
ছবি: সংগৃহীত
টকশোতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বিশ্লেষক হাসান হাফিজ বলেন, “জাপানে গিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়াবলি নিয়ে কথা বলা কতটা সমীচীন হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।” তিনি মনে করেন, বিদেশের মাটিতে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও অভ্যন্তরীণ সমালোচনা করা উপযুক্ত হয়নি।
হাসান হাফিজ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা সামগ্রিক রূপরেখা তুলে ধরতে পারতেন, কিন্তু তিনি একটি নির্দিষ্ট দলকে অভিযুক্ত করার মতো বক্তব্য দিয়েছেন, যা গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি উল্লেখ করেন, “এই ধরনের দোষারোপমূলক বক্তব্য পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।”
ভারতের নির্বাচন সংক্রান্ত সাম্প্রতিক বিবৃতির প্রসঙ্গে হাসান হাফিজ বলেন, “ভারত দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন দেখতে চায়—এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা।” তবে একইসঙ্গে ভারত বাংলাদেশের প্রতি কিছুটা অসন্তুষ্ট বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সীমান্তে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পাশাপাশি অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয়দের হিসাব না থাকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তিনি বলেন, “ভারতে আমাদের টিভি চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ, অথচ আমরা তাদের ক্ষেত্রে এমন কিছু করিনি—এখানেও মেরুদণ্ডহীনতার প্রমাণ রয়েছে।” তিনি শেখ হাসিনার সরকারের নীতির সমালোচনা করে বলেন, “তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক’ মন্তব্যের প্রতিফলন এখনো দেখা যাচ্ছে।”
পরিস্থিতি ঘোলাটে উল্লেখ করে হাসান হাফিজ বলেন, “এখনো আমি আশার আলো স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি না। রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থার জায়গা তৈরি করতে হবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। দশ মাস পেরিয়ে গেছে, হানিমুন পিরিয়ড শেষ।”
আসিফ