
ছবিঃ প্রতিবেদক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খালাতো ভাই নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের মুক্তির দাবীতে নীলফামারীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা কৃষকদল। শুক্রবার (২মে) বিকেলে জেলা শহরের পৌর বাজারস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে বিক্ষোভ মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে মিছিলটি দলীয় কার্যালয়ে ফিরে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।
জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মগনি মাসুদুল দুলালের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশ পরিচালনা করেন সদস্য সচিব ওয়ালিউর রহমান হেলাল। বক্তব্য দেন ডিমলা উপজেলা সভাপতি নুর আলম, ডোমার উপজেলা সভাপতি গোলাপ হোসেন, জলঢাকা উপজেলা সভাপতি আমজাদ হোসেন, সদর উপজেলা সভাপতি লুলু চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান নুরু প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা হয়রানী করতেই জিয়া পরিবারের অন্যতম সদস্য শাহরিন ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দেয়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এই মামলা দেয়া হয়। তুহিন ভাই জনপ্রিয় একজন মানুষ। এলাকার উন্নয়নে তার অবদান অনস্বীকার্য। মানুষ তাকে হৃদয়ে গেঁথে রেখেছেন।
জেলা কৃষকদলের আহবায়ক মগনি মাসুদুল দুলাল বলেন, ‘অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর আন্দোলন শুরু হবে গোটা জেলায়।’ এজন্য তিনি তুহিন ভাই জেলে কেন প্রশাসনের কাছে জবাব চেয়ে বলেন, ‘সাবেক এমপি তুহিন ভাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।’
উল্লেখ্য যে গত মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) থেকে তুহিনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জেলা বিএনপি, উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি, জেলা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্র দল, যুব দল ,শ্রমিক দলসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রতিদিন নীলফামারীসহ জেলার ৬ উপজেলা ও চার পৌর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন।
শাহরিন ইসলাম তুহিন ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেরুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-১ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১/১১ তত্বাবধায়ক সরকারের করা একাধিক মামলার দায়ে তিনি বিদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। দীর্ঘ ১৮ বছর পর তিনি গত ২২ এপ্রিল দেশে ফিরে রাজধানীর গুলশানের বাসভবনে উঠেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তিনি গত মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকা বিশেষ জজ-৯ কবির উদ্দিন প্রামাণিকের আদালতে এক মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।
এর পরে বিশেষ জজ আদালত-৭ প্রদীপ কুমার রায়ের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। উভয় আদালতই জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান আসামি পক্ষের আইনজীবী শেখ সাকিল আহমেদ রিপন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনে সাবেক এই এমপিকে অ্যাম্বুলেন্সে কারাগারে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন ও চিকিৎসার নির্দেশ দেন। সূত্রমতে কর ফাঁকি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১/১১ পর ২০০৮ সালে সময় তাঁর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় পৃথক ওই দুটি মামলা করে দুদক। কর ফাঁকির মামলায় তাঁকে ২০০৮ সালে মোট আট বছর ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ১০ বছরের কারাদন্ড দিয়েছিল আদালত।
আরশি