
ছবিঃ সংগৃহীত
বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, ড. মো. ইউনূস বলেন, "আমরা এমন এক সময়ে বাস করছি যেখানে যুদ্ধের হুমকি প্রতিনিয়ত আমাদের ঘিরে থাকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রস্তুতি না নেওয়া আত্মঘাতী হতে পারে। আমাদের উচিত যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকা, তবে শান্তির দিকে আমাদের হাত বাড়িয়েই রাখতে হবে।"
তিনি মনে করেন, যুদ্ধ প্রস্তুতি কোনোভাবেই যুদ্ধকে উসকে দেয় না, বরং তা দেশের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য অপরিহার্য। তিনি আরও বলেন, "যতটা সম্ভব, শান্তির দিকে আমাদের হাত বাড়িয়ে রাখতে হবে, কিন্তু প্রস্তুতিও নিতে হবে। আধা প্রস্তুতি এখানে কোনো সমাধান নয়, পূর্ণ প্রস্তুতি প্রয়োজন।"
সম্প্রতি, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় যুদ্ধের আশঙ্কা আরও গভীর হয়েছে। সকালের সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছিল, যুদ্ধ শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। ড. ইউনূস বলেন, "আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, তবে আমাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বর্তমান পরিস্থিতিতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সহায়ক নয়।"
যুদ্ধ ব্যয়বহুল এবং বাংলাদেশ একটি দুর্বল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে, তথাপি প্রস্তুতি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। "বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে স্থিতিশীল নয়, এবং অতীত সরকারের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় গুরুতর অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে," বলেন ড. ইউনূস।
এছাড়া, সামরিক প্রশিক্ষণ এবং প্রস্তুতির ক্ষেত্রে তরুণদের অসাধারণ অবদানের প্রশংসাও করেন ড. ইউনূস। একটি প্রশিক্ষণ মহড়া পরিদর্শন করে তিনি বলেন, "এটি সিনেমার দৃশ্যের মতো হলেও, বাস্তবে তা দেখার সুযোগ পাওয়াটা অনেকের জন্য গর্বের বিষয়। আমাদের তরুণরা দারুণভাবে প্রস্তুতি নিতে পারছে, এবং কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সক্ষম।"
সমাপনী ভাষণে ড. ইউনূস বলেন, "এত সুন্দর এবং নিখুঁতভাবে এই মহড়া আয়োজন করা হয়েছে, যা আমাদের সাহস ও বিশ্বাসকে অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের দেশের যুবসমাজ এমন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে প্রস্তুত, এবং তাদের এই সাফল্য দেখে আমাদের গর্ব বোধ হচ্ছে।"
মারিয়া