সৌদী আরবে চলতি বছর হজ পালন করতে গিয়ে সোমবার (১৯ মে) পর্যন্ত আটজন বাংলাদেশী ইন্তেকাল করেছেন। হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয় বাংলাদেশী যে আটক হজযাত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ১ জন নারী ও ৭ জন পুরুষ রয়েছে। তাদের মধ্যে মক্কায় ৩ জন এবং ৫ জন মদিনায় ইন্তেকাল করেন। তারা হলেন পঞ্চগড় সদরের নারী হজযাত্রী আল হামিদা বানু (৫৪), নীলফামারী জেলা সদরের মো. বয়েজউদ্দীন (৭২), কিশোরগঞ্জ বাজিতপুরের ফরিদুজ্জামান (৫৭), রাজবাড়ী পাংশার মো. খলিলুর রহমান (৭০), ঢাকা মোহাম্মদপুরের মো. শাহজাহান কবীর (৬০). জামালপুর বকশিগঞ্জের হাফেজ উদ্দিন (৭৩), চট্টগ্রাম সন্দ্বীপের মো: অহিদুর রহমান (৭২) ও গাজীপুর সদরের মো. জয়নাল হোসেন (৬১)। সূত্র মতে তাদের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়। নিয়ম অনুযায়ী সরকারি ব্যবস্থাপনায় সৌদী আরবেই জানাজা শেষে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, হজযাত্রীদের চিকিৎসা সেবায় সৌদি আরবে বাংলাদেশ মিশনের উদ্যোগে চিকিৎসা কেন্দ্রগুলো থেকে এ পর্যন্ত ১৫ হাজার ২৮১টি স্বয়ংক্রিয় চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র প্রদান করা হয়েছে ও ৯ হাজার ৯২০জনকে সেবা দেওয়া হয়েছে।
এ বছর সর্বমোট ৮৬ হাজার ৭৭৮টি হজ ভিসা ইস্যু হয়েছে, যার মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমেই ভিসা ইস্যুর হার শতভাগ।সোমবার (১৯ মে) পর্যন্ত ৪৯ হাজার ৯০৪ যাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৪ হাজার ৫৮৩ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৪৫ হাজার ৩২১ জন।
হজযাত্রী পরিবহনে এ পর্যন্ত ১২৬টি ফাইট পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালনা করেছে ৬৩টি ফাইট, সৌদি এয়ারলাইন্স ৪৩টি এবং ফাইনাস এয়ারলাইন্স ২০টি। বিমানে যাত্রী পরিবহনের দিক থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২৪ হাজার ৬৯৮ জন, সৌদি এয়ারলাইন্স ১৬ হাজার ৯৪৩ জন এবং ফাইনাস এয়ারলাইন্স ৮ হাজার ২৬৩ জন হজযাত্রীকে সৌদি আরবে পৌঁছে দিয়েছে।চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৫ সালের হজ অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত হজ এজেন্সির সংখ্যা ৭০টি। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীর কোটা ৫ হাজার ২০০ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ৯০০ জন। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার প্রথম ফ্লাইট ছেড়েছে ২৯ এপ্রিল এবং শেষ ফ্লাইট যাবে ৩১ মে। ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ১০ জুন এবং শেষ ফিরতি ফ্লাইট ১০ জুলাই দেশে পৌঁছাবে।
নোভা
