
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর রাস্তায় রাইডশেয়ারিং করে জীবিকা নির্বাহ করছেন এমন অনেক বাইকারই এখন চরম সংকটে। তারা বলছেন, সড়কে অটোরিকশার দখলের কারণে যেমন যাত্রী কমে গেছে, তেমনি ভাড়া কমে যাওয়ায় টিকে থাকাটাই দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।
একজন বাইকার বলেন, “রাস্তায় বের হলে কি হবে? ওই যে অটোরিকশার কারণে আমরা কেউ তেমন একটা যাত্রীও পাচ্ছি না, যেতেও পারছি না।”
আরেকজন বলেন, “আমাদের চাওয়া একটাই, সর্বপ্রথম অটোরিকশা উঠাইতে হবে ভাই। রাইড শেয়ারিং এখন খুবই কষ্টকর হয়ে গেছে। অটোর কারণে রাস্তায় যাত্রী পাই না, পাইও যদি — তারা অটোর ভাড়ার চেয়েও কম ভাড়া দিতে চায়।”
তাদের অভিযোগ, রাস্তায় বের হলে যাত্রীর সংখ্যা অত্যন্ত কম। মাঝেমধ্যে যাত্রী মিললেও ভাড়া নিয়ে শুরু হয় দর কষাকষি। “যেখানে ভাড়া হওয়া উচিত ২০০ টাকা, সেখানে যাত্রী বলছে ১০০ বা ১২০ টাকা। এভাবে চলা অসম্ভব,” বলেন এক বাইকার।
তারা আরও জানান, বাইক চালানোর খরচ দিনদিন বেড়েই চলেছে। তেল, মবিল, চাকা, প্লেট, রিং-পিস্টনসহ নানা যন্ত্রাংশে প্রতি কিলোমিটারে প্রায় ৮-১০ টাকা খরচ হয়। “একজোড়া চাকার দাম ১২ হাজার টাকা, একটা চাকা এক বছর যায়। মাসে শুধু চাকার পিছনেই খরচ হয় ১ হাজার টাকা। এগুলা বিবেচনায় না নিয়ে যাত্রী যদি কম ভাড়া দিতে চায়, তাহলে আমরা কীভাবে চলবো?”— প্রশ্ন এক বাইকারের।
তারা বলেন, “আমরা যদি প্রতিদিন গড়ে ৭০ কিলোমিটার চালাই, তাহলে শুধু গাড়ির খরচই দাঁড়ায় ৭০০ টাকা। এর ওপরে যদি লাভ না থাকে, তাহলে পরিবার চালানো সম্ভব না।”
বাইকারদের দাবি, অটোরিকশা শুধু যাত্রী কেড়ে নিচ্ছে না, রাস্তায় বিশৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনার সংখ্যাও বাড়াচ্ছে। “অটোর কারণে এক্সিডেন্টও বাড়ছে ভাই। ওরা যেমন-তেমনভাবে রাস্তা দখল করে দাঁড়িয়ে থাকে। রাইড শেয়ারিং বাইকগুলোর চলাচল মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়,” বলেন আরেক চালক।
সবশেষে তারা সরকারের কাছে দাবি জানান, রাইডশেয়ারিং বাইকারদের টিকে থাকার সুযোগ করে দিতে হলে, অটোরিকশাগুলোর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং ন্যায্য ভাড়া নির্ধারণে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে এই পেশায় টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা তাদের।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=x7dMIfLg9yY
আবীর