
ছবি: সংগৃহীত
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস প্রদান করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ চারটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে। এই পর্যবেক্ষণগুলো দেশের বিচারব্যবস্থা, বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধের মামলার প্রক্রিয়া ও ন্যায়বিচার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।
১. বিচার পদ্ধতিতে বড় ভুল: আদালত উল্লেখ করেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতে গিয়ে অতীতে বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের প্রচলিত ফৌজদারি বিচার পদ্ধতি পরিবর্তন করে ফেলা হয়েছিল, যা ছিল সবচেয়ে বড় ভুল। এতে ন্যায়বিচারের মৌলিক কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
২. সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়াই ফাঁসির রায়: আদালতের ভাষ্য অনুযায়ী, উপস্থাপিত সাক্ষ্য ও প্রমাণ যথাযথভাবে মূল্যায়ন না করেই এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যা আইনের পরিপন্থী।
৩. বিচারের নামে অবিচার: আদালত রায়ে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে, এই মামলার বিচার একটি “travesty of truth” – অর্থাৎ সত্যকে বিকৃত করে বিচারের নামে অবিচার করা হয়েছে।
৪. সঠিকভাবে প্রমাণ যাচাই হয়নি: আপিল বিভাগ পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, মামলার যেসব প্রমাণ ও উপাত্ত আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছিল, তা যথাযথভাবে বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে পূর্বের আপিল বিভাগ।
আবির