
ছবি: জনকণ্ঠ
নওগাঁর বদলগাছী শহরের প্রাণকেন্দ্র দিয়ে বয়ে গেছে ছোট যমুনা নদী। এই নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে শহর। এক সময়ের খরস্রোতা ছোট যমুনা নদীতে পালতোলা বড় বড় নৌকা চলতো। বণিকরা বাণিজ্যের জন্য জয়পুরহাট, নাটোর ও পাবনা জেলা থেকে আসতো। নদীকে কেন্দ্র করেই ছিল জীবন-জীবিকা। নদীর পানি দিয়ে হতো চাষাবাদ। খরস্রোতা সেই নদীটি শুকিয়ে এখন যৌবন হারিয়ে মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে।
ছোট যমুনা নদীর কোথাও শুকনো, কোথাও হাটু পানি আবার কোথাও বুক সমান পানি। কোথাও সামান্য পানি থাকলেও অধিকাংশ জায়গায় নদীর বুকে এখন ঘাস গজিয়েছে। কোথাও বোরো ধান চাষ করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন নদী খনন না করায় নদীর তলদেশ পলি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে। এতে বছরে অন্তত ৪ মাস পানি থাকে। ছোট যমুনা নদী খরা মৌসুমে শুষ্ক আবার বর্ষায় যখন নদী ভরে যায় তখন ভয়ংকর রুপ ধারণ করে। যেন নদী উপচে পাড় ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়। এ সময় নদী পাড়ের বাসীন্দাদের আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়।
উপজেলায় প্রায় ১৮ কিলোমিটার জুড়ে নদীটির বিচরণ। নদী খনন করা হলে নদীর সাথে সম্পৃক্ত কৃষি, জীবন জীবিকা ও প্রাণিজ সম্পদ রক্ষা পাবে। এতে নদীর স্বাভাবিক গতি ফিরে পাওয়ার পাশাপাশি আবারও প্রাণচাঞ্চল হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধি প্রফেসর ইউনুছার রহমান বলেন, দীর্ঘদিন নদী খনন না করার কারণে নদীর তলদেশ পলি পড়ে ভরাট হয়ে গিয়েছে। নদীটি দ্রুত খনন করতে হবে যাতে সারা বছর পানি থাকে। নদীতে পানি থাকলে নদীর তীরবর্তী এলাকার কৃষকেরা সারা বছর ফসল ফলাতে পারবে এবং বর্ষা মৌসুমে নদী উপচে পাড় ভেঙে যাওয়ার উপক্রম থেকে রক্ষা পাবে।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফইজুর রহমান বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে- দেশের ৬৪ জেলার অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী ও খাল পুনঃ খনন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৯৫ কোটি টাকার প্রস্তাবনা/চাহিদা পাঠানো হয়েছে। যেখানে ছোট যমুনা নদীসহ ৩টি নদী, ৪৮টি খাল ও ৩টি বিল রয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে সংস্কার কাজ শুরু হবে।
শিহাব