ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

তাপপ্রবাহ শেষে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড ৪৩ ডিগ্রি

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:০৪, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড ৪৩ ডিগ্রি

প্রচণ্ড দাবদাহের মাঝেও কৃষাণ-কৃষাণীরা ধান মাড়াইয়ের কাজ করছেন

চলমান তীব্র দাবদাহের মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই তাপমাত্রা রেকর্ড ভাঙছে। সোমবার আবারও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে। এদিন বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে এ বছরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ছিল ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন রাজশাহীতে তাপমাত্রা বেড়ে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আপাতত দুই-একদিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ফলে তাপমাত্রা আরও কিছুটা বাড়তে পারে বা একইরকম থাকবে। তবে আবহাওয়া অফিস বৃহস্পতিবার থেকে দেশজুড়ে বৃষ্টির আভাস দিয়েছে। সেইসঙ্গে তাপমাত্রা কমারও আভাস দিয়েছে। বৃষ্টি থেকে হাওড়ের ফসল বাঁচাতে ৮ পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এদিকে, দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ শেষে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কার কথা বলছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলছেন, মে মাসের ১৩ থেকে ১৪ তারিখের দিকে নি¤œচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি পরবর্তী সময়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে ২০ থেকে ২৪ মে এর মধ্যে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি অত্যন্ত শক্তিশালী হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
গত ৩১ মার্চ থেকে দেশে টানা তাপপ্রবাহ চলছে। এর মধ্যে কোথাও কোথাও তাপপ্রবাহ অতি তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রচ- তাপে পুড়ছে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চল। বিঘিœত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। প্রচ- গরমে ঘটছে হিটস্ট্রোকের ঘটনা, অসুস্থ হচ্ছেন অনেকে। ঘরে-বাইরে কোথাও নেই স্বস্তি। বৃষ্টি এসে তাপ কমাবে মানুষ সেই আশায় থাকলেও গত এক মাস ধরে বৃষ্টির কোনো দেখা নেই।

মাঝেমধ্যে দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হলেও তা গরম কমাতে খুব একটা সহায়ক ছিল না। এমন অবস্থায় আগামী বৃহস্পতিবার থেকে দেশজুড়ে বৃষ্টির আভাস এসেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে। দপ্তর বলছে, বৃষ্টি হলেই তাপমাত্রা কমে আসবে। ফলে স্বস্তি আসবে দেশজুড়ে। 
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকাসহ দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। ২ মে থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগসহ দেশের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 
আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, যশোর ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নওগাঁ, পাবনা ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে বুধবার সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। পরবর্তী পাঁচ দিনে সারাদেশে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে এবং তাপমাত্রা কমতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অবশ্য টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা বলেন, টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। মে মাসের ২ তারিখ থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। দেশের মধ্য থেকে পূর্বভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। সারাদেশে ৫ থেকে ৬ মে থেমে থেমে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে মাসের শুরুতে ২ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগে এই বৃষ্টির প্রবণতা বেশি থাকবে মাসের প্রথম সপ্তাহে।
তিনি বলেন, ‘পয়লা মে সন্ধ্যার পর থেকেই দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি হবে। পুরো মে মাসে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আমাদের ২ তারিখে পর্যালোচনা বৈঠক হওয়ার পর পুরো মে মাসের পূর্বাভাস আমরা দেব। তবে মে মাসেও তাপমাত্রা মাঝেমধ্যে বাড়তে পারে। কিন্তু এমন টানা তীব্র গরম থাকবে না।’
ফসল বাঁচাতে ৮ পরামর্শ ॥ মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই ভারি বৃষ্টিপাতের আভাসে আবার দুশ্চিন্তার ভাঁজ হাওড় অঞ্চলের কৃষকদের কপালে। কারণ মাঠে তাদের পাকা বোরো ধান। ঠিক এমন পরিস্থিতিতেই হাওড় অঞ্চলের কৃষকদের জন্য বিশেষ পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। সম্ভাব্য ভারি বৃষ্টিপাতের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষায় হাওড় অঞ্চলে বোরো ধান ৮০ শতাংশ পরিপক্ব হলেই কেটে ফেলার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী ৩ মে থেকে দেশের উত্তর-পূর্ব হাওড় অঞ্চলের অনেক জায়গায় ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এই অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নেত্রকোনা জেলা। পরামর্শগুলো এসব জেলার জন্যই দেওয়া হয়েছে।

পরামর্শে বলা হয়েছে, বোরো ধান ৮০ শতাংশ পেকে গেলে দ্রুত সংগ্রহ করে নিরাপদ ও শুকনো জায়গায় রাখতে হবে; পরিপক্ব সবজি দ্রুত সংগ্রহ করে ফেলতে হবে; নিষ্কাশন নালা পরিষ্কার রাখতে হবে যেন ধানের জমিতে পানি জমে না থাকতে পারে; জমির আইল উঁচু করে দিতে হবে।
পরামর্শে আরও বলা হয়, ফসলের জমি থেকে অতিরিক্ত পানি সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা রাখতে হবে; সেচ, সার, বালাইনাশক দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে; বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করতে হবে; এবং কলা ও অন্যান্য উদ্যানতাত্ত্বিক ফসল ও সবজির জন্য খুঁটির ব্যবস্থা করতে হবে।
শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড়ের আশঙ্কা ॥ দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ শেষে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কার কথা বলছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন, দেশে চলমান তাপপ্রবাহ মে মাসের ২ তারিখের আগে কমার সম্ভাবনা খুবই কম। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে মে মাসের ১৫ তারিখের পরে। ঘূর্ণিঝড় যদি বাস্তবে সৃষ্টি হয় তবে সেটির নাম হবে রিমাল। এই নামটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের দেওয়া।’
তিনি মার্কিন আবহাওয়া পূর্বাভাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে বলেন, বর্ষার পূর্বে ঘূর্ণিঝড় মৌসুম মার্চ মাসে শুরু হলেও ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে কোনো ঘূর্ণিঝড়, নি¤œচাপ কিংবা লঘুচাপও সৃষ্টি হয়নি। তাই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট পরিমাণে শক্তি জমা হয়েছে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি যেহেতু মে মাসের ১৫ তারিখের পরে সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা সেহেতু সেটি খুবই শক্তিশালী হওয়ার আশঙ্কা আছে।
মে মাসের ৩ থেকে ৫ তারিখের মধ্যে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির শক্তি কেমন হবে ও কোন উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা বেশি সে সম্পর্কে অপেক্ষাকৃত সঠিক ধারণা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন মোস্তফা কামাল পলাশ।
তিনি বলেন, ‘আগামী মাসের ১৩ থেকে ১৪ তারিখের দিকে নিম্নচাপটি সৃষ্টি হতে পারে। এটি পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে ২০ থেকে ২৪ মে এর মধ্যে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হলে এটি অত্যন্ত শক্তিশালী হওয়ার আশঙ্কা বেশি।’

চুয়াডাঙ্গা থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস। সোমবার তাপমাত্রা রেকর্ড করে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াম। বৈশাখ মাস এখন মধ্য পর্যায়ে। কালবৈশাখী তো দূরের কথা, ছিটেফোঁটা বৃষ্টির জন্য অপেক্ষায় চুয়াডাঙ্গাবাসী। সকাল হতেই গরম হাওয়ার দাপট এবং তাপপ্রবাহের তীব্র দহন। স্বস্তি পেতে এখনো দুই-তিনদিন অপেক্ষা করতে হবে, তেমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 
চলতি মাসে তাপপ্রবাহের হাত থেকে নিস্তার পায়নি এ জেলার মানুষ। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত হিট এলার্ট জারি করা হয়েছে। তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণে অস্বস্তিকর গরম বাতাস বয়ে যাচ্ছে। তীব্র দাবদাহ থেকে কিছুটা স্বস্তি দিতে খাবার পানি ও স্যালাইন নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, সোমবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করে ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতকরা ৪৯ শতাংশ। এরপর বেলা ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতকরা ১৬ শতাংশ। বেলা ৩টায় এ মৌসুমে জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ১৩ শতাংশ।
এর আগে ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। অর্থাৎ, ১০ বছর পর জেলার তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রির ঘরে প্রবেশ করল। 
রাজশাহী থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, রাজশাহীর চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়ে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। সোমবার বেলা ৩টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটি চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে গত বছরের ১৭ এপ্রিল রাজশাহীতে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
এদিকে টানা এই দাবদাহ থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন রাজশাহীর মানুষ। ঠা ঠা রোদে পুড়ছে পথঘাট। সূর্যের তাপে গলে যাচ্ছে রাস্তার পিচ। পুকুর, নালা, খাল-বিল শুকিয়ে গেছে। পদ্মাপাড়ের এই শহরের অনেক গভীর নলকূপেও কিছুদিন ধরে পানি উঠছে না।
এই দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে স্বস্তির বৃষ্টি চেয়ে রাজশাহীতে সোমবারও ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করা হয়েছে। সকালে নগরীর  শিরোইল কলোনি স্কুল মাঠ ও ফুদকিপাড়া মন্নুজান স্কুল মাঠে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এই নামাজ আদায় করেছেন। শিরোইলে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমনসহ এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা নামাজে অংশ নেন।
শিরোইল কলোনি স্কুল মাঠ ও মন্নুজান স্কুল মাঠের এই নামাজে ইমামতি করেন রাজশাহী উলামা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ও সাহেববাজার বড় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো. আব্দুল গনি। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে চোখের পানি ফেলে বৃষ্টির জন্য দোয়া করা হয়।
পেকুয়ায় হিটস্ট্রোকে দিনমজুরের মৃত্যু ॥ স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার থেকে জানান, পেকুয়ায় হিটস্ট্রোকে মোহাম্মদ কালু নামে এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মেহেরনামা তেলিয়াকাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ৫০ বছর বয়সী দিনমজুর মোহাম্মদ কালু উত্তর মেহেরনামা তেলিয়াকাটা এলাকার মৃত নাগু মিয়ার ছেলে। স্থানীয় ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মোহাম্মদ কালু সকালে প্রতিবেশী গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে খড়ের স্তূপের কাজ করছিল। এ সময় সে গরমে অসুস্থ হয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাকে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডাক্তার মুজিবুর রহমান জানান, কালু নামের এই ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা যে বর্ণনা দিয়েছেন তাতে এই ব্যক্তি হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন।

×