ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

তারেক রহমান সব মামলায় খালাস পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ ইউট্যাবের

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:৪০, ২৮ মে ২০২৫; আপডেট: ২২:৪৭, ২৮ মে ২০২৫

তারেক রহমান সব মামলায় খালাস পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ ইউট্যাবের

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সকল মামলায় খালাস পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।

বুধবার (২৮ মে) এক বিবৃতিতে এ কথা জানান সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম এবং মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তাঁর স্ত্রী, বিশিষ্ট কার্ডিওলোজিস্ট ডা. জুবাইদা রহমান বুধবার (২৮ মে) হাইকোর্টে খালাস পেয়েছেন। দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে তাঁদের করা আপিল মঞ্জুর করে এই রায় দেন বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ।

ইউট্যাবের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, জিয়া পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারেক রহমানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরপরের বছর এই মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এমনকি ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত রায় দেন, যেখানে দুটি ধারায় তারেক রহমানকে ৯ বছরের (৬ ও ৩ বছর, একসঙ্গে চলবে) এবং জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

তাঁরা আরও বলেন, রায়ের আগে এই মামলায় স্বৈরাচার শেখ হাসিনার অবৈধ শাসনামলের আদালত মাত্র ২১ দিনে ৪২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে। এমনকি রাতের বেলা মোমবাতি জ্বালিয়ে বেআইনিভাবে সাক্ষ্য নেওয়া হয়। প্রকৃতপক্ষে দুদকের দায়ের করা মামলাটি ছিল মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রীকে খালাস দেওয়ার মাধ্যমে তা প্রমাণিত হয়েছে।

এই মামলায় সাজা স্থগিত করে গত বছরের ৪ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে। পরে ৫৮৭ দিন বিলম্ব মার্জনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়, যা গত ১৩ মে মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর ১৪ মে হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে এবং জামিন মঞ্জুর করে। শেষমেশ শুনানি শেষে বুধবার হাইকোর্ট রায় প্রদান করেন।

আদালত বলেছেন, এই মামলায় তারেক রহমান ও অন্য বিবাদীর ক্ষেত্রে ‘পলিটিক্যাল পারসিকিউশন’ (রাজনৈতিক নিপীড়ন) এবং ‘ম্যালিশাস প্রসিকিউশন’ করা হয়েছে। এজন্য বিবাদীদের মর্যাদা ও সুনাম ফিরিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

ইউট্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সকল মামলা থেকে আদালতের মাধ্যমে খালাস পাওয়ায় আমরা শিক্ষক সমাজ অত্যন্ত আনন্দিত এবং মহান আল্লাহর কাছে সন্তোষ প্রকাশ করছি। আমরা প্রত্যাশা করি, তিনি অচিরেই দেশে ফিরে এসে জনগণের সেবায় নিজেকে পুনরায় সম্পৃক্ত করবেন। 

সানজানা

×