ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ৬ জুন ২০১৭

ঢাকার দিনরাত

দেখতে দেখতে দশম রোজা অতিক্রম করছি। রোজার মাসে ঢাকার দিন ও রাতে কিছু বড় পরিবর্তন আমাদের নজরে আসে। অফিসের সময়সূচীতে পরিবর্তন আসে বলে নাগরিক জীবনধারা কিছুটা বদলে যায়। সরকারী, বেসরকারী চাকরিজীবী, অন্যান্য পেশাজীবী, ছাত্র-বেকার সবার মধ্যে একটা তাড়না থাকে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ইফতারি করার। ফলে সন্ধ্যার আগের তিনটে ঘণ্টা ঢাকার প্রধান প্রধান সড়কের ওপর চাপ বেড়ে যায়। চলমান যানবাহনের ভেতর যত যাত্রী অবস্থান করে সে সময়টাতে, তার চেয়ে বরং বেশি মানুষ থাকে যানবাহনে ওঠার প্রতীক্ষায় রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে। রাস্তায় হেঁটে চলা মানুষের সংখ্যাও কম নয়। রাস্তা ভর্তি যানবাহন, রাস্তার দুই পাশে, ফুটপাথে এমনকি রাস্তার ভেতরে খালি জায়গায় মানুষ গিজগিজ করতে থাকে। বেশ কিছু পাবলিক বাস এই সময় নগরীর অতিভিড়াক্রান্ত কয়েকটি এলাকার বাস স্টপেজে রাখা হলে কিছু চাপ যে কমে, তাতে সন্দেহ নেই। একবার ফার্মগেটে কয়েকটি ডবল ডেকার রাখা হয়েছিল অফিস ছুটির পর যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে। শুধু ফার্মগেটে নয়, আরও কয়েকটি জায়গায় যাত্রীসুবিধার কথা ভেবে বিশেষ পরিবহনের ব্যবস্থা নেয়া হবেÑ ঢাকার বাসযাত্রীরা এমনটা ভাবতেই পারেন। এখনও পর্যন্ত এমন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। তাহলে কর্তৃপক্ষ অতীত থেকে আর কী শিক্ষা নিলেন? আরেকটা বিষয় অস্বীকারের উপায় নেই যে রমজানে বাড়তি রোজগারের জন্য হোক, কিংবা কেনাকাটা ও বেড়ানোর জন্য হোক ঢাকার জনসংখ্যা বেড়ে যায়। এমনিতেই ঢাকা পরিণত হয়েছে জটিল জনারণ্যে। তার ওপর এই বড়তি চাপ কিছুতেই নিতে পারে না নগরটি। ফলে যা হওয়ার তাই হয়। রাজপথ বেহাল দশায় পতিত হয়। পানি দূষণ ও পানির কষ্ট গত সপ্তাহে লোডশেডিং নিয়ে লেখা হয়েছে। এবার পানি নিয়ে যৎকিঞ্চিত। পানি দূষণ ও পানির কষ্ট দুটোই ঢাকার নিয়তি হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে বছর বছর কোটি কথা উচ্চারিত হলেও অবস্থার বিশেষ উন্নতি সাধিত হচ্ছে না। তবে হ্যাঁ, নদী দূষণের অন্যতম কারণ ট্যানারি বর্জ্যরে একটা সুরাহা হয়েছে। সে প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে ব্যবহার্য পানির সঙ্কটের কথা বলা যাক। তীব্র পানিসঙ্কটে রাজধানী ঢাকার বেশকিছু এলাকার বাসিন্দাদের জীবনে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। কোন এলাকায় ১০ দিন ধরে, কোন এলাকায় ৭ দিন ধরে পানি সরবরাহ নেই। প্রচণ্ড গরমে ও চিকুনগুনিয়া নামক জ্বরের প্রাদুর্ভাবে রাজধানীর বিপুলসংখ্যক মানুষের জীবন যখন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে, তখন তীব্র পানিসঙ্কট যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। কাগজে ছবি ছাপা হয়েছেÑ মীরহাজীরবাগের বিক্ষুব্ধ বাসিন্দারা বুধবার হাঁড়ি-কলস নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুলতানা রাজিয়া হলের ছাত্রীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে। হলের প্রাধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ইতোপূর্বে ছয়বার চিঠি দিয়ে এ সঙ্কট সম্পর্কে অবহিত করেছে। কাজ হয়নি। বোঝা যায় কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দেয়নি। আবার স্বয়ং উপাচার্য সরাসরি অবহিত হলেন। হয়তো সুরাহা হবে। কিন্তু এই পদ্ধতিটিকে আমরা কি সমর্থন করব? সবই নিয়মতান্ত্রিকভাবেই হওয়া সমীচীন। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে পানিসঙ্কট হয়ে থাকে। এখন শুষ্ক মৌসুম, ভূগর্ভের পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে, এটাও পানি সঙ্কটের আরেকটা কারণ। এ দুটি সমস্যা বহু পুরনো। ওয়াসা কর্তৃপক্ষেরও সেটি জানা। তাহলে? ঢাকাবাসী প্রশ্ন তুলতেই পারেন, এই পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ওয়াসা কী উদ্যোগ নেয়? নাকি তাদের উদ্যোগ নেওয়ার কিছু নেই? সরকারী হিসেবে বুড়িগঙ্গায় ২০ শতাংশ দূষণ ঘটাত হাজারীবাগের ১৫৪টি ট্যানারি। বহু বছরের চেষ্টায় সম্প্রতি এসব কারখানা বন্ধ করে সাভারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বুড়িগঙ্গার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ দূষণের জন্য দায়ী কোরানীগঞ্জ ও শ্যামপুর-কদমতলী শিল্প এলাকার ১২২টি ডাইং-ওয়াশিং কারখানা। দুই সমিতির এই হিসাবের বাইরেও আছে কিছু কারখানা। ওয়াশিং ও ডাইং কারখানার রঙিন বর্জ্য সরাসরি পড়ছে নদীতে। কেরানীগঞ্জ ওয়াশিং মালিক সমিতির তথ্য হলো, এ এলাকায় বুড়িগঙ্গার পাড়ে তাদের সমিতিভুক্ত কারখানা আছে ৭২টি। একটি কারখানাতেও বর্জ্য শোধনের (ইটিপি) ব্যবস্থা নেই। তবে সমিতির বাইরেও অনেক কারখানা আছে এই এলাকায়। এরপর সবচেয়ে বেশি কারখানা আছে শ্যামপুর-কদমতলী শিল্প এলাকায়। সেখানে কারখানার সংখ্যা ৫০টি, যাদের বর্জ্য সরাসরি বুড়িগঙ্গায় পড়ে। বুড়িগঙ্গায় মিশছে শ্যামপুর-কদমতলী শিল্পাঞ্চলের ডাইং কারখানার তরল বর্জ্য। পরিবেশ অধিদফতরের ২০১৫ সালের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন ৬০ হাজার কিউমেক (ঘনমিটার প্রতি সেকেন্ডে) অপরিশোধিত তরল বিষাক্ত বর্জ্য বুড়িগঙ্গায় পড়ে। এর মধ্যে ওয়াশিং ও ডাইং কারখানার বর্জ্যই প্রধান। আর হাজারীবাগের ট্যানারি থেকে প্রতিদিন তরল বর্জ্য নদীতে পড়ত ২২ হাজার কিউমেক মিটার। ৯০০ কিউমেক মিটার গৃহস্থালির বর্জ্য এখনও প্রতিদিন যায় বুড়িগঙ্গায়। ঢাকার প্রধান নদীটিকে আমরা আর কতভাবে হত্যা করব? রকমারি ইফতার ও ইফতার পার্টি রকমারি ঐতিহ্যবাহী ইফতারের জন্য ঢাকার সুনাম আছে। শুধু কি পুরনো ঢাকায়, ঢাকার বর্ধিত অংশেও বাহারি ইফতারি বিক্রি হয়। উত্তরায় নামী রেস্টুরেন্টগুলো এসময় সামিয়ানা টানিয়ে বিচিত্র ইফতারি আইটেমের প্রদর্শনী করে। আবার মার্কেট ভবনের নিচে ফুটপাথ সংলগ্ন প্রাঙ্গণেও ইফতার বিক্রির ব্যবস্থা নেয়া হয়। গুনে দেখেছি কমপক্ষে ২৬টি আইটেম এসব জায়গায় বিক্রি হয়। পিৎজা, বার্গারের মতো ফাস্ট ফুডের আইটেমগুলো যুক্ত হওয়ায় ইফতারির পদও বেড়ে যায়। সেইসঙ্গে শাসলিক, মোমো-র মতো অভিজাত রেস্টুরেন্টের চাহিদাসম্পন্ন খাবার আইটেমগুলোও ইফতারির অন্য খাদ্যদ্রব্যের পসরায় যোগ করা হয়। প্রাচীন নগরী ঢাকার ইফতার ঐতিহ্যের প্রাণকেন্দ্র চকবাজার। এর ইতিহাস ও ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের। ঐতিহ্যবাহী পুরান ঢাকার ইফতার মানেই যেন চকবাজারের লোভনীয় খাবারের আয়োজন। কালক্রমে এর কদর যেন বেড়েই চলছে। এখানকার ঐতিহ্যের আদি স্থাপনাগুলো এখন আর নেই। কিন্তু রয়ে গেছে ইফতারির ঐতিহ্য। সেই চির-পরিচিত হাঁক-ডাক। রাস্তার মাঝখানে সারি সারি দোকান। ভোজনরসিক মানুষের ভিড়। সেই ভিড়ের ভেতর থেকে বিক্রেতার কণ্ঠে শোনা যায় ‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙ্গায় ভইরা লইয়া যায়।’ পাওয়া যায় সুতি কাবাব, জালি কাবাব, টিকা কাবাব, ডিম চপ, কবুতর-কোয়েলের রোস্ট, খাসির রান, গোটা মুরগি ফ্রাই, মুরগি ভাজা, ডিম ভাজা, পরোটা, শাহী কাবাব, সাসলিক, ভেজিটেবল রোল, চিকেন রোল, খাসির রানের রোস্ট, দইবড়া, হালিম, লাচ্ছি, পনির, পেস্তা বাদামের শরবত, লাবাং, মাঠা। আর পরিচিত খাবারের মধ্যে বেশি পাওয়া যাচ্ছে কিমা পরোটা, ছোলা, মুড়ি, ঘুগনি, সমুচা, বেগুনি, আলুর চপ, পিয়াজু, জিলাপিসহ নানা পদের খাবার। রমজানে ইফতার পার্টির আয়োজন এখন প্রথায় পরিণত হয়ে গেছে। অনেক বিত্তবান ব্যক্তি এবং সামাজিক সংগঠন দুস্থদের জন্য ইফতারির আয়োজন করে থাকে। তবে দুস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের কথা তেমন শোনা যায় না। গত রোজায় আমরা জনকল্যাণের দৃষ্টান্ত দেখেছিলাম ঢাকায়। রোজার শুরুতেই পুরনো ঢাকার নাজিরাবাজার বাংলা দুয়ার পঞ্চায়েত কমিটি তিন শ’ দুস্থ পরিবারের মাঝে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে খাদ্যসামগ্রী বণ্টন করেছিল। মানুষ মানুষের জন্য। ইফতার ও ঈদের কেনাকাটায় অনেক অপচয়ও হয়। কৃচ্ছ্রতা সাধনের কথা বলছি না, অন্তত অপচয় হ্রাস করা যে দরকার, সেটা বলা চাই। ঢাকার প্রতিটি এলাকায় এ ধরনের জনকল্যাণমূলক সামাজিক উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানাই। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দু’তিন জন ছাত্র উদ্যোগটি নিলেই তাতে ধীরে ধীরে লোকবল বাড়বে। একবার এই নিয়ম চালু করা গেলে প্রতিটি রমজানেই তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা কঠিন কিছু হবে না। এজন্য প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছার। রমজান মাসে ইফতার পার্টি দেয়ার সংস্কৃতি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। একদল আছেন এটা অপছন্দ করেন। তারা নিজ গৃহকোণে ইফতারি খেতে পছন্দ করেন। রমজানে রোজাদার শুধু নয়, যারা রোজা রাখেন না বা রাখতে পারেন না তারাও ইফতারির টেবিলে যোগ দেন। ইফতার পার্টির বিশেষ ইতিবাচক দিক অস্বীকার করা যাবে না। সামাজিক অনুষ্ঠান অর্থাৎ মানুষে মানুষে দেখাসাক্ষাত মত আদান-প্রদানের কেন্দ্র হয়ে ওঠে ইফতার পার্টি। অনেক ইফতার পার্টি শেষ হয় নৈশভোজের মাধ্যমে। ইফতার পার্টিতে ইফতারি প্রধান উপলক্ষ হলেও তাতে অন্যান্য বিষয়আশয়ও গুরুত্ব পায়। রমজান মাসে সভা-সেমিনার বা কোন সামাজিক, সাহিত্য-সংস্কৃতি বা পারিবারিক আয়োজন করতে গেলে ইফতারির প্রসঙ্গ সঙ্গত কারণেই সামনে চলে আসে। সাধারণত অফিস আওয়ারের শেষেই এসব সভা বা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। সেক্ষেত্রে অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ইফতারিপর্বকে কোনক্রমেই বাদ দেয়া চলে না। ইফতারির সময়ে ইফতারি করতে হবে। তাই বলে অনুষ্ঠানের আয়োজন এক মাস স্থগিত রাখা যায় না। তাছাড়া ইফতারি উপলক্ষে সমমনা বা বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণীর মানুষ যদি মিলিত হন তাহলে মন্দ কি! আমরা যতই সমালোচনা করি না কেন রমজানে ইফতার পার্টির সংস্কৃতি বেশ চালু হয়ে গেছে। খাওয়া নিয়ে বাড়াবাড়ি ও প্রদর্শনপ্রবণতা এড়ানো গেলে এর ভেতর ইতিবাচক দিক মিলবে বেশ কিছু। তবে ইফতারিতে রাজনৈতিক/ ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করে বক্তব্য প্রদানের বিষয়টি অরুচিকরÑ কোন সন্দেহ নেই। সংস্কৃতিকর্মীদের সমাবেশ সাধারণত রমজানে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড অত্যন্ত সীমিত হয়ে ওঠে। সন্ধ্যেবেলার নাটক, নৃত্য ও সঙ্গীতানুষ্ঠান কিংবা অন্য কোনো সাংস্কৃতিক উৎসব অনেকটাই স্থগিত রাখা হয়। তবে এবারের রোজার মাসে সাংস্কৃতিক কর্মী ও নেতারা আন্দোলনে যুক্ত হন বাধ্য হয়েই। তারা প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। হেফাজতে ইসলামকে নতুন জঙ্গী শক্তি আখ্যা দিয়ে এদের প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের সংস্কৃতি কর্মীরা। অপশক্তির বিরুদ্ধে চলমান সংগ্রামে সাধারণ মানুষের সমর্থন থাকলেও সরকারের সমর্থন মিলছে না। সব দেখে মনে হচ্ছে, সরকার হেফাজতে ইসলামকে একটি বড় রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সরকারকে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর ওপরে নয় জনগণের ওপর আস্থা রাখার পরামর্শ দেন সংস্কৃতি কর্মীরা। সাবধানবাণী উচ্চারণ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী যে কোন তৎপরতার বিরুদ্ধে যতক্ষণ প্রাণ আছে লড়ে যাবেন। সংস্কৃতি কর্মীরা পরাভব মানবে না কিছুতেই। হেফাজতে ইসলামের আস্ফালন, হুঙ্কার, তার আগে সরকার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক, ধর্মান্ধদের দাবির মুখে ভাস্কর্য অপসারণ, সাম্প্রদায়িক চিন্তা থেকে পাঠ্য পুস্তকে পরিবর্তন আনাসহ বিভিন্ন ঘটনায় চূড়ান্ত হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে শনিবার এই প্রতিবাদী কর্মসূচীর আয়োজন করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সকালে অবস্থান কর্মসূচীতে অংশ নেন প্রায় ৫০০ সংস্কৃতি কর্মী। সপ্তাহের মন ভালো করে দেয়া ছবি খবরের কাগজে কত ছবিই প্রতিদিন ছাপা হয়, তাতে মন যেমন খারাপ হয় তেমনি মন ভাল হয়ে ওঠারও সুযোগ মেলে। রোজার মাসে পিতৃমাতৃহীন শিশুদের নিজহাতে ইফতার খাইয়ে দিচ্ছেন পরম মমতায়Ñ প্রধানমন্ত্রীর এমন একটি ছবি ছিল সপ্তাহের একটি সেরা ছবি। দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়, মানবতার তাগিদে কিছু একটা করার জন্য মন আগ্রহী হয়ে ওঠে। ভালোকে যারা ভালো চোখে দ্যাখে না, বাঁকাভাবে নেয় তাদের কাছ থেকে মানুষ কিভাবে ভালো কিছু আশা করবে? বরং তারা নিজেরা ভালো মানুষ হয়ে উঠুক এটাই প্রত্যাশা। ০৪ জুন ২০১৭ [email protected]
×