
ছবি: সংগৃহীত
প্রায় এক দশক ধরে পিরোজপুর জেলা এলজিইডি অফিস ছিল একটি প্রভাবশালী পরিবারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। এই সময়ে ভুয়া প্রকল্প ও কাজ না করেই দপ্তর থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। একাধিক তদন্তে উঠে এসেছে দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র, যার সঙ্গে জড়িত এলজিইডির ২২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সাবেক এমপি মহিউদ্দিন মহারাজ এবং ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম। তদন্তে মিরাজুল ইসলামকে এই দুর্নীতির মূল গডফাদার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সরকারি দলের ছায়ায় থেকে পিরোজপুরে এই ভয়াবহ দুর্নীতির চিত্র এখন গোটা বাংলাদেশেরই নজরে এসেছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে, এত বড় দুর্নীতি দীর্ঘ সময় ধরে চললেও স্থানীয় জনগণ বা সুশীল সমাজ এতদিন চুপ ছিল কেন?
এই প্রশ্নের উত্তরে পিরোজপুর সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ ফিরোজ খান ডিবিসি নিউজকে বলেন, “সাধারণ মানুষ চুপ থাকার অনেকগুলো কারণ আছে, যার মধ্যে রাজনৈতিক কারণটাই প্রধান। তবে সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য হিসেবে আমাদের এখতিয়ারের বাইরে ছিল এলজিইডি। আমরা স্বাস্থ্য, শিক্ষা ইত্যাদি কিছু নির্দিষ্ট খাত নিয়ে কাজ করি। তবুও আমরা দুর্নীতির কিছু তথ্য আমাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করেছি।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে মামলা হয়েছে, এটা ভালো দিক। তবে আমাদের দেশের বাস্তবতায় দেখা যায়, বেশিরভাগ দুর্নীতির মামলা কোনো না কোনোভাবে হালকা হয়ে যায় বা প্রত্যাহার হয়ে যায়। তাই জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে এবং সরকারকে অবশ্যই সদিচ্ছা নিয়ে বিষয়টি মোকাবিলা করতে হবে, যেন দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত হয়।”
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=v2qHKBtl6mY
আবীর