
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ছাত্র রাজনীতি। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ছাত্রদল সভাপতি নিহতের সম্পর্কে যা জানিয়েছেন, তা ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা।
নিহতের সহপাঠীরা জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশ দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন শাহরিয়ার আলম সাম্য। এসময় একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে। পরে ওই মোটরসাইকেলে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে অজ্ঞাত সাত-আট জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাহরিয়ারের মৃত্যুর খবরে ঢাকা মেডিকেলে ছুটে আসেন তার স্বজন, সহপাঠী এবং ছাত্রদল সভাপতি সহ দলের নেতাকর্মীরা।
ছাত্রদল সভাপতি জানান, শাহরিয়ার আলম সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
ছাত্রদল সভাপতি বলেন, “বহিরাগত প্রায় ২০ থেকে ৩০ জনের একটি জটলা ছিল। সেখানে সামান্য একটু আঘাত, মানে পায়ে লাগার কারণে তারা উগ্র আচরণ করে এবং কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হামলা চালায়। পুলিশ এসেছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এসেছে। তারা ইতিমধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে আমাদেরকে অবগত করেছে যে তারা ইতিমধ্যে তদন্ত করছে, তাদেরকে ধরার জন্য সিসি ক্যামেরা প্রচেষ্টা চলছে। তাদের ধরার জন্য আজকে রাতের মধ্যে হয়তোবা আমরা জানতে পারব যে আসলে প্রকৃত ঘটনা কী।”
ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যাকাণ্ড নিয়ে ছাত্র রাজনীতিতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনার পেছনের কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
সূত্র:https://tinyurl.com/5crxke4p
আফরোজা