
যারা লুটপাট করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, তাদের জব্দ করা টাকা এবং শেয়ার ব্যবস্থাপনায় একটি আলাদা তহবিল গঠন করছে সরকার। লুটপাটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলোকে সেখান থেকে টাকা দেওয়া হবে। ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। পাশাপাশি যারা ব্যাংকের বাইরে থেকে অর্থ লুট করেছেন, সেই টাকা উদ্ধার করে দরিদ্র জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান এ পর্যন্ত জব্দকৃত সম্পত্তির মূল্য ১ লাখ ৩০ হাজার ৭শ' কোটি টাকার বেশি।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সাথে কথা বলেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে উঠে আসে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের বিস্তারিত জানান গভর্নর ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
জানানো হয়, বিগত সরকার মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস নগদের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের টাকা পাচার করা হয়েছে। নগদের মাধ্যমে যেন কোন বড় লেনদেন না হয় সেজন্য ব্যাংকে নির্দেশনা দেয়ার কথাও জানান গভর্নর।
গভর্নর বলেন, পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। বিদেশে তাদের সম্পদ ফ্রিজ করার চেষ্টাও করছে সরকার। মিউচুয়াল লিগ্যাল আ্যসিস্টেন্টের মাধ্যমে কাজ এগিয়ে চলছে বলে জানান গভর্নর। ব্যাংকিং খাতকে শক্তি ভিতের উপর দাঁড় করাতে সংস্কার কাজ চলছে।
অর্থ পাচারকারীদের নাগরিকত্ব বাতিলে সিঙ্গাপুরের সাথে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান গভর্নর।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ২০০ কোটি টাকা পাচার করেছে এমন ১২৫টি কেস চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি জানান, জব্দকৃত সম্পত্তির মূল্য ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের দুর্নীতি নিয়ে দুদক চাইলে তদন্ত করতে পারবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
রিফাত