।
তিনি বলেন, “যেসব যাত্রী আগেই টিকিট কেটেছেন, তারাই আগে যাচ্ছেন। একটি বাস ঢাকায় গিয়ে ফিরে এসে যাত্রী নিয়ে আবারও রাজধানীর উদ্দেশে রওনা হচ্ছে। আমরা বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়ায় অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছি।”
সানজানা