
শেরপুরের শ্রীবরদীতে সুদের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় এক ব্যবসায়ীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (১৫ জুন) দুপুরে উপজেলার খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়নের ভাটি লংগরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত জলিল মিয়ার বাড়িতে নির্যাতনের একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর নাম নুর আমিন (৩৮), তিনি ওই এলাকার নুর ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত জলিল মিয়ার কাছ থেকে নুর আমিন এক লাখ টাকা ঋণ নেন, প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা হারে সুদে। শুরুতে নিয়মিত সুদ পরিশোধ করলেও পরে অনিয়ম শুরু হলে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ হলেও কোনো সমাধান হয়নি। একপর্যায়ে জলিল নুর আমিনের একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে, যা প্রায় এক বছর ধরে তার বাড়িতে আটক রাখা হয়েছে। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ করলেও কোনো প্রতিকার মেলেনি বলে দাবি করেন নুর আমিন।
ঘটনার দিন লংগরপাড়া বাজার থেকে জলিল ৬-৭ জন সহযোগী নিয়ে এসে নুর আমিনকে জোরপূর্বক ধরে তার বাড়িতে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন।
এ বিষয়ে নুর আমিন বলেন, “আমাকে অপহরণ করে গাছে বেঁধে রাখা হয়েছে, এমনকি গরু চুরির অপবাদও দেওয়া হয়েছে। এতে আমার মান-সম্মানে আঘাত লেগেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আশরাফুল কবীর রূপা বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, নুর আমিন বাধা অবস্থায় আছেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী অক্টোবরের মধ্যে টাকা পরিশোধের আশ্বাসে সমঝোতা করি। তবে এ ধরনের আচরণের জন্য অভিযুক্ত জলিলকে সামাজিকভাবে তিরস্কার করা হয়েছে।”
অভিযুক্ত জলিল মিয়া বলেন, “নুর আমিনের কাছে অনেক দিন ধরে টাকা পাওনা ছিল। তাই তাকে ধরে এনেছি। পরে যখন সে পালাতে চাইছিল, তখন বাধ্য হয়ে গাছে বেঁধে রাখি। পুলিশ ও স্থানীয় নেতারা আশ্বাস দেওয়ায় তাকে ছেড়ে দিই।”
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার জাহিদ বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছে বাঁধা অবস্থায় কাউকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়ভাবে সমঝোতা হয়েছে বলে জানা গেছে। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সজিব