
ছবিঃ সংগৃহীত
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করায় দেশে নতুন করে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সংক্রমণ প্রতিরোধে ১১ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা সবাইকে কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিট ও টিকা সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ চলছে। বর্তমানে দেশে যথেষ্ট পরিমাণ আরটিপিসিআর এবং র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট মজুত আছে। অল্প সময়ের মধ্যেই এসব কিট দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রে সরবরাহ করা হবে।
তিনি আরও জানান, আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে যেন ভাইরাসটি দেশে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য দেশের সব স্থলবন্দর, বিমানবন্দর ও নৌবন্দরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এসব স্থানে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
সংক্রমণের এই সময়ে জনসাধারণকে মাস্ক পরা, হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসাধারণের করণীয়
১. জনসমাগম যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন এবং উপস্থিত হতেই হলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন।
২. শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।
৩. হাঁচি বা কাশির সময় বাহু বা টিস্যু দিয়ে নাক–মুখ ঢেকে রাখুন।
৪. ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন।
৫. ঘন ঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন (অন্তত ২০ সেকেন্ড)।
৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ ধরবেন না।
৭. আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন এবং কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।
সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে করণীয়
১. জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন।
২. রোগীর নাক–মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন।
৩. রোগীর সেবাদানকারীরাও সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করুন।
৪. প্রয়োজন হলে কাছের হাসপাতালে অথবা আইইডিসিআর (০১৪০১–১৯৬২৯৩) অথবা স্বাস্থ্য বাতায়ন (১৬২৬৩)–এর নম্বরে যোগাযোগ করুন।
মারিয়া