ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০১ জুন ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে  যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার  সময় ধরা  কেবিন ক্রু

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:০৫, ৩০ মে ২০২৫

ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে  যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার  সময় ধরা  কেবিন ক্রু

.

বিমানে কেবিন ক্রু পদে চাকরি নেওয়ার পর থেকেই তিনি চেষ্টা করছিলেন ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার। কিন্তু কখনোই সুযোগ হয়ে ওঠেনি। তবে সর্বশেষ মরিয়া হয়ে ওঠেন যে করেই হোক যুক্তরাষ্ট্রে যেতেই হবে। এমন দৃঢ় সংকল্প নিয়েই ভুয়া কাগজপত্র নিয়ে বিমানবন্দরে যাওয়া মাত্রই ইমিগ্রেশনের হাতে ধরা পড়েন। তারপর হৈচৈ পড়ে। এ ঘটনা বৃহস্পতিবার রাতের। 
আলোচিত এই কেবিন ক্রুর নাম জেরিন তাসনিম অনিমা। তিনি এমিরেটস এয়ারলাইন্সের (ইকে ৫৮৭) একটি ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সময় ধরা পড়েন। এ সময় বেরিয়ে আসে কীভাবে তার কেবিন ক্রু পিতা আশরাফ আলী সরদার প্রিন্স তাকে এভাবে ভুয়া কাগজপত্রে আমেরিকা যেতে অপচেষ্টা চালান। 
এ বিষয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, বিমানের মতো একটি রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু হয়েও কেন তাকে এভাবে জালিয়াতি করতে হবে? সে তো বৈধভাবেই চেষ্টা করলে যেতে পারত। তিনি জানান, ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের কাছে তার কাগজপত্র সন্দেহজনক মনে হলে তারা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। বিমান কর্তৃপক্ষ ইমিগ্রেশনে গিয়ে যাচাই করে নিশ্চিত হন যে, অনিমার কাগজপত্র ভুয়া। এরপর তাকে ফ্লাইটে ওঠার অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি জানাজানি হলে বিমানের অভ্যন্তরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। জেরিন তাসনিম অনিমার পিতা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট পার্সার হিসেবে কর্মরত আছেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র এবিএম রওশন কবীর এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিমানের যে কোনো কর্মীকে বিদেশে যেতে হলে প্রয়োজন হয় এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট)। অনিমার যে এনওসি ছিল, তা বৈধ ছিল না। এ ছাড়া তিনি এক বছরের স্টাডি লিভের আবেদন করেছিলেন, যা গৃহীত হয়নি। 
তাই ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে যাত্রার অনুমতি দেয়নি। ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা অবশ্যই চাকরিবিধি পরিপন্থি। এ বিষয়ে বিমান কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে যদি ভুয়া কাগজপত্র জমা দেওয়ার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রসেডিং হবে। 

প্যানেল

×